প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২১:০৮
অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না আগুনে দগ্ধ শিশু মেহরাব

.
অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না আগুনে পুড়ে দগ্ধ হওয়া তিন বছরের শিশু মেহরাব। গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর ২০২৫) কচুয়ার মনোহরপুর গ্রামের খানকা বাড়িতে খেলার ছলে গরম পানিতে পড়ে পিঠ ও হাত ঝলসে যায়। ওইদিন পিতা মো. মনির হোসেন শিশু মেহরাবকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিটে রেফার করেন। কিন্তু অর্থসংকটে থাকা দিনমজুর পিতা মনির হোসেন শিশুটিকে ঢাকায় না নিয়ে বাড়িতেই টোটকা চিকিৎসা করান।
এদিকে অর্থাভাবে শিশুর চিকিৎসা করাতে পাচ্ছেন না এমনি খবর সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরে কচুয়া উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. নহিদ ইসলাম তাৎক্ষণিক শিশুটির পিতা মনির হোসেনকে ডেকে এনে নগদ ৫ হাজার টাকা দিয়ে ঢাকায় চিকিৎসা নেয়ার ব্যবস্থা করেন এবং তিনি পরিবারটিকে আশ্বস্ত করেন শিশু মেহরাবের চিকিৎসায় সমাজসেবা অফিসের সহায়তা থাকবে।
শিশুটির মা পাখি বেগম জানান, বৃহস্পতিবার আমি ভাত রান্না করছিলাম। মেহরাব আমার পাশেই খেলা করছিলো। চুলার পাশে রাখা গরম পানিতে হঠাৎ সে পড়ে যায়। সাথে সাথে তার পিঠ ও হাতের বেশিরভাগ অংশ ঝলসে যায়। অর্থাভাবে চিকিৎসা নিতে না পেরে বাড়িতে কোনোরকম চিকিৎসা দিচ্ছিলাম। দিন দিন আমার মেহরাবের অবস্থা অবনতি হচ্ছিলো। আপনাদের সহযোগিতা কামনা করছি। দানশীল ব্যক্তি সহযোগিতা করতে শিশুটির সাথে ০১৮৭০-৩০৫৫৬৫ (নগদ একাউন্ট) তার বাবার নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানিয়েছেন তার পরিবার।
ছবি : আগুনে ঝলসে যাওয়া শিশু মেহরাব।








