প্রকাশ : ০৭ জুন ২০২২, ০০:০০
অনুশীলনে দেখা গেছে, সমবয়সী ছেলে ও প্রমীলা ফুটবলার ব্যস্ত। একই বয়সী ফুটবলারদের নিয়ে দুটি ভাগে ভাগ করে ম্যাচ চলছে। এরমধ্যেই বয়সে ছোট হলেও ম্যাচ চলাকালীন দেখা গেছে, প্রাকটিস ম্যাচেও বল দখলের লড়াইয়ে অনেকের চেয়ে সে এগিয়ে রয়েছে। বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়দের থেকে কৌশলে বল নিজের আয়ত্তে রেখে দলের অন্য ফুটবলারদেরকে দিয়ে খেলছে মাঠে। এখনও প্রাইমারি স্কুলের গণ্ডি পার হয়নি সে। স্কুলের ছুটি শেষে চলে যায় সোনালী অতীত ফুটবল একাডেমীতে। সেখান থেকে একাডেমীর কোচগণ যখনই যে স্থানে সুযোগ পায় সে স্থানেই একাডেমীর ছাত্রদের নিয়ে অনুশীলনে নেমে পড়েন। ৪ ভাইয়ের মধ্যে সে ২য়। পরিবারের সদস্যদের উৎসাহে সে নিয়মিত ফুটবল অনুশীলন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সপ্তাহের শুরুতে চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠে অনুশীলন চলাকালে ক্রীড়াকণ্ঠের প্রতিবেদক চৌধুরী ইয়াসিন ইকরামের সাথে কথোপকথনে অনুশীলনরত রামাকান্ত সুব্রত তার প্রতিক্রিয়ায় বলে, আমি ফুটবল খেলায় একজন ভালো স্ট্রাইকার হিসেবে পরিচিত হতে চাই। তার বাবা সবুজ হরিজন মতলব উপজেলা নির্বাহী অফিসে কর্মরত রয়েছেন এবং মা রীতা গৃহিণী। তার বাবা ও মা তাকে একাডেমীতে ভর্তি করিয়ে দেন ফুটবল খেলার জন্যে। সে শহরের বিষ্ণুদী আজিমিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়াশোনা করছে। স্কুল ছুটি হলেই চলে আসে একাডেমীতে অনুশীলন করার জন্যে। স্টেডিয়াম পাড়ায় খুদে ফুটবলার হিসেবে রামাকান্তকে সকলেই চিনে। তার স্বপ্ন এখন ফুটবলকে নিয়ে। সে জানায়, আমাদের কোচ জাহাঙ্গীর ও মানিক কাকা আমাদেরকে খেলার ব্যাপারে অনেক উৎসাহ দিয়ে থাকেন। আমরা চাই, আমাদের চাঁদপুর মাঠে নিয়মিত ফুটবল লীগ ও ফুটবল ম্যাচ যেনো ছোটদের নিয়ে আয়োজন করা হয়।