প্রকাশ : ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
গর্ভধারণ নারী জীবনের ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। আমরা প্রায় সবাই জানি যে গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর জন্যে অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়। জেনে রাখা দরকার, গর্ভাবস্থার আগে কিছু পরীক্ষা করা ভীষণ জরুরি। এতে অনাকাক্সিক্ষত অনেক সমস্যা ও শারীরিক জটিলতা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
পরীক্ষাগুলো হলো : ১. সিবিসি বা কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট পরীক্ষা : এই পরীক্ষার মাধ্যমে রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা জানা যায়। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে গর্ভধারণের আগে নারীর হিমোগ্লোবিনের মাত্রা জানা থাকলে ভালো হয়। কারণ মায়ের দেহের রক্ত, ভিটামিন-পুষ্টি দিয়ে তৈরি হয় শিশুর দেহ।
২. ব্লাড সুগার : রক্তে চিনির মাত্রা দেখাটা ভীষণ জরুরি। কারণ রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে না থাকলে গর্ভস্থ শিশুর নানা রকম জটিলতা হয়। গর্ভাবস্থায় বেশির ভাগ মায়েদের রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যায়। তাই প্রথম থেকেই সচেতন হতে হবে।
৩. হরমোন পরীক্ষা : মেয়েদের বিভিন্ন রকম হরমোনের সমস্যা হয়। যেমন : হাইপার বা হাইপো-থাইরয়ডিজমসহ নানা সমস্যা। এ বিষয়টিও মাথায় রাখতে হবে। হরমোনের তারতম্যের জন্য শিশুর বৃদ্ধি ও বর্ধনের প্রচুর ব্যাঘাত ঘটে।
৪. ভিডিআরএল : কোনো যৌনরোগ আছে কি না তা দেখার জন্যে এই টেস্ট করা হয়। যৌন রোগগুলো হলো : সিফিলিস, গনোরিয়া, হারপিস।
৫. রক্তচাপ, কিডনি পরীক্ষা : রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখাটা সব বয়সের মানুষের জন্যে সব অবস্থায় ভীষণ দরকারি। ভেজাল খাবারে বর্তমানে আক্রান্ত হচ্ছে কিডনি। তাই সেরাম ক্রিয়েটিনিনটা চেক করান। এটা কিডনির পরীক্ষা।
৬. আলট্রাসনোগ্রাফি, প্রস্রাব পরীক্ষা : হেপাটাইটিস পরীক্ষা পিত্তথলিতে পাথর, পেটের কোথাও টিউমার থাকলে তা ধরা পড়বে আলট্রাসনোগ্রাফিতে। আর প্রস্রাবে ইনফেকশন আছে কি না তার জন্য দরকার প্রস্রাব পরীক্ষা।
রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় হেপাটাইটিস বা জন্ডিস, যক্ষ্মা, রক্তে ইনফেকশন, থ্যালাসেমিয়া বা খারাপ কোনো রক্তশূন্যতা (অ্যানিমিয়া)।
হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট, মৃগী ওষুধ বা আগে বারবার বাচ্চা নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ যেকোনো ধরনের ওষুধ খেলে তা অবশ্যই চিকিৎসককে জানান। কারণ গর্ভাবস্থায় সব ধরনের ওষুধ নিরাপদ নয়।
* চিকিৎসাঙ্গন বিভাগে লেখা পাঠানোর
ই-মেইল : [email protected]