প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥ চাঁদপুর ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমীতে প্রাইমারি জীবনের শুরু থেকেই অনুশীলন করছে। এখনও নিয়মিত পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রিকেটের অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছে। স্বপ্ন তার একজন ভালো উইকেট রক্ষক হওয়ার পাশাপাশি ভালো একজন ব্যাটসম্যান হওয়া। সেই স্বপ্ন নিয়েই ক্রিকেট অনুশীলন করে যাচ্ছে। বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় তার বাবা ও মা তাকে একাডেমীতে ভর্তি করিয়ে দেন এবং খেলার ব্যাপারে উৎসাহ দেন। আর সে হচ্ছে সাইদ আলম (মায়াজ), তার বাবার নাম নূরুল আলম লালু (ফোর স্টার হোটেল ও এলিট চাইনিজের স্বত্বাধিকারী)। তার মায়ের নাম রাবেয়া আলম (বকুল)। ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। তার বড় ভাই সিয়াম হোসাইন একজন হাফেজ (কোরআন) ও বড় বোন লামিয়া এবার মাতৃপীঠ হাই স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সাইদ আলম উদয়ন শিশু বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে এখন ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
২০১৭ সালে ক্লেমন ক্রিকেট একাডেমীতে সে ভর্তি হয়। জেলার ক্রিকেট কোচ শামিম ফারুকী ও কোচ রাজনের তত্ত্বাবধানে সে অনুশীলন করছে। ২০১৮ সালে ও ২০২০ সালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট কার্নিভালে অংশ নিয়েছিলো। অনূর্ধ্ব ১২ বয়সী ক্রিকেটে লালমাই ও লক্ষ্মীপুর মাঠে গিয়ে খেলেছে। চলতি বছর নোয়াখালী শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে এবং একাডেমীর হয়ে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট ম্যাচে মতলব ক্রিকেট একাডেমীর হয়ে কয়েকটি ম্যাচ খেলে।
ক্লেমন একাডেমীতে অনুশীলনরত অবস্থায় এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে সে জানায়, আমাদের জেলাতে যদি বয়সভিত্তিক ক্রিকেটারদের নিয়ে নিয়মিতভাবে ক্রিকেট লীগ কিংবা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে তাহলে ছোট ছোট অনেক ক্রিকেটার খেলার সুযোগ পাবে। আমরা যারা নিয়মিত অনুশীলন করছি লীগ কিংবা ক্রিকেট টুর্নামেন্টের মাধ্যমে, আমরা আমাদের পারফরমেন্স করতে পারতাম। আমি চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তাদের এবং ক্রিকেট উপ-কমিটির সাথে যারা জড়িত রয়েছেন তাদের কাছে অনুরোধ করবো এ জেলায় ক্রিকেটার খুঁজে বের করার জন্য এবং ক্রিকেটার তৈরি করতে হলে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট খেলার আয়োজন যেনো করা হয়। আর আমাদের জেলাতে যদি নিয়মিত ক্রিকেট লীগ ও ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয় তাহলে আমরা বড়দের থেকে খেলার অনেক কিছু শিখতে পারবো। নিয়মিত খেলা হলে জেলার বাইরের অনেক ক্রিকেটারও খেলার সুযোগ পাবে, তাদের সাথে আমাদের সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে।