প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ১৮:৪৩
করোনা চিকিৎসায় নতুন ওষুধের অনুমোদন, বাংলাদেশ ও ভারতে এর জেনেরিক সংস্করণ
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কোভিড-১৯ সারাতে আরও দুটি ওষুধের অনুমোদন দিয়েছে। এর একটির নাম ব্যারিসিটিনিব, যা মূলত রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। ওষুধটি মার্কিন ফার্মা জয়ান্ট এলি লিলির তৈরি হলেও বাংলাদেশ ও ভারতে এর জেনেরিক সংস্করণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ দেশের বাজারে তুলনামূলক কম খরচেই ব্যারিসিটিনিব পাওয়া যাচ্ছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের খবর অনুসারে, গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ব্যারিসিটিনিব ব্যবহারে ‘জোরালো সুপারিশ’ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল। তবে এর সঙ্গে কর্টিকোস্টেরয়েডের মিশ্রণ ব্যবহার করতে বলা হয়েছে।
প্যানেল বলেছে, ওষুধটি ভেন্টিলেশনের প্রয়োজনীয়তা কমায় এবং করোনা রোগীদের বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে তোলে। এতে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বাড়ার কোনো লক্ষণও দেখা যায়নি।
এদিন ডব্লিউএইচও’র বিশেষজ্ঞরা শর্তসাপেক্ষে পরীক্ষামূলক মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি চিকিৎসায় সট্রোভিম্যাব ব্যবহারেরও অনুমোদন দিয়েছে। যেসব করোনা রোগীর অবস্থা গুরুতর নয়, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তির উচ্চ ঝুঁকি রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে ওষুধটি ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এর প্রস্তুতকারক গ্লাক্সো স্মিথ ক্লাইন।
এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও বলেছে, নতুন এসব নির্দেশনা গুরুতর কোভিড-১৯ রোগীদের জন্য ইন্টারলিউকিন-৬ রিসেপ্টর ব্লকার ও সিস্টেমিক কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহারে আগের সুপারিশ এবং নির্বাচিত রোগীদের ক্ষেত্রে ক্যাসিরিভিমাব-ইমডেভিমাব (আরেকটি মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি চিকিৎসা) ব্যবহারের শর্তসাপেক্ষ সুপারিশের সঙ্গে যোগ হয়েছে।
ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে এবং অধিক সংখ্যক মানুষের চিকিৎসার জন্য দ্রুততম সময়ে ওষুধগুলোর প্যাটেন্ট নিশ্চিত করতে সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জনিয়েছে।
সংগঠনটি জানিয়েছে, বাংলাদেশ-ভারতে ব্যারিসিটিনিবের জেনেরিক সংস্করণ সহজলভ্য হওয়ার পাশাপাশি ব্রাজিল-ইন্দোনেশিয়ার মতো আরও অনেক দেশে এর প্যাটেন্ট কার্যকর রয়েছে।