প্রকাশ : ০৩ জুন ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর কণ্ঠ শুধু পত্রিকা নয়, সামাজিক মানবিক শিক্ষা ও সাহিত্য প্রতিষ্ঠানও
আদর্শ সংবাদপত্র হলো সমাজের প্রতিটি ঘটনার সাক্ষী, যার মধ্যে থাকবে শুধু স্বচ্ছতা। তেমনি একটি পত্রিকার নাম চাঁদপুর কণ্ঠ। পত্রিকাটি ৩০ বছর যাবৎ চাঁদপুরের ২৬ লাখেরও বেশি মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে। নিরপেক্ষ প্রতিবেদন ও নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে সচেতন মহলের কাছে একটি গ্রহণযোগ্য সংবাদমাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। পত্রিকাটি সবসময় সত্যের পথে সাহসিকতার সাথে অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন ভূমিকা পালন করে আসছে।
পত্রিকার প্রধান সম্পাদক শ্রদ্ধেয় কাজী শাহাদাত ভাইকে কৃতজ্ঞতা না জানালে অপূর্ণতা রয়ে যায়। কারণ তাঁর সাথে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। খুব কাছ থেকে চিনেছি ও জেনেছি। প্রকৃতপক্ষে তিনি একজন আলোকিত মানুষ। তাঁর নৈপুণ্য ও সাহসিকতায় শুরু থেকে অদ্যাবধি পত্রিকাটি সুনামের সাথে সম্পাদিত হয়ে আসছে।
চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকা পাঠকপ্রিয়তায় সবার শীর্ষে। কারণ, চাঁদপুর কণ্ঠ শুধু একটি পত্রিকা নয়, এটি সামাজিক, মানবিক, শিক্ষা ও সাহিত্য প্রতিষ্ঠানও। সমাজের দায়বদ্ধতা থেকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের পাশাপাশি নানা কর্মকাণ্ড করে আসছে। সর্বোপরি সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের তথ্য-চাহিদা পূরণে সদা তৎপর। সংবাদ পরিবেশনে-বিশ্লেষণে তীক্ষè পর্যবেক্ষণের পরিচয় পাওয়া যায়।
বলিষ্ঠ মত প্রকাশে জেলায় শ্রেষ্ঠত্বের স্থান অর্জন করেছে চাঁদপুর কণ্ঠ। রাজনীতি, অর্থনীতি, জাতীয়, আন্তর্জাতিক, সাহিত্য, প্রবাস, প্রবীণ পাঠকসহ সবখানেই রয়েছে এর অভিনবত্ব। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে লালন করে স্বাধীনতার সপক্ষে ও সাধারণ মানুষের পক্ষে কথা বলে সবসময়।
সংবাদপত্র মাসিক, সাপ্তাহিক বা দৈনিক হোক, সংবাদপত্র তো সংবাদপত্রই। আমি কোনো সংবাদপত্রকে খাটো করে দেখতে চাই না। আমার জানা মতে, চাঁদপুর কণ্ঠ তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে জেলায় শ্রেষ্ঠত্বের খ্যাতি অর্জন করে এগিয়ে যাচ্ছে দুর্বার গতিতে। সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এই প্রতিযোগিতা চাঁদপুর কণ্ঠকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়।
ব্যক্তি, সমাজ, প্রতিষ্ঠান, জাতি ও রাষ্ট্রের জন্যে যেসব সংবাদ কল্যাণকর, সেসব সংবাদ প্রকাশ করার ক্ষেত্রে বিশেষ প্রাধান্য দেয় চাঁদপুর কণ্ঠ।
গৌরব আর ঐতিহ্য বহন করে শত শত বর্ষ টিকে থাকুক পত্রিকাটি। হয়তো আমি-আপনি থাকবো না, কিন্তু পত্রিকাটি থাকুক। এই শুভ কামনা রইলো।
লেখক : সাংবাদিক, কবি ও সংগঠক।