শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

ক্রীড়াকণ্ঠের সাথে আলাপচারিতায় ক্রিকেট কোচ রণজিৎ রায় সানি

স্টেডিয়ামে লীগ নিয়মিত না হলে ফুটবলের মতো ক্রিকেটও হারিয়ে যাবে

চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥
স্টেডিয়ামে লীগ নিয়মিত না হলে ফুটবলের মতো ক্রিকেটও হারিয়ে যাবে

যেই মাঠে নিজে খেলেছেন নিজ ক্লাব কিংবা দলের হয়ে তার যৌবন বয়সে, সেই মাঠেই আবার ফিরে এসেছেন ঢাকা বিভাগীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ হিসেবে। খেলার মাঠে খেলার সময় যেমন চেষ্টা করেছেন নিজের জন্যে ও দলের জন্যে, তেমনই বর্তমানে মাঠে দলের খেলোয়াড় ও দলকে নিয়ে ভালো রেজাল্টের চেষ্টা চালিয়ে যান সবসময়ই। বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দলের কোচ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন প্রায় ১ যুগ ধরে। তার কাছে হাতেখড়ি পাওয়া অনেক ক্রিকেটার ও প্রমীলা ক্রিকেটার খেলছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট ও প্রমীলা ক্রিকেট দলের হয়ে। নিজেও তার জন্মভূমি চাঁদপুর জেলা ক্রিকেট দলের হয়ে খেলেছেন ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশীপসহ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে জাতীয় ক্রিকেট লীগে।এবার ৪২তম জাতীয় ক্রিকেট লীগে রাজধানী ঢাকা জেলা দলের প্রধান কোচ হিসেবে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে দল নিয়ে এসেছেন। তিনি হলেন ক্রিকেট মহলে সকলের কাছে পরিচিত ক্রিকেট কোচ রণজিৎ রায় সানি। তার বাবার নাম মৃত রাজেস সাম রায়। মাতা উষা রায়। মিনতী রায় ও রঞ্জন রায়ের ছোট ভাই রণজিৎ। তারা বসবাস করতেন চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজারস্থ পূর্বশ্রীরামদী দাসপাড়া এলাকাতে। তার স্কুল জীবন, শৈশব, কৈশোর সকল কিছুই কেটেছে চাঁদপুরে। বর্তমানে কোচিং পেশার কারণে বসবাস করেন ঢাকাতে। ঢাকার তাঁতী বাজারে মা ও পরিবারের অন্যান্য আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে বসবাস করছেন। প্রায় ২ যুগ ধরে ঢাকা আবাহনী মাঠে আইসিএ (ইনডোর ক্রিকেট একাডেমী) প্রধান কোচ এবং প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগ (সিসিএস প্রিমিয়ার), সিসি এস কোল্ড (২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগ) ও সিসিএস ওয়াইট এবং সিসিএস রেড দলের কর্ণধার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কোচের দায়িত্ব পালন করতে হয়েছে দেশের নামকরা কলাবাগান ক্রীড়া চক্র ও ফরাশগঞ্জ ক্লাব এবং সিনা টেক্সটাইল লিমিটেড (২য় বিভাগ) দলের। নিজের জন্মস্থান পুরাণবাজার দাসপাড়া এলাকাস্থ নূরিয়া পাইলট হাইস্কুল থেকে এসএসসি পাস করে ভর্তি হন পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজে। এই কলেজ থেকে পাস করার পর ভর্তি হন অর্নাস (সাধারণ ইতিহাসে) ও মাস্টার্সে (ইতিহাস ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে। খেলাধুলা ছেড়ে দেয়ার পরপরই জড়িত হয়ে পড়েন কোচিং পেশার সাথে। মাঠে খেলা ছেড়ে দিলেও মাঠের মায়া মমতা ধরে রাখার জন্যে খেলাধুলার সাথেই নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। একজন উইকেট রক্ষক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের এলাকার ক্লাবসহ জেলা দল ও ঢাকার বেশ ক’টি ক্লাবের হয়ে নিয়মিত মূল একাদশের হয়েই মাঠে নামতেন রণজিৎ রায় সানি। তার মতে, আমরা যখন খেলাধুলা করেছি, তখন আমাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ও শ্রদ্ধাবোধটি ছিলো সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বতর্মান সময়ে সিনিয়র ক্রিকেটারদের প্রতি জুনিয়র ক্রিকেটারদের সেই শ্রদ্ধাবোধটি তেমন চোখে পড়ে না।

