আল্লাহর ঘর তৈরিতে আমার কোনো কৃতিত্ব নেই, এটি আল্লাহর রহমতে সকলের সহযোগিতায় হয়েছে ----মাহবুবুর রহমান শাহীন

বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের দুবারের সাধারণ সম্পাদক, চাঁদপুরের কৃতী সন্তান মো. মাহবুবুর রহমান শাহীন বলেছেন, মসজিদ হলো আল্লাহর ঘর, এটি নির্মাণে আমার কোনো কৃতিত্ব নেই। এটি মহান আল্লাহর রহমত। আমি হলাম উছিলা। আপনাদের সকলের সহযোগিতায় হয়তো এটি নির্মাণ করেছি। কিন্তু এটি রক্ষণাবেক্ষণের সকল দায়িত্ব আপনাদের। তিনি উপস্থিত সকলের নিকট তাঁর মা-বাবার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া চান। তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া চান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের জন্যে সকলের নিকট দোয়া কামনা করেন। তিনি তাঁর শারীরিক সুস্থতার জন্যে সবার নিকট দোয়া চান।

মাহবুবুর রহমান শাহীন হাইমচর উপজেলার ২নং আলগী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের নয়ানী গ্রামে হাবিব উল্যা চোকদার ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনায় ও নিজের অর্থায়নে নির্মিত জামে মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি এবিএম ছিদ্দিক গাজীর (বাচ্চু) পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন হাইমচর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজহারুল ইসলাম শফিক পাটোয়ারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ গাজী ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের পাটোয়ারী। এরপর মসজিদের উদ্বোধন উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মাও. শফিকুর রহমান। মিলাদ ও দোয়া শেষে মসজিদে আগত মুসল্লিদের এবং এলাকাবাসীর মাঝে প্যাকেট খাবার বিতরণ করা হয়।

এদিকে দুপুরে জুমার নামাজের পূর্বে হাবিবুল্লাহ ফাউন্ডেশনের নামে এলাকায় স্থাপিত গণকবরস্থান, প্রস্তাবিত শরীয়েতুন হাবিব এতিমখানা ও মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকসহ নেতৃবৃন্দ। এ সময় মসজিদের উন্নয়ন কাজের জন্যে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও চাঁদপুর-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক ৫০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।

উল্লেখ্য, এ এলাকার গরিব অসহায় পরিবার এবং নদী সিকস্তি জনগণের কবরের জায়গা না থাকায় তাদের কথা চিন্তা করে ২০০৬ সালে মাহবুবুর রহমান শাহীনের নিজস্ব অর্থায়নে ও হাবিবুল্লাহ চোকদার ফাউন্ডেশনের নামে উক্ত স্থানে মোট ১ একর ৮০ শতাংশ জমি ক্রয় করা হয়। তন্মধ্যে মসজিদের জন্যে ৫০ শতাংশ জমি ওয়াকফ করে দেন এবং ৩৫ শতাংশ জমি গণকবরস্থানের জন্যে দান করেন। বাকি সম্পওি শরিয়েতুন হাবিব এতিমখানা ও মাদ্রাসার জন্য রেখে দেন। এদিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে মাহবুবুর রহমান শাহীন বিকেলে দক্ষিণ বাখরপুর, বাংলাবাজারসহ স্থানীয় বেশ ক’টি এলাকায় ৩১ দফা বাস্তবায়নে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারী-পুরুষদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। পরে স্থানীয় কবিরাজপাড়া আব্দুস সামাদ পণ্ডিত (রহ.) দারুল হাদীছ সালাফিয়াহ মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন আলহাজ্ব মাহবুবুর রহমান শাহীন।