প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
সারাদেশের ন্যায় আগামী ১ ফ্রেবুয়ারি থেকে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস্ প্রতিযোগিতাণ্ড২০২৩। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা কর্তৃপক্ষ।
১৯৭৩ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে অ্যাথলেটিক্সে প্রান্তিক থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত প্রতিযোগিতা হয়েছিলো। দীর্ঘ ৪৯ বছর পর আবারও তা আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে।
বিশ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীর অংশগ্রহণে বাংলাদেশ অ্যাথলেটিকস্ ফেডারেশনের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র, দেশে আধুনিক ক্রীড়ার রূপকার শহীদ শেখ কামালের নামানুসারে গত ১৪ জানুয়ারি শনিবার দেশব্যাপী শুরু হয়েছে ‘শেখ কামাল আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস্ প্রতিযোগিতাণ্ড২০২৩’।
তৃণমূল থেকে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত অ্যাথলেটিকস্ শিক্ষার্থীদের নিকট আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয় করা এবং লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশ সহ প্রতিযোগী মনোভাব গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশব্যাপী ক্রীড়া আন্দোলন সৃষ্টির লক্ষ্যে আন্তঃস্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস্ প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন করার জন্যেই এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
দেশের ৫০০টি উপজেলা, ৬৪টি জেলা ও ৮টি বিভাগের মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার আনুমানিক ২০ লক্ষাধিক শিক্ষার্থী এতে অংশ নিবে বলে আশা করছে ফেডারেশন। আগামী ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই অ্যাথলেটিকস্ প্রতিযোগিতার জেলা পর্যায়ের খেলা অনুষ্ঠিত হবে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৯ থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
শ্রেণীভিত্তিক দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে শিক্ষার্থীরা। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা ‘ক’ গ্রুপ এবং নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীরা ‘খ’ গ্রুপের হয়ে অংশ নিবে এই প্রতিযোগিতায়।
‘ক’ গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীরা ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়, হাই জাম্প ও লং জাম্পে অংশ নিবে। ‘খ’ গ্রুপের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ১০০, ২০০, ৪০০, ৮০০ ও ১৫০০ মিটার দৌড়, হাই জাম্প, লং জাম্প, ট্রিপল জাম্প, বর্শা নিক্ষেপ, শট পুট, ডিসকাস থ্রো এবং ৪ গুণিতক ১০০ মিটার রিলেতে।
জানা যায়, ভবিষ্যতের অ্যাথলেট তুলে আনার এই প্রতিযোগিতা হবে চার ধাপে। শুরুতে ১৪ জানুয়ারি থেকে ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে মাঠে গড়ায় এই টুর্নামেন্ট, চলবে ২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এরপর জেলা পর্যায়ে ১ থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি ও বিভাগীয় পর্যায়ে চলবে ৯ থেকে ১৩ ফেব্রয়ারি পর্যন্ত। পরবর্তীতে বিভাগীয় পর্যায়ে বিজয়ী অ্যাথলেটদের নিয়ে হবে চূড়ান্ত পর্ব।
শিক্ষার্থীদের দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ‘ক’ গ্রুপে রয়েছে ৬ষ্ঠ থেকে ৮ম শ্রেণি (ছাত্র/ছাত্রী) ও ‘খ’ গ্রুপে রয়েছে ৯ম থেকে ১০ম শ্রেণি।
‘ক’ গ্রুপে ইভেন্ট চারটি--১০০ ও ২০০ মিটার দৌড় এবং হাই জাম্প ও লং জাম্প।
‘খ’ গ্রুপে আবার ইভেন্ট বেশি। ১০০, ২০০, ৪০০, ৮০০ ও ১৫০০ মিটার দৌড়, হাই জাম্প, লং জাম্প, ট্রিপল জাম্প, জ্যাভলিন থ্রো, শটপুট, ডিসকাস এবং ৪১০০ মিটার রিলে।
অ্যাথলেটিকস ফেডারেশনের নতুন সভাপতি হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন। দায়িত্ব নেয়ার ১ মাস ১৫ দিনের মাথায় তিনি সারা দেশেই এ টুর্নামেন্টের আয়োজন করেন। তিনি বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও নান্দনিক বিকাশসহ প্রতিযোগী মনোভাব গড়ে তোলার মাধ্যমে দেশব্যাপী একটি ক্রীড়া আন্দোলন সৃষ্টির লক্ষ্যে স্কুল ও মাদ্রাসা অ্যাথলেটিকস প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজন করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতের সুনাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য এমন আয়োজন হচ্ছে। এর মাধ্যমে ক্রীড়াক্ষেত্রে এক অনবদ্য প্রাণচাঞ্চল্য ও প্রণোদনা সৃষ্টি হবে বলে আমরা মনে করছি।
তিনি আরও বলেন, এখান থেকে ভবিষ্যতের অ্যাথলেট যেন বেরিয়ে আসে সেই চেষ্টা থাকবে। প্রতিভাধারীদের বাছাই করে দেশী-বিদেশী কোচের অধীনে প্রশিক্ষণের চিন্তা-ভাবনা আছে। যেন আমরা এসএ গেমসসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো করতে পারি।