বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া, স্ত্রীর আত্মহত্যা
  •   ভারতকে কড়া বার্তা শ্রম উপদেষ্টার
  •   আধুনিক নৌ টার্মিনাল প্রকল্প পরিদর্শনে চাঁদপুরে নৌপরিবহণ উপদেষ্টা
  •   ডাকাতিয়া নদী ও সিআইপি অভ্যন্তরস্থ খাল খননসহ ৫ দফা দাবিতে সংগ্রাম কমিটির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০

আউটার স্টেডিয়ামের কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের সুষ্ঠু তদারকি ও হিসেব নেই

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥
আউটার স্টেডিয়ামের কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন কাজের সুষ্ঠু তদারকি ও হিসেব নেই

চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে চলছে কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আওতায় এ কাজ হচ্ছে বলে জানা গেছে। আউটার স্টেডিয়াম মাঠের চারপাশে দেয়াল বর্ধিতকরণ, সুইমিংপুল সংস্কার, ইনডোরে খেলার ব্যবস্থাসহ মাঠের উন্নয়ন হচ্ছে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু কে এই প্রকল্পের কাজ করছেন বা কারা করছেন এ সম্বন্ধে জানতে গেলে প্রায় শোনা যেতো, এক প্রভাবশালী ঠিকাদার এই কাজ করছেন। তার ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে কথা বলতে গেলে বলা হতো, আগে কথা বলুন চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র (বর্তমানে পলাতক) জিল্লুর রহমান জুয়েল এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতি ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের জনৈক পরিচালকের সাথে। এ ছাড়া কোন্ কোন্ কাজে কী পরিমাণ খরচ হবে সেটা জানতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেক্রেটারি গোলাম মোস্তফা বাবুকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতিদের সাথে আলাপ করতে পরামর্শ দিতেন। একটা লুকোচুরি ভাব পুরো কাজটিকে ঘিরে। সেই কাজ এখনও চলছে। তবে গত ক'দিন ধরে কাজের তত্ত্বাবধানকারী কাউকে গিয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। কেবল শ্রমিকরা কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের কাছে কিছু জানতে চাইলে তারা বলেন, আমরা তো এ জেলার মানুষ নই, কাজ করতে এখানে এসেছি, কাজ করে চলছি। আর কিছু বলতে পারবো না।

আউটার স্টেডিয়াম এলাকা ঘুরে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই বছরাধিককাল সময় পূর্বে কাজটি শুরু করেন ঢাকার এক ঠিকাদার, যার হাত নাকি অনেক লম্বা (!)। যিনি জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় ক'জন (যারা জেলা ক্রীড়া সংস্থারও কর্মকর্তা)কে ম্যানেজ করেই নাকি এ কাজ শুরু করেছেন এবং এখনও করছেন।

বাস্তবতা হলো, আউটার স্টেডিয়ামের চারপাশে পুরানো ইট ও নিম্নমানের ইট দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বাউন্ডারি দেয়াল। এই অনিয়মের বিষয়ে আগ্রহী কোনো গণমাধ্যম কর্মী জানতে চেয়েছেন তো তৎকালীন ক্ষমতাধর মেয়র খেপে উঠতেন। তার ভাবটা ছিলো এমন--ঠিকাদার এতোটা ক্ষমতাধর, তার কাজের বিষয়ে ন্যূনতম নাক গলালে নাক ভেঙ্গে যাবে এবং কেউ হাত বাড়ালে হাত পুড়ে যাবে।

এই প্রকল্পের আওতায় মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সাঁতারু অরুণ নন্দী সুইমিংপুলটির গ্যালারীর কাজ বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু সুইমিংপুলের ভেতরের কাজ পরিপূর্ণ হয়ে উঠেনি।

স্থানীয় এলাকাবাসী ও ক্রীড়া-দর্শকদের সাথে আলাপকালে তারা জানান, আউটার স্টেডিয়ামে বিভিন্ন ইভেন্টের খেলার মাঠের অনেকাংশ জুড়ে কয়েক ধাপের সিঁড়ি বানানো হচ্ছে, যাতে ভবিষ্যতে খেলোয়াড়দের অনুশীলনের জন্যে মাঠ পেতে সমস্যায় পড়তে হবে।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার নতুন এডহক কমিটি কিংবা পরবর্তীতে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে জড়িত বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত কার্যকরী কমিটি যদি আউটার স্টেডিয়ামের কোটি কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের নকশা ও সিডিউল অনুযায়ী সকল হিসাব ও কাজের স্বচ্ছতা আদায় করে নিতে পারে, তাহলে প্রকল্পটি এগিয়ে নেয়া হবে সঙ্গত। এ ধরনের কাজের জন্যে অভিজ্ঞ ও সাবেক খেলোয়াড়দের নিয়ে কমিটি গঠন করা হলে এর কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে বলে অভিজ্ঞজনদের অভিমত।

প্রকল্পটির কাজের অগ্রগতির বিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুর সাথে মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া যায়নি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়