হাসিখুশি ও স্পষ্টবাদী ক্রিকেট কোচের সাথে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ঢাকা জেলা ক্রিকেট দলের অনুশীলন চলাকালে ক্রীড়াকণ্ঠের প্রতিবেদকের আলাপচারিতা হয়। তিনি তার দল সহ দলের ক্রিকেটার এবং চাঁদপুরের ক্রিকেটের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। তার কথাগুলোই পাঠকদের জন্যে হুবহু তুলে ধরা হলো।

ক্রীড়াকণ্ঠ : দাদা, কেমন আছেন আপনি?

রণজিৎ রায় সানি : জ্বি আমার মায়ের আশীর্বাদ ও আমার জেলার সকল মুরব্বী-বন্ধুবান্ধব এবং বর্তমান সময়ে ঢাকা জেলা দলের সকল কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়দের আশীর্বাদ ও ভালোবাসায় ভালোই আছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : খেলাধুলা শুরু করেন কবে থেকে?

রণজিৎ রায় সানি : আমার খেলাধুলা শুরু হয় ১৯৮৭ সাল থেকে। আমার প্রথম ক্লাব হচ্ছে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অন্তর্ভুক্ত ক্লাব পূর্ব শ্রীরামদী ক্লাব। ওই সময় থেকে আমার ক্রিকেটে সকল কিছু শুরু হয়। আমি তখন ক্লাস সেভেনে পড়ি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : চাঁদপুর স্টেডিয়ামে খেলেন কখন থেকে? ওই সময় আপনার দলের ক্রিকেটার কারা কারা ছিলেন?

রণজিৎ রায় সানি : আমি ১৯৮৯ ও ১৯৯০ সালে হার্ট অ্যাটাক ক্লাবের হয়ে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে অংশ নেই। আমি এই দলের হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগে টানা ১০ বছর খেলি। ওই সময়ে আমার সাথে আমার দলের খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন ক্রিকেটার মহসিন, ফরিদ দিদার, মিশন বেপারী, আমিন বেপারী, পাশা, মাসুদ, আশরাফুল, বিশ্বজিত দাস, বাদল দাস, টিটু চৌধুরীসহ অনেকেই।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি যখন চাঁদপুরে নিয়মিত ক্রিকেট খেলতেন, তখন কোন্ কোন্ ক্রিকেটারের সাথে খেলেছেন বেশি?

রণজিৎ রায় সানি : আমাদের সময়ে অনেক ক্রিকেটার ছিলো। দলে সুযোগ পাওয়ার জন্যে অনেক কষ্ট করতে হতো। কারো তদবিরে নয়, যে ভালো খেলতো সে-ই দলের হয়ে মাঠে নামার সুযোগ পেতো। আমরা খেলে টাকা নিবো এটা তখন মাথায় ছিলো না। দলের হয়ে এবং নিজের জন্যে খেলতে হবে এই চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমরা খেলেছি। কিন্তু বর্তমানে চাঁদপুরে এসে দেখলাম ও শুনলাম, ক্রিকেটারগণ খেলার আগে টাকার বিষয়টি আগে নিয়ে আসছেন। আমি যখন চাঁদপুর মাঠে এবং জেলা দলের হয়ে নিয়মিত খেলি, তখনকার সময়ে জেলার হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান ও অলরাউন্ডারদের মধ্যে ছিলেন হারু ঘোষ, মোস্তফা হোসাইন মুকুল, মজিব খন্দকার, শামিম ফারুকী শাম্মি ভাই, গোলাম মোস্তফা বাবু, আনোয়ার মাঝি, সমর দা, সজল, সেন্টু, শিবু, আজিম ফারুকী, সঞ্জয় দাস সুমন, সাইফুল ইসলাম সুমন, সঞ্জয় কর্মকার সুখন, মিঠু, ফয়সাল আহমেদ বাহার, শিমুল, সফিউল আলম রাজন, মজু রাসেল, শেখ মঞ্জুরুল হক সোহেল, গাজী আলমগীর, জামিল, পিটুল মিজি, বিপুল মিজি, ভুট্টো, মন্টিল, সাগরসহ আরো অনেকে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : চাঁদপুর জেলা দলের হয়ে খেলেছেন?

রণজিৎ রায় সানি : আমি ১৯৯০-১৯৯১ সালে চাঁদপুর জেলা দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাই। আমি জেলা দলের হয়ে সুযোগ পেয়েই প্রথমে অংশ নেই ইয়ুথ চ্যাম্পিয়নশীপ প্রতিযোগিতায়। আমাদের দলের প্রথম পর্যায়ের খেলাগুলো কুমিল্লায় অনুষ্ঠিত হয়। সেই পর্বে আমাদের দল ভালো করার কারণে আমরা ঢাকাতে খেলার সুযোগ পাই। ঢাকা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ক্রিকেট খেলায় আমাদের দল সারা বাংলাদেশের মধ্যে রানারআপ হয়। আমি সেই দলের নিয়মিত ক্রিকেটার ছিলাম। আমি জেলা ক্রিকেট দলের হয়ে জাতীয় ক্রিকেটে ১৯৯৩ সাল থেকে নিয়মিত ৭ বছর খেলেছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি ঢাকার কোন্ কোন্ ক্লাবের হয়ে কোন্ কোন্ লীগ খেলেছেন?

রণজিৎ রায় সানি : আমি ১৯৯১-৯২ সালে নবাবগঞ্জ লালবাগ কামরাঙ্গিরচর দলের হয়ে ২য় বিভাগ ক্রিকেট লীগ খেলা শুরু করি। একই বছর ওয়ান্ডার্স ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগের খেলায় অংশ নেই। ওয়ান্ডার্সে ৩ বছর খেলার পর যোগ দেই লালমাটিয়া ক্লাবে। এই ক্লাবে ২ বছর খেলার পর যোগ দেই প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগে খেলা ভিক্টোরিয়া স্পোর্টিং ক্লাবে। ভিক্টোরিয়াতে খেলার পর প্রিমিয়ারে যোগ দেই অগ্রণী ব্যাংকে। অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে খেলার পর পরবর্তীতে আবার লালমাটিয়া ক্লাবের হয়ে খেলি। আমি টানা ১৪ বছর রাজধানীতে বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলার পাশপাশি দেশের বিভিন্ন বিভাগের ক্লাবগুলোর হয়ে অনেক মাঠে খেলার সুযোগ পেয়েছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : খেলাধুলা থেকে অবসরে চলে যান কখন এবং কেন?

রণজিৎ রায় সানি : আমি ২০০৫ সাথে উইকেটকিপিং করা অবস্থায় পায়ে প্রচণ্ড আঘাত পাই। আমার পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা পাওয়ার কারণেই আমি খেলা ছেড়ে দেই। তবে মাঠ ছেড়ে যাইনি, মাঠের সাথে বর্তমানেও জড়িত রয়েছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি কোচিংয়ে আসেন কখন, কোন লেভেল করেছেন, কারা কারা ছিলেন?

রণজিৎ রায় সানি : আমি ১৯৯৬ সালে খেলাধুলার পাশাপাশি কোচিং পেশায় জড়িত হই সিসিএস একাডেমী থেকে। আমি লেভেল-১ ও ২ (আপগ্রেড) আমার কোচিংয়ের সময় যৌথভাবে দায়িত্বে ছিলেন ওয়াহেদুল গনি, দীপু চৌধুরী ও হালিম বাবু। আমি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের আয়োজনে উইকেটকিপার হান্টিং (আইসিসি) প্রোগাম সারা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় হান্টিং প্রোগ্রামের দায়িত্বে ছিলেন ভারতের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার সৈয়দ কিরমানি। সাথে ছিলেন ওয়াহিদুল গনি ও মন্টু ভাই। সারা বাংলাদেশ থেকে ৫জন উইকেটরক্ষক (ক্রিকেটার) বাছাই করেন। সেই বাছাইয়ে আমিও ছিলাম।

ক্রীড়াকণ্ঠ : প্রধান কোচ হিসেবে ঢাকা জেলা দলের হয়ে কবে থেকে দায়িত্ব পালন করেন?

