প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২১, ২২:৩৩
পর্তুগালে প্রবাসীদের বিমর্ষ ঈদুল আজহা উদযাপন
প্রতিবছর পর্তুগালে প্রধান কয়েকটি শহরে খোলা আকাশের নিচে প্রবাসী বাংলাদেশীরা ঈদের জামাত আদায় করেন যা গত ঈদুল ফিতরের সম্ভব হয়েছিল কিন্তু করোনার চতুর্থ আঘাতে ডেল্টা ভেরিয়েন্ট ছোঁয়াচে সংক্রমণে পর্তুগালের করোনা পরিস্থিতি প্রতিদিনই খারাপ অবস্থার দিকে যাচ্ছে। তার পেক্ষাপটে এবছর রাজধানী লিসবনের বাংলাদেশী অধ্যুষিত এলাকার ইউরোপের সবচেয়ে বড় ঈদের জামাত খ্যাত মার্তিম মুনিজ পার্কের উন্মুক্ত পরিবেশে ঈদুল আযহার জামাত অনুমতি না পাওয়ার তা আয়োজন করা সম্ভব হয়নি।
|আরো খবর
তবে ঈদুল আযহার প্রধান যে কয়েকটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে এগুলো হচ্ছে প্রবাসী বাংলাদেশীদের পরিচালনাধীন রাজধানী লিসবনের বায়তুল মোকাররম ইসলামিক সেন্টার জামে মসজিদে সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত সর্বমোট চারটি জামাত হওয়ার কথা থাকলেও মানুষের উপচেপড়া ভিড়ের কারণে আরো একাধিক জামাত পড়াতে হয়েছে ।
বন্দরনগরী পর্তোতে হযরত হামজা (রা.) মসজিদে সকাল ৭ টা ৩০ মিনিট এবং সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট দুটি এছাড়া কেন্দ্রীয় হযরত বেলাল (র.) মসজিদে সকাল ৬টা ৪০ এবং সকাল ৮ টা পর্যন্ত তিনটি ঈদুল আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এদিকে পুরো পর্তুগালে বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিরা সম্প্রতি করোনায় ব্যাপকভাবে সংক্রমিত হন এবং অনেক বাংলাদেশি বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিত্স নিয়েছেন এবং এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে সকলের মাঝে একটি উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এবং অনেকেই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
পরিবার গুলো করোনা আক্রান্ত হওয়ায় ঈদের দিন একে অন্যের বাসায় নিমন্ত্রণেও ছিল ঘাটতি অর্থাৎ যারা কর নাণা আক্রান্ত হননি সে পরিবারগুলো আইসোলেশন এর মত অন্যের বাসায় যাওয়া থেকে বিরত থাকছেন। তবে যে সকল পরিবার করোনা আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য স্থানীয়ভাবে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবারগুলো এগিয়ে এসেছেন।
ঈদ জামাত ও পরবর্তী বাংলাদেশি হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে মিষ্টিমুখ করার জন্য প্রবাসীদের ভিড় লক্ষ করা যায়নি ইতিপূর্বে রেস্টুরেন্ট এবং এর সামনে প্রবাসীরা চিরাচরিত বাংলাদেশি ঐতিহ্য অনুযায়ী পরিবার বিহীন প্রবাসীরা সেমাই খাওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টে ভিড় করতেন। বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় লোকজনের উপস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থার থেকে অনেক কম ছিল।
মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা খোলা মাঠে নামাজ আদায় করতে না পারলেও প্রবাসী বাংলাদেশিরা অন্তত ঈদ জামাতে যুক্ত হতে পেরে আল্লাহ তায়ালার প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। তাছাড়া সকল নামাজের জামাতে মুসলিম উম্মার শান্তি কামনায় সহ মহামারী থেকে মুক্তির জন্য আল্লাহর রহমত কামনা করা হয়।