প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
নিজেকে কোথাও আর খুঁজে পাই না।
এখন আর নিজেকে খুঁজে পাই না।
সেই কৈশোর, অবেলার স্বপ্ন, ভালো লাগার ক্ষণ। হেমন্তের সাঁঝ প্রহর, চৈত্রের আগুনঝরা মধ্যাহ্ন কিংবা রাতজাগা পাখির ডানা ঝাপটানো শব্দ।
কোথাও আর নিজেকে খুঁজে পাই না।
ষোড়শীর লম্বা বেণির বুননে অথবা শুভ্র বেলীর পাঁপড়িতে। যেটুকু আহ্লাদ ছিলো আমