মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ২০:২৪

কোড়ালিয়া রোডে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে বসতঘর উচ্ছেদ ও লুটপাটের অভিযোগ!

স্টাফ রিপোর্টার।।
কোড়ালিয়া রোডে আদালতকে ভুল বুঝিয়ে বসতঘর উচ্ছেদ ও লুটপাটের অভিযোগ!
হাই কোর্টের এ স্থিতাবস্থা থাকা সত্ত্বেও চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডে নিম্ন আদালতের উচ্ছেদ অভিযান-পরবর্তীতে ভাংচুর ও হামলার দৃশ্য।

চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডে হাইকোর্টের স্থিতাবস্থা (স্টে অর্ডার) অমান্য করে এবং আদালতকে ভুল বুঝিয়ে তিন পরিবারের বসতবাড়ি ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে অ্যাড. সালেহ আহম্মেদ, তার ছেলে অ্যাড. হাসিব ও শ্যালক দুলাল গংয়ের বিরুদ্ধে।

গত ১২ আগস্ট ২০২৫ নিম্ন আদালতের বরাতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে বিকেলে শেষ করে প্রশাসন। কিন্তু পরের ২ দিন প্রশাসনের কোনো অভিযান না থাকলেও অভিযুক্তরা উচ্ছেদকৃত স্থাপনায় এসে নিজেরা পুনরায় জোরপূর্বক সেসব পরিবারের বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাট করে বলে জানান ভুক্তভোগীদের পক্ষে মো. আলমগীর ঢালী।

ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, মৃত হাজী আব্দুল মান্নান ঢালীর বাড়ি, প্রবাসী আলহাজ হারুন মিয়ার বাড়ি এবং মেজর আকাশের বাড়িসহ ১৩ শতক জমির ওপর থাকা স্থাপনা কোনো নোটিস ছাড়াই ভেক্যু দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় হাইকোর্টের আদেশের কপি দেখালেও হামলাকারীরা তা উপেক্ষা করে জোরপূর্বক ভাংচুর ও লুটপাট করে।

ভুক্তভোগীরা আরো জানান, ধ্বংসযজ্ঞের পাশাপাশি বাড়ির আসবাবপত্র, চাল-ডাল, কাপড়, নগদ টাকা, প্রায় ৪ ভরি সোনার গয়না, বৈদ্যুতিক পণ্য এবং তিনটি দোকানের মালামাল লুটে নেয় হামলাকারীরা। এমনকি বাড়ি ধ্বংসের সময় বেরিয়ে আসা রডগুলোও নিয়ে যায় তারা। আদালতকে ভুল বুঝিয়ে উচ্ছেদ আদেশটি করিয়ে নিয়ে প্রায় ১৩ শতক জমির স্থাপনা ধ্বংস করা হয়। এখন আমরা আতঙ্কে জীবনযাপান করছি।

পরে ১৫ আগস্ট চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বরাবার ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে মৃত. মান্নান ঢালীর ছেলে ফারুক ঢালী বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগে আরো বলা হয়, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সাথে নিয়ে প্রতিপক্ষরা এবং তাদের অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জন লোক হামলায় অংশ নেয়।

চার দশকের বেশি সময় ধরে ওই জমিতে বসবাসকারী পাঁচটি পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছে। ভুক্তভোগীরা জানান, হামলাকারীরা নারী, শিশু, বৃদ্ধ—কাউকেই রেহাই দেয়নি। প্রাণভয়ে পরিবারগুলো পাশের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। দুদিন ধরে চলা এই তাণ্ডবের সময় দেখার কেউ ছিলো না বলেও অভিযোগ করেছেন তারা।

হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার বিষয়ে গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা অ্যাড. সালেহ আহম্মেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাইকোর্টের এই স্থিতাবস্থার কোনো ডকুমেন্ট এখানে আসে নি। হাইকোর্টের স্থিতাবস্থার কোনো কাগজ এই নথিতে অন্তর্ভুক্ত হয় নি। হাইকোর্টের কোনো রায় থাকলে তো অর্ডার থাকবে। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করে তো কোনো লাভ নেই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়