রণজিৎ রায় সানি : আমি ২০০১ ও ২০০২ সালের দিকে ঢাকা জেলা দলের হয়ে নিজে ক্রিকেট খেলায় অংশ নেই। পরবর্তীতে কোচিং স্টাফ হিসেবে পর্যায়ক্রমে ঢাকার জুনিয়র ক্রিকেটারদের নিয়ে কাজ শুরু করি। ২০০৭ সাল থেকে জেলা দলের মূল দায়িত্বে রয়েছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি যেই লীগে চাঁদপুরের হয়ে খেলেছেন, আবার সেই লীগে ঢাকা দলের হয়ে প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন?

রণজিৎ রায় সানি : আমার তো অনেক আনন্দ লাগছে। নিঃসন্দেহে দিনটি এবং সময়টি ভালো যাচ্ছে নিজ জন্মভূমিতে। নিজের মাঠে খেলেছি এবং নিজের মাঠে দলের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করছি--এটাই আমার প্রাপ্তি। দলের কর্মকর্তা ও খেলোয়াড়রা সকলেই অনেক আন্তরিক খেলাধুলার ব্যাপারে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : ক্রিকেট কোচ হিসেবে আপনার হাতে গড়া ক্রিকেটার ও প্রমীলা ক্রিকেটার কারা কারা খেলছেন?

রণজিৎ রায় সানি : আমার সাথে কোচিংয়ে অংশ নেয়া ক্রিকেটারদের মধ্যে পরবর্তীতে যারা খেলার সুযোগ পেয়েছেন, তারা হলন : মেহেরাব জুনিয়র, ইলিয়াছ সানি, আরাফাত সানি, সাইফ হাসান, তানভীর, রাকিবুল। আর প্রমীলা ক্রিকেটারদের মধ্যে পান্না ঘোষ, মিথিলা রাণী, চামেলি খাতুন, আয়েশা, মনা, লতা মন্ডল, ইসমা, সোহেলী, শামিমা সুলতানা, চম্পা চাকমা, একা মৌলিক, তিথি রাণী, বিউটি সহ অনেকে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : চাঁদপুর জেলার ক্রিকেট নিয়ে?

রণজিৎ রায় সানি : আমি ২০০০ সালের পর থেকেই চাঁদপুর ছেড়ে দেই। ঢাকায় খেলাধুলার সাথে জড়িয়ে পড়ি। চাঁদপুরে অনেক দিন পর এসে দেখলাম, এখানে শাম্মি ভাইয়ের ক্রিকেট একাডেমীতে অল্প ক’জন প্রমীলা ক্রিকেটার অনুশীলন করছেন। ঢাকাতে তো আমরা প্রমীলা ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধা পাই, যেটা আমি আমার নিজ জন্মভূমিতে এসে দেখিনি। চাঁদপুর জেলার ক্রিকেট এগিয়ে নিতে হলে নিয়মিত খেলাধুলা চালিয়ে যেতে হবে, তাহলেই খেলোয়াড় সৃষ্টি হবে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : চাঁদপুরের ক্রিকেট উন্নয়নের জন্যে কী প্রয়োজন?

রণজিৎ রায় সানি : নতুন উদীয়মান ক্রিকেটারদের মধ্যে আন্তরিকতার অনেক অভাব। দেখা গেছে, মাঠে মাঝে মাঝে সাবেক ক্রিকেটাররা কিন্তু ঘুরে ফিরে অসেন। যারা রানিং কিংবা ঢাকার মাঠে ৮/১০ বছর আগে ক্রিকেট খেলেছেন, তারা কিন্তু মাঠে আসছেন না। তারা স্টেডিয়ামমুখী নয়। এখানে সবচেয়ে বড় ব্যাপার, স্টেডিয়ামে যদি লীগ নিয়মিত চালু না রাখা হয়, ফুটবলের মতো ক্রিকেটও হারিয়ে যাবে। সাবেক ক্রিকেটার যারা মাঠে আসেন, তাদেরকে নিয়ে ক্রিকেটের জন্যে কাজ করাতে হবে। তাহলেই জেলা পর্যায়ে ক্রিকেটার বাড়বে। বর্তমান ক্রিকেটারদের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে। খেলাধুলার আয়োজকদের পাশপাশি খেলোয়াড়দেরকে সকল কিছু মেনে চললেই ভালো খেলোয়াড় সৃষ্টি হবে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : জ্বি আপনাকে ধন্যবাদ।

রণজিৎ রায় সানি : আপনাকেও ধন্যবাদ। চাঁদপুরের খেলাধুলার ব্যাপারে সবসময় খোঁজ-খবর নেন এবং নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়