প্রকাশ : ১৪ জানুয়ারি ২০২২, ২০:২৮
১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও চাঁদপুরের দৃশ্যপট পাল্টায়নি
করোনার সংক্রমণের উর্ধগতি ঠেকাতে বৃহস্পতিবার থেকে চাঁদপুরসহ দেশজুড়ে শুরু হয়েছে ১১ দফার বিধিনিষেধ। গণপরিবহনে অর্ধেক যাত্রী বহনসহ বিধিনিষেধে নিষিদ্ধ করা হয়েছে উন্মুক্ত স্থানে সবধরনের সভা-সমাবেশ। কিন্তু বিধিনিষেধই পরবর্তীতে লকডাউনে রূপ নিতে পারে এই আতঙ্কে আছে মানুষ।
|আরো খবর
স্বাস্থ্যবিধি মানতে সর্বোচ্চ সচেতনতার উপর জোর দেয়া হলেও চাঁদপুরের শহরের পথে পথে দেখা গেছে মাস্ক ছাড়াই মানুষজন চলাচল করছে। আরোপিত বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে পাড়া কিংবা মহল্লা, হাসপাতাল, গণপরিবহন, রেস্তোরা, বিপণিবিতান ও মূল সড়কসহ কোথাও যেন নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। মুখে মাস্ক ব্যবহার না করে হরহামেশা ঘোরাঘুরি করছে মানুষ।
এক্ষেত্রে মোবাইল কোর্টের তদারকি এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি। জেল-জরিমানার কথা বলা হলেও বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সতর্ক করার কার্যক্রমও চেখে পড়েনি।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের মুখে দেশ। আক্রান্ত রোগী সংখ্যা বাড়ছে। একই সঙ্গে নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটে বাড়ছে উৎকণ্ঠা।
আড়াই'শ শয্যার চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গিয়ে জানা যায়, একজন করোনা পজিটিভ ও ১৪ জন উপসর্গ নিয়ে মোট ১৫ জন ভর্তি রোগীর চিকিৎসা চলছে। শুক্রবার বিকাল ৪ টার পর মিলন চক্রবর্তী (৫৫) নামে আরো একজন রোগী করোনা উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হয়েছেন। ক্রমান্বয়ে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। সংক্রমণ মোকাবিলায় নতুন করে ১১ দফা বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও চাঁদপুরের দৃশ্যপট পাল্টায়নি।
এদিকে, বিধিনিষিধের পর পরই লকডাউন আসতে পারে এই ভয়ে আছে মানুষজন।