মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১, ৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ২৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   বয়ারচর সংযোগ ব্রিজ ও বেড়িবাঁধ রক্ষায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন
  •   জার্মানিতে কঠিন হচ্ছে রাজনৈতিক আশ্রয়
  •   ইতালির দ্বীপে নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ২১
  •   অভিভাবকহীনতায় দিশেহারা চাঁদপুরের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা
  •   আহতদের দেখতে নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ : ৩০ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

ঘাসে ভরপুর চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠের একাংশ

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥
ঘাসে ভরপুর চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠের একাংশ

চাঁদপুর স্টেডিয়াম জেলা শহরের খেলাধুলার মূল জায়গা। এ স্টেডিয়ামে বাফুফের আয়োজনে তেমন কোনো বড়ো কিংবা তৃতীয় ও দ্বিতীয় বিভাগ এবং প্রিমিয়ার ফুটবল লীগের আয়োজন না হলেও বিসিবি থেকে নিয়মিত স্কুল ক্রিকেট হতে শুরু করে বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট লীগের জেলা ও বিভাগীয় পযর্যায়ের খেলাগুলোর আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন স্টেডিয়ামের ভেতরের পুরো মাঠটি এবং মাঠের ভেতরের চারপাশে সকল কিছুই সমতল থাকলেও এ স্টেডিয়ামের ভেতরের অংশটি একটু ব্যতিক্রম। সরজমিনে স্টেডিয়ামের পুরাতন ‘মালেক ক্রীড়া ভবনে’র সামনের দিক দিয়ে ভেতরে ঢুকলেই দেখা যাবে যে, স্টেডিয়ামের একপাশে যেনো ঘাসের চাষ করা হচ্ছে। এছাড়া ওই স্থানে বাইরের থেকে এসে মাটির স্তূপ করা হয়েছে। স্টেডিয়ামের ভেতরে ছোট ছোট যে সমস্ত বাচ্চা অনুশীলন করতে যায়, তাদের ধারণা, স্টেডিয়ামের ভেতর ছোট ছোট পাহাড়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই এমনটি দেখা যায়। এই স্থানে স্টেডিয়ামের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের সংস্কারের ব্যবস্থা করাসহ ঘাস কাটার কোনো ব্যবস্থা দেখা যায় না সবসময়। মাঝে মধ্যে বড়ো বড়ো কোনো খেলাধুলার আয়োজন করা হলে তখন তড়িঘড়ি করে স্টেডিয়ামের ইলেকট্রিক মেশিন দিয়ে ঘাস কাটার ব্যবস্থা করা হয়।

শনিবার বিকেলে চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে গেলে দেখা যায় বিভিন্ন বয়সী ফুটবলার ও একপাশে ক্রিকেটারদের অনুশীলন চলছে। ভিআইপি প্যাভিলিয়ন এলাকার কবরস্থান লাগোয়া স্থানে খেলাধুলা করছিলো খেলোয়াড়রা। এদের মধ্যে বেশ ক’জন চাঁদপুর সরকারি কলেজ, ড্যাফোডিল কলেজসহ বিভিন্ন কলেজ পড়ুয়া ও জেলা সদরের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিভাগে কর্মরত-কর্মচারীগণ। তারা অবসর পেলেই ছুটে আসেন ফুটবল খেলতে। এদের মধ্যেই কয়েকজন এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে বলেন, আগে আউটার স্টেডিয়ামের বিভিন্ন স্থানে বেশ ফাঁকা ছিলো মাঠ। এখন তো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মাধ্যমে চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে কোটি কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। অনেকেই জানে না যে, কোন্ ইভেন্টের কাজ কত টাকার বিনিময়ে হচ্ছে। মাঠের যে স্থানে বড়ো বড়ো ঘাস ও মাটির স্তূপ দেখছেন, ঠিক সোজাসুজি গ্যালারির উপরে ৩য় তলা ও ৪র্থ তলায় সুন্দর যে স্থাপনা দেখছেন তা একটি হাসপাতালের। নামমাত্র টাকায় তাদেরকে বেশ ক’বছরের জন্যে লিজ দেয়া হয়েছে। অথচ এইখানে জেলা ক্রীড়া সংস্থা চেষ্টা করলে খেলোয়াড়দের জন্যে আবাসিক হোটেল করতে পারতো। জেলা ক্রীড়া সংস্থা খেলোয়াড়দের জন্যে তেমন কিছুই ভাবেন না। আমরা তো অবসর পেলে খেলতে চাই। এর মধ্যে জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে স্টেডিয়ামের মূল গেইট বন্ধ থাকে বেশির ভাগ সময়ই। একটু খেলাধুলার জন্যে অন্যরা যেভাবে মাঠে ঢুকে আমরাও সেইভাবে মাঠে প্রবেশ করে খেলাধুলা করে চলে যাই। মাঠের বিভিন্ন স্থানে যে বড়ো বড়ো ঘাস হচ্ছে, এই স্থানে যদি আমাদেরসহ অন্যদেরকে খেলাধুলার জন্যে ব্যবস্থা করে দেয়া হতো তাহলে পুরো মাঠটিই ঘাসমুক্ত থাকতো, খেলোয়াড়দের সংখ্যা বাড়তো আর জেলা ক্রীড়া সংস্থার বাড়তি খরচ ঘাসকাটার মেশিনের তেলের খরচ বেঁচে যেতো বলে মনে করি আমরা।

চাঁদপুর স্টেডিয়ামে নিয়মিত খেলা দেখতে আসা ক্রীড়া দর্শকরা এ প্রতিবেদককে বলেন, এ মাঠটিতে এখন আর নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করতে দেখা যায় না। আমাদের এ আসনের মাননীয় সমাজকল্যাণমন্ত্রী খেলাপ্রিয় মানুষ। তিনি যদি জেলা ক্রীড়া সংস্থায় নিয়মিত এসে খেলাধুলার খোঁজখবর নিতেন, তাহলে এ জেলার ক্রিকেটার ও ফুটবলারগণ নিয়মিত বিভিন্ন টুর্নামেন্টে এবং লীগে খেলার সুযোগ পেতেন। এ স্টেডিয়ামের চারদিকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ক্লাবগুলোর দোকান। ক্লাব ২৪টি এ বছর হয়েছে। কিন্তু এর আগে তো অনেক দোকান বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। কোটি কেটি টাকা তো মনে হয় স্টেডিয়ামের ডিপোজিট রয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকে। অথচ স্টেডিয়ামের পক্ষ থেকে মাঠের ঘাস পরিষ্কার, কিংবা খেলোয়াড়দের জন্যে আবাসিক প্রশিক্ষণ ও টুর্নামেন্টের ব্যবস্থা করতে পারছে না। জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন ক্লাব ক্রীড়া সংস্থার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেলেও তারা খেলাধুলা থেকে বিরত থাকছে বছরের পর বছর। এতে করে জেলা ক্রীড়া সংস্থার গুটিকয়েক লাভবান হলেও খেলাধুলা থেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছেন ক্রীড়াবিদরা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়