প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর জেলা শহরে এসএসসি পড়–য়া ’৯৭ ব্যাচের আয়োজনে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ২০২০ সালে। আর গত বছরের অর্থাৎ ২০২১ সালের বছরের শেষদিনে একই ব্যাচের জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্কুলে পড়–য়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে আয়োজন করা হয় পিকনিক ও ফুটবল খেলার প্রতিযোগিতা। ৪টি দলে অংশ নেয়া ফুটবলাররা সকলেই ছিলেন একসাথে পড়–য়া শিক্ষার্থী। চাঁদপুর জেলা সদরের বাবুরহাটের একটি পার্কে ফুটবল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ৪টি দল। দলগুলো হলো : চাঁদপুর টাইটান্স, চাঁদপুর ওয়ারিয়র্স, চাঁদপুর হান্টার ও চাঁদপুর ফাইটার্স। দলগুলোর স্বত্বাধিকারী ছিলেন চাঁদপুর ফাইটার্সের মোঃ কামাল হোসেন, চাঁদপুর হান্টার্সের ওয়াসিম আকরাম, চাঁদপুর টাইটানস-এর শুভাশীষ (শ্রীগুরু) ও চাঁদপুর ওয়ারিয়র্সের কাজী হুমায়ন কবির। খেলোয়াড়দেরকে উৎসাহ দেয়ার জন্যে তাদের সাথে পড়–য়া বান্ধবীসহ তাদের শুভাকাক্সক্ষীরা উপস্থিত ছিলেন।
চূড়ান্ত পর্বের খেলায় চাঁদপুর টাইটান্স ২-০ গোলে চাঁদপুর হান্টারকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে। চাঁদপুর টাইটানসের হয়ে গোল দুটি করেন আজিজুর রহমান। অপরদিকে চাঁদপুর ফাইটার্স ও চাঁদপুর ওয়ারিয়র্সের মধ্যকার খেলায় চাঁদপুর ফাইটার্স ১ গোলে জয়ী হয়ে ফাইনালে উঠে। চাঁদপুর ফাইটার্সের পক্ষে একমাত্র গোল করেন লিজন পাটওয়ারী। ফাইনালে খেলে চাঁদপুর টাইটানস ও চাঁদপুর ফাইটার্স। এতে চাঁদপুর টাইটান্স ২-১ গোলের ব্যবধানে চাঁদপুর ফাইটার্সের সাথে জয়ী হয়। চাঁদপুর টাইটানসের হয়ে গোল করেন আজিজুর রহমান এবং ফাইটার্সের পক্ষে একমাত্র গোল করেন কুমার। খেলা শেষে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়সহ দলের সকলের মাঝে আয়োজকদের পক্ষ থেকে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়।
দলগুলোর অংশ নেয়া খেলোয়াড় ও কর্মকর্তারা হলো : চাঁদপুর টাইটান্স : শুভাশীষ ঘোষ শ্রীগুরু, আজিজুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান সুজন, বিপন বিপ্লব, আহসান ফিরোজ, মাসুদ মৃধা, মাহবুবুর রহমান সুজন, রেহমত উল্লাহ রবিন, সোহেব আহম্মদ, ইয়াসিন বাপ্পি, মনির হোসেন, ফরিদ। কোচ - মাহমুদ উল্লাহ বিটু, সহকারী কোচ-মুক্তার হোসেন। টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন গোলাম রব্বানী পাপ্পু, আরটিআর কমল, নাজমুল হাসান, জাফর আহম্মেদ দেওয়ান, মসিউর রহমান খান মানিক, মুকবুল হোসেন, স্মরণ প্রধানিয়া, মাহামুদুল, তরুণ মজুমদার, এসএম সুমন ও ফেরদৌস খান।
চাঁদপুর ওয়ারিয়র্স : কাজী হুমায়ুন কবির, মনির হোসেন মিয়াজী, মাসুদ রানা চৌধুরী, মামুন গাজী, মাজহারুল হক বাবু, সফিকুর রহমান, এনায়েত হোসেন, আলি আহম্মদ, মাসুদ মিয়া, রাব্বানী প্রধানিয়া, মাসুম পারভেজ, আশরাফ হোসেন ও ওমর ফারুক রোবেল। কোচ-দিলদার হোসেন ও সহকারী কোচ-আবু হানিফ। টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন রজত মজুমদার, মশিউর রহমান আপেল, হাসান আহমেদ, সাদ্দাম হোসেন, মানব মিশ্র, রাশেদুল ইসলাম শুভ্র, ওমর ফারুক, সোহেল খান, মনির গাজী, আবু সুফিয়ান, শিবির মোল্লা ও আজিজ পাঠান।
চাঁদপুর হান্টার্স : মোঃ ওয়াসিম আকরাম, মোদারসের হোসেন, মাইনুল ইসলাম, আলমাস প্রধান, সামাদ নিয়াজী, রাসেল, মশিউর রহমান, কাজী সাগর, মোহম্মাদ মিঠু, সঞ্জয় ঘোষ, সোহেব মিয়াজী, দবির উদ্দিন, মোহম্মদ কাউছার। কোচ-রফিকুল ইসলাম ও সহকারী কোচ-জসিমউদ্দিন। টিম ম্যানেজমেন্টের দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ ফরহাদ, শাহনেওয়াজ, সজীব সরকার, রেজাউল করিম, হাবিবুর রহমান, কমল কান্তি ও পলাশ আনসার।
চাঁদপুর ফাইটার্স : মোঃ কামাল হোসেন, আবুল বারাকাত লিজন, তানভীর আহমেদ আরিফ, শামীম আহমেদ, সরোয়ার আলম কুমার, শাহারিয়ার রানা, মোঃ হোসাইন, মেহেদী হাসান রাসেল, সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, মোঃ আমিন, শামিম ও মোঃ সোহেল।