মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ০১ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

রক্তদান নিয়ে যতো ভুল ধারণা
অনলাইন ডেস্ক

সুস্বাস্থ্যের অধিকারী সব মানুষই স্বেচ্ছায় রক্তদান করতে পারবেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এমনটাই জানিয়েছে। তবে এতে এমন কিছু শর্ত রয়েছে, যার ফলে রক্তদান নিয়ে ভুল ধারণা বা বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে।

নিরামিষ খাদ্র গ্রহণকারীরা স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে পারেন না

এই শঙ্কাটা তৈরি হয়েছে রক্তে আয়রনের মাত্রার ওপর। ভেজিটেরিয়ান বা নিরামিষাশীদের খাদ্যে আয়রন কম থাকে বলে মনে করা হয়। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত সুষম খাদ্য গ্রহণ করেন তাহলে রক্তে আয়রন কম হওয়ার কোনো কারণ থাকতে পারে না। তবে আপনার রক্তে যদি আয়রন সত্যি কম থাকে, তাহলে নিরাপত্তার স্বার্থেই আপনাকে রক্ত দিতে দেয়া হবে না। বেশির ভাগ দেশে রক্তদানের আগে হিমোগ্লোবিন টেস্ট করে জেনে নেয়া হয় রক্তদানকারী অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন কি না।

অসুস্থ, অন্তঃসত্ত্বা হলে রক্ত দিতে পারবেন না

এই কথাটা সত্যি। যারা এইচআইভি পজিটিভ (এইডস আক্রান্ত), হেপাটাইটিস, সিফিলিস, টিবি, এবং রক্ত-বাহিত আরো কিছু রোগে যারা আক্রান্ত তারা রক্ত দান করতে পারবেন না। ঠাণ্ডা, সর্দিজ্বর, খুশখুশে কাশি, পেট খারাপ থাকলেও রক্তদান করতে পারবেন না।

যে কোনো অসুখ থেকে সম্পূর্ণভাবে সেরে ওঠার ১৪ দিন পর আপনাকে রক্তদান করতে দেয়া হবে। আপনি যদি অ্যান্টিবায়োটিক নিয়ে থাকেন তবে কোর্স শেষ হওয়ার সাত দিন পর আপনি রক্ত দিতে পারবেন। অন্যান্য ওষুধের ক্ষেত্রে একেক দেশে একেক রকম নিয়ম রয়েছে।

আপনি যদি অন্তঃসত্ত্বা কিংবা প্রসূতি হন, শিশুকে স্তন্যদান করেন, কিংবা আপনার যদি অ্যাবোরশন হয়ে থাকে, তাহলে রক্তে আয়রনের মাত্রা স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আপনাকে রক্তদানের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে।

রক্তদানের জন্যে নূন্যতম বয়স হচ্ছে ১৬ বছর। বেশির ভাগ দেশে এই বয়সী তরুণদের রক্তদানের ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতি লাগে। রক্ত দেয়ার সময় এই বয়সী তরুণদের জ্ঞান হারানোর ঝুঁকিও বেশি থাকে।

নিয়মিত রক্তদানকারীদের কোনো সর্বোচ্চ বয়সসীমা নেই। কোনো কোনো দেশে এটা ৬০-৭০ বছর। যেসব দেশে গড় আয়ু কম সেখানে প্রথমবারের মতো রক্তদানকারীদের সম্পর্কেও সতর্ক হতে হয়।

‘ঝুঁকিপূর্ণ’ যেসব কাজ রক্তদানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়

জীবনে নানা ধরনের ঝুঁকি রয়েছে। রক্তদানের ক্ষেত্রে সেগুলো সমস্যা হতে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ‘ঝুঁকিপূর্ণ যৌনাচার’, যেমন বহুগামিতা, অর্থের বিনিময়ে যৌনসংগম, পুরুষ সমকামিতা ইত্যাদি রক্তদানে সমস্যা তৈরি করতে পারে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই রক্তদানের অনুমতি দেয়া হয়। ইনজেকশনের মাধ্যমে যারা নেশা করেন তারাও রক্ত দিতে পারবেন না।

মশা-বাহিত ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গু এবং যিকা ভাইরাসের প্রকোপ রয়েছে যেসব দেশে সেখান থেকে আসা কারও দেহ থেকে রক্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ রয়েছে।

অনেক দেশই এসব ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ কাজে নিয়োজিতদের কাছ থেকে রক্ত গ্রহণ করে না। তবে এক্ষেত্রে ব্যাপক-ভিত্তিক কোন নিষেধাজ্ঞা বৈষম্য তৈরি করতে পারে।

রক্তদান করলে কেউ মারা যায় না

দেহের ওজনের বিবেচনায় একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দেহে গড়পড়তা পাঁচ লিটার রক্ত থাকে। প্রতিবার রক্তদানের সেশনে ৫০০ মিলিলিটার করে রক্ত নেয়া হয়। রক্তদানের পর ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে নতুন রক্ত তৈরি হয়ে সেই ঘাটতি পূরণ করে।

সর্বোপরি আপনি যদি সুস্থ ও সবল হন, আপনার ওজন ৫০-১৬০ কেজি হয়, আপনার বয়স ১৮ থেকে ৬৬ বছর হয়, অন্তঃসত্ত্বা বা সন্তানকে স্তন্যদান না করেন তাহলে আপনি রক্ত দিতে পারবেন। এছাড়াও আপনার যদি এইচআইভি সংক্রমণ না থাকে তাহলেও স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে পারবেন। তথ্যসূত্র : বিবিসি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়