প্রকাশ : ১৫ মে ২০২৪, ০০:০০
শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির ট্যালেন্ট হান্টে ৫ শতাধিক বয়সভিত্তিক ক্রিকেটার
শাহরাস্তি উপজেলায় প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো ক্রিকেটারদের নিয়ে ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচি। এই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন বিভিন্ন উপজেলার বয়সভিত্তিক ৫ শতাধিক ক্রিকেটার। দুদিনব্যাপী কর্মসূচিতে প্রায় শতাধিক ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন। এদের থেকে বাছাই করে চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে একাডেমি থেকে।
প্রথম বিভাগের ক্রিকেটার সাদ্দাম হোসেন মিঠু'র পৃষ্ঠপোষকতায় ও শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির আয়োজনে সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে থাকা প্রতিভাবান প্লেয়ারদের স্বপ্ন পূরণে শুক্রবার ১০ মে সকাল ১০টায় দুদিনব্যাপী ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচি শুরু হয় এবং ১১ মে এই কর্মসূচি শেষ হয়।
এই কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ ইয়াসির আরাফাত। সভাপতিত্ব করেন সূচীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ হাবিব উল্যাহ। অনুষ্ঠানটিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শাহরাস্তি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আলমগীর হোসেন।
আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বয়সভিত্তিক দলের হেড কোচ ও চাঁদপুর জেলার ক্রিকেট কোচ মোঃ শামীম আক্তার ফারুকী, বিশিষ্ট সংগঠক ও ইন্দিরা রোড ক্রিকেট একাডেমি'র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মাজিদ, বাংলাদেশ জাতীয় বধির ক্রিকেট দল ও ঢাকা মেরিনার্স ইয়াং ক্লাবের হেড কোচ আনিসুল ইসলাম ভূঁইয়া নিপুসহ অনেকেই।
উল্লেখ্য, প্রায় পাঁচশত কিশোর-তরুণ-যুবক (যাদের বয়স ১০ থেকে ২১ বছর) বয়সী ক্রিকেটার এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে। চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলা থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে মোট ৪০ জন প্লেয়ার বাছাই করা হবে। সেরা ৪০ জনকে উন্নত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বয়সভিত্তিক দল এবং ঢাকার বিভিন্ন লীগে খেলার সুযোগ করে দেয়া হবে। এছাড়া যারা বিকেএসপিতে ভর্তি হতে আগ্রহী তাদেরকে যোগ্যতা অনুযায়ী ভর্তি হওয়ার সুযোগ করে দেয়া হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ ক্রিকেট একাডেমি চালু হবে, যাতে সবধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে এবং ভালো মানের কোচ ও ট্রেইনার থাকবে।
প্রধান অতিথি মোঃ ইয়াসির আরাফাত শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আগত সকল খেলোয়াড়ের উদ্দেশ্যে বলেন, সাদ্দাম হোসেন মিঠুর প্রচেষ্টায় খেলোয়াড় অন্বেষণ কর্মসূচির মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের ভালো খেলোয়াড় তৈরি হবে বলে আমার বিশ্বাস। তার একক উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি গ্রহণের জন্যে তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
শাহরাস্তি ক্রিকেট একাডেমির পরিচালক মোঃ সাদ্দাম হোসেন মিঠু বলেন, এই সকল কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গেলে ভালো মানের পৃষ্ঠপোষকতার প্রয়োজন হয়। ভালো মানের পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আমি ইনশাআল্লাহ এসব ট্যালেন্ট হান্টের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের কিছু ভালো মানের খেলোয়াড় বের করে আনতে পারবো। সকলেই এগিয়ে আসলে এসব প্রোগ্রামের মাধ্যমে আমি শাহরাস্তিতে থেকেও বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরি করতে পারবো। যারা ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়েও খেলতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস। এই একাডেমীর আয়োজনে ট্যালেন্ট হান্ট কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলো ৫ শতাধিক ক্রিকেটার। এখন ১০০ জনের ওপর বয়সভিত্তিক ক্রিকেটার বাছাই করা হয়েছে। এখান থেকেই চূড়ান্তভাবে ক্রিকেটার বাছাই করে সেখান থেকে তাদেরকে একাডেমির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে।