বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

হিটস্ট্রোক ও তার প্রতিরোধ
অনলাইন ডেস্ক

প্রকৃতিতে এখন চলছে তীব্র তাপ প্রবাহ। অস্বাভাবিক তাপদাহের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। গড়ে চল্লিশ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রা আমাদের জন্যে নিতান্তই অসহনীয়। এই তীব্র তাপে মানবদেহে ঘটে যায় নানা ধরনের বিপত্তি। এই বিপত্তিকে রোধ করতে হলে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।

কোন ব্যক্তির দৈহিক অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা যখন দশ-পনর মিনিটের ব্যবধানে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট বা তার অধিক বৃদ্ধি পায় তখন দেহ হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারে। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তির নি¤েœাক্ত উপসর্গ দেখা দেয়।

১. শারীরিক উচ্চ তাপমাত্রা : রেক্টাল থার্মোমিটারে পড়ৎব নড়ফু ঃবসঢ়বৎধঃঁৎব ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের অধিক হয়।

২. মানসিক স্তরের চেতনা পরিবর্তীত হয়ে যায়। কনফিউশন, অস্থিরতা, কথা জড়িয়ে যাওয়া, অসহিষ্ণু, ঘোর তৈরি হওয়া ও প্রলাপ বকা, খিঁচুনি ও অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে।

৩. ঘাম উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। তীব্র তাপেও ত্বক শুষ্ক, তপ্ত ও রুক্ষ হয়ে ওঠে।

৪. বমি বমি ভাব ও বমি হতে পারে।

৫. ত্বক ঝলসে লালচে হতে পারে।

৬. শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়ে যায়।

৭. হৃৎস্পন্দনের হার অস্বাভাবিক বেড়ে যায়।

৮. মাথাব্যথা করতে পারে।

হিটস্ট্রোক হতে বাঁচার উপায়

১. রোদে ছাতা ব্যবহার করা

২. পর্যাপ্ত পানি পান করা

৩. অধিকক্ষণ রোদে না থাকা

৪. গরমের দিনে ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করা

৫. বন্ধ গাড়িতে না থাকা।

যে সকল ঔষধ সেবন হিটস্ট্রোক বাড়ায়

১. বিষণ্নতা দূরীকরণের ঔষধ, মানসিক রোগের ঔষধ, পার্কিনসন রোগের ঔষধ ইত্যাদি ঘাম কমিয়ে দিয়ে হিটস্ট্রোক বাড়ায়।

২. যে সকল ঔষধ ডায়রিয়া ও বমির উদ্রেক করে, রক্তচাপ কমায়, মূত্র বৃদ্ধি করে সে সকল ঔষধ তাপদাহে পানিশূন্যতা ঘটিয়ে হিটস্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ায়।

৩. কিছু কিছু ঔষধ যেমন : খিঁচুনি নিয়ন্ত্রণের ঔষধের মাত্রা রক্তে বেড়ে গেলে পানিশূন্যতা বেড়ে হিটস্ট্রোক হওয়ার প্রবণতা বাড়ায়।

৪. কিছু কিছু ঔষধ ত্বকের তাপসাম্য নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কমিয়ে হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। যেমন : বিটা ব্লকার জাতীয় উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণকারী ঔষধ।

৫. কিছু কিছু ঔষধ দৈহিক তাপমাত্রা বাড়িয়ে তুলে হিটস্ট্রোক ঘটায়। যেমন : অ্যাম্ফিটামিন জাতীয় ঔষধ।

৬. কিছু কিছু ঔষধ ত্বকের রৌদ্রদাহন বাড়িয়ে দিয়ে হিটস্ট্রোকের কারণ ঘটায়। যেমন : ব্রণ নিয়ন্ত্রণকারী ঔষধ রেটিন-এ, টেট্রাসাইক্লিন ইত্যাদি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়