প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
সবুজ গালিচায় মোরানো রক্তাক্ত এ পতাকা তুমি পেয়েছো কোথায়?
কিভাবে পেলে এ গৌরবময় মহিমান্বিত বিজয়?
জানো কি সেদিন রক্ত¯্রােতে সৃষ্টি হয়েছিলো সুবিশাল সমুদ্রের,
লাশের স্তূপে ভরে গিয়েছিলো চারপাশ।
আমাদের সিপাহীরা রণ-মাঠে বীরত্বের সাথে প্রাণ দিয়েছিলো,
মা-বোনের ইজ্জত সেদিন গণলুণ্ঠন হয়েছিলো একটি বিজয়ের দামে।
হে বিজয় তোমার এ কেমন চওড়া মূল্য?
সেদিন বিদ্রোহী জনতার ‘জয় বাংলা’ ধ্বনিতে রাজপথ হয়েছিলো মুখর,
চারদিক থেকে ধেয়ে আসছিলো বুলেটের সুনামি,
ছোট্ট সোনামণিটাও সেদিন বুলেটের তিক্ত স্পর্শতা চুম্বন করেছিলো।
হে বিজয় তুমি কি আর এমনি এসেছিলে আমাদের কাছে?
এখনো সে নিষ্ঠুর ইতিহাস দেখে আমি ভীত হই,
তোমার শরীরে যে আজও মজলুমদের আর্তনাদ মিশে আছে,
মিশে আছে পঁচা লাশের গন্ধ।
আমি কি করে লিখবো এ রক্তাক্তবিবর্ণ ইতিহাস?
কি করে লিখবো হে বিজয় তুমিই না হয় বলে দাও।
অন্তহীন অনুভব
হৃদয়ে যখন প্রণয়ীর স্পর্শতা অনুভব হয়,
উচ্ছ্বাসে ব্যাকুলতা বয়ে আনে সীমাহীন,
সে যে আমার কল্পনাতেই সীমাবদ্ধ, ধরা দেয় না,
ছোঁয়া যায় না তাকে শুধু স্পর্শতা অনুভব করা যায়।
অপেক্ষার পর অপেক্ষাতে আক্ষেপের পাহাড় জমেছে,
বেদনার রং-তুলিতে অঙ্কিত হয়েছে স্মৃতিসৌধ,
পথ চেয়ে দু চোখ আজ ঘোর বিষণœতায় আচ্ছন্ন,
প্রতীক্ষার প্রলয় ঝড় উঠে আছড়ে পড়ে হৃদয়ে।
আশার প্রদীপ আলো জ্বেলে যায় নিভু প্রজ্জ্বালনে,
হৃদয়ের শূন্যতা হৃদয়কে কুড়ে কুড়ে খায়,
শতাব্দির পর শতাব্দিরা ব্যথা বয়ে আনে,
আমি যেনো সহ¯্র বছর দগ্ধ হয়েছি প্রণয়ের আগুনে।
আমি ঘর বেঁধেছি বিষাদের সঙ্গে,
কবিতাকে করেছি ব্যথার প্রতিকার,
কবিতার ভাষারা কতটা ক্লান্ত যদি জানতে,
এ প্রেম বুঝি মরুভূমির মরীচিকার সাথে।
আঘাতের ক্ষতে ভাষারা ও বিদীর্ণ হয়েছে,
অশ্রু প্রলয়ে সৃষ্ট হয়েছে মহা-সমুদ্রের,
তবু তারকারা আশার প্রদীপ জ্বেলে যায়,
প্রেমেরা ঠাঁয় খুঁজে নেয় অমর ইতিহাসের পাতায়।