প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২২, ১৭:৫৯
জেলার মডেল হাসপাতাল হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স
জেলার মধ্যে মডেল হাসপাতাল হিসেবে সরকারেরর স্বীকৃতি পেলো হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। জেলার ৮ উপজেলার ৮ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মধ্যে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এই গৌরব অর্জন করলো। সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি এই স্বীকৃতি প্রদান করে।
|আরো খবর
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্র জানা যায়, দেশের ৬৪ জেলায় ৬৪ টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘোষণা করার কাজ করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি সময় ‘হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ জেলার মডেল হিসাবে মনোনিত হয়। সব মিলিয়ে সেবাদান কার্যক্রমে দেশের মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হিসাবে গত ১৭ অক্টোবর হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ দেশে ৬৪টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে মডেল স্বাস্থ্য মনোনীত করে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা দেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সেবার মধ্যে এএনসি ও পিএনসি সেবা, নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান কার্যক্রম সেবা, প্যাথলজিক্যাল সেবা, আউটডোর ও ইনডোর সেবা, এনসিডিসি সেবা, সর্বপরি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মদক্ষতা, কাজের গুণগত মান পর্যবেক্ষন করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেকে ‘মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ হিসেবে ঘোষণা করে।হাসপাতাল সূত্রে আরো জানা গেছে, গড়ে প্রতি মানস ১৪ থেকে ১৮ হাজার রোগি চিকিৎসা সেবা পায় এখানে। এর মধ্যে উপজেলার ৪ লাখ মানুষের পাশপাশি পাশ্ববর্তী উপজেলা কচুয়া, শাহরাস্তি, ফরিদগঞ্জ, মতলব ও চাঁদপুর সদর এবং লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার একাংশের জনগণকে প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে থাকেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। এর মধ্যে নিয়মিত ২০/২৫ জন রোগী ভর্তি থাকে। আর প্রতিদিন বহির্বিভাগে ৫০০ রোগী একং জরুরি বিভাগে ৫০-৭০ জন রোগি চিকিৎসা সেবা পেয়ে থাকেন। এছাড়াও এনসিডিসি কর্ণার চালু হওয়ায় ডায়াবেটিক, কিডনি, হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপসহ অসংক্রামক রোগিদের ভিড় বেড়েই চলছে।
‘মডেল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’ এর বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. গোলাম মাওলা চাঁদপুর কন্ঠকে, এই অর্জনের সুবিধা হাজীগঞ্জবাসী সুবিধা ভোগ করবে। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় বাকীসহ যন্ত্রপাতির চাহিদা আমরা প্রেরন করেছি।
এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সকল চিকিৎসক, নার্স, মিডওয়াইফ, টেকনোলজিস্ট, ফার্মাসিস্ট, স্যানিটারী ইন্সপেক্টর, এমটি ইপিআই, স্বাস্থ্য পরিদর্শক, পরিসংখ্যানবীদ, স্বাস্থ্য সহকারী, সিএইচসিপিসহ সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী শ্রমের ফসল বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা