বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২১, ০০:০০

কাল বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ ছেলে শেখ কামালের ৭২তম জন্মবার্ষিকী
অনলাইন ডেস্ক

কাল ৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ ছেলে শেখ কামালের ৭০তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৪৯ সালের এইদিনে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে মাত্র ২৬ বছর বয়সে তাঁকেও ঘাতকেরা হত্যা করে।

১৯৬৯-র গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা পালন করেন শেখ কামাল। তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ওয়্যার কোর্সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন্ড লাভ করেন ও মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানির এডিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য ছিলেন। শাহাদাতবরণের সময় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের এমএ শেষ পর্বের পরীক্ষার্থী ছিলেন এবং বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন জাতীয় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন।

শাহীন স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ অনার্স পাস করেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী শহীদ শেখ কামাল। তিনি ‘ছায়ানট’-এর সেতার বাদন বিভাগের ছাত্র ছিলেন; ছিলেন মঞ্চনাটক আন্দোলনের প্রথম সারির সংগঠক। বন্ধু শিল্পীদের নিয়ে গড়ে তুলেছিলেন ‘স্পন্দন শিল্পী গোষ্ঠী’। শেখ কামাল ছিলেন ঢাকা থিয়েটারের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। অভিনয় শিল্পী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যাঙ্গনে প্রতিষ্ঠিত ছিলেন।

শেখ কামাল আবাহনী ক্রীড়াচক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৪ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিপ্রাপ্ত দেশবরেণ্য অ্যাথলেট সুলতানা খুকুর সাথে তাঁর বিয়ে হয়।

রাজনীতিক বাবার সন্তান শেখ কামাল কোনো শর্টকাট পথে উপরে যাওয়ার পথ দেখেননি বা দেখতে চাননি। মুক্তিযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়ে মুক্তিবাহিনীতে কমিশন লাভ করে মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি জেনারেল ওসমানীর এডিসির দায়িত্ব পালন করেছেন। চাইলে এই পথে তিনি সেনাবাহিনীতে গিয়ে নিশ্চিত জীবন-যাপন করতে পারতেন। কিন্তু স্বাধীনতার পর শেখ কামাল সেনাবাহিনী থেকে অব্যাহতি নিয়ে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করেন।

ছাত্ররাজনীতিতেও তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একজন সদস্য হিসেবে নেতাদের নেতৃত্বে কাজ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে, ছাত্রও ভালো, ক্লাসে প্রথম সারিতে বসে মন্ত্রমুগ্ধের মতো শিক্ষকের কথা শুনবেন এমনটা ছিলেন না তিনি। বরাবরই তাগিদ ছিলো তার ভিন্ন কিছু করার।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর রাজনৈতিক জীবনে পরিবারকে সময় দিতে পেরেছেন খুব কম। বলতে গেলে তাঁর পরিবার বঞ্চিতই থেকেছে বেশি। দেশ ও জনগণকে ভালোবাসার জন্যে নিজের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনকে যেভাবে ছেড়ে থেকেছেন তিনি, তেমন দৃষ্টান্ত পৃথিবীর সেরা বিপ্লবী ও নেতারাই কেবল রেখে গেছেন। তবে দুঃখজনক অভিজ্ঞতা হলো, সেই নেতাকে ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের ত্যাগকে অনেক সময়ই বিতর্কিত করার হীন ষড়যন্ত্র সবসময় হয়েছে, অপপ্রচার চালানো হয়েছে, যা বহু মানুষ বিশ্বাসও করেছে। সত্য-মিথ্যা যাচাই করে না বছরের পর বছর সেই মিথ্যার ঢোল বা বাজনা বাজানো হয়েছে।

শেখ কামালের শৈশব থেকে ফুটবল, ক্রিকেট, হকি, বাস্কেটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় প্রচণ্ড উৎসাহ ছিলো। তাঁর ভাবনা ছিলো দেশের তরুণদের ক্রীড়ার মাধ্যমে সংগঠিত করা, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিয়ে যাওয়া। শেখ কামাল গিটার বাজাতেন, সংগীত চর্চা করতেন, নাট্য চর্চা করতেন। তিনি আড্ডা মাতিয়ে রাখতেন। কিন্তু তাঁর দুর্বলতা ছিলো যে, তিনি বঙ্গবন্ধুর পুত্র, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে।

শহীদ শেখ কামালের জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও ক্রীড়া মন্ত্রাণলের আওতায় এবং জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজেনে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে এদিন রয়েছে সকালে স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং এরপর স্টেডিয়াম প্যাভিলিয়ানে কোরআনখানি ও মিলাদ-মাহফিলের আয়োজন।

লেখক : সাধারণ সম্পাদক, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, চাঁদপুর।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়