প্রকাশ : ০৮ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০
ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর সফটওয়্যার দিয়ে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে মানুষকে নানাভাবে প্রতারিত করে থাকে অপরাধী চক্র। এর ফলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাংক থেকে খোয়া যায় মানুষের কষ্টার্জিত অর্থ। সম্প্রতি সাইবার সিকিউরিটি সংস্থার গবেষকরা স্পাইনোট নামে একটি অ্যান্ড্রয়েড ব্যাকিং ট্রোজান আবিস্কার করেছে। যে ম্যালওয়্যারটি ব্যবহারকারীর অপারেটিং সিস্টেমকে নিয়মিত আপডেট রাখবে বলে দাবি করে।
এফ-সিকিউর সাইবার সিকিউরিটি সংস্থার বিশেষজ্ঞরা তাদের একটি রিপোর্টে স্পাইনোট ম্যালওয়্যার (ক্ষতিকর সফটওয়্যার) সম্পর্কে অনেক তথ্য প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, এই ম্যালওয়্যারটি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভুয়া টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং মেসেজে দেয়া লিঙ্কের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের এটি ইন্সটল করার জন্যে প্ররোচিত করে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, এই বিপদজনক ম্যালওয়্যারটি অন্যান্য ম্যালওয়ারের থেকে অনেক আলাদা। কারণ এটি যে কেবল ব্যবহারকারীর কল লগ, ফোনের ক্যামেরা, টেক্সট মেসেজ বা ফোনের তথ্য চুরি করে তা নয়, এর পাশাপাশি এটি ফোনের হোম স্ক্রিনে বা যে কোনো অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে সহজেই লুকিয়ে থাকতে পারে। আর এটি এতটাই শক্তিশালী যে, সিকিউরিটি সিস্টেমের পক্ষেও একে খুঁজে পাওয়া এবং ডিলিট করা বেশ কঠিন হয়ে যায়।
স্পাইনোটের আরেকটি ভয়ঙ্কর দিক হলো এটি ফোন কলসহ চারপাশের বিভিন্ন শব্দও রেকর্ড করতে পারে। অর্থাৎ এটি সহজেই আপনার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কথোপকথন শুনে নিতে পারে। যেটি ব্যবহারকারীদের অনেক সমস্যায় ফেলতে পারে।
এফ-সিকিওরের একজন গবেষক অমিত তাম্বে জানিয়েছেন, এই ম্যালওয়্যার কৌশলে বিশেষ অনুমতি ব্যবহার করে ডিভাইসে সাউন্ড রেকর্ডিং, ফোন কল এমনকি স্ক্রিনের ছবি তোলার মতো কাজ করে।
আর ফোনের সেটিংসের মাধ্যমে এই অ্যাপটিকে সরানো খুব সহজ কাজ নয়। কারণ, স্পাইনোট খুবই চতুর এবং এটি ডিভাইসের সেটিংস মেনু বন্ধ করে দেয়, ফলে এর হাত থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে।
তাই আমাদেরকে স্মার্টফোনে যে কোনো ধরনের সফটওয়ার ডাউনলোড করার সময় অনেক সাবধান হতে হবে। তাছাড়া অন্যের পাঠানো লিংক খুলতে সাবধানী হতে হবে। বুঝে নিতে হবে এটা ম্যালওয়ার কি-না। যদি মনে হয় লিংকটি ম্যালওয়ার তাহলে তা স্পার্ম রিপোর্ট করে বের হয়ে আসতে হবে। ওপেন করা যাবে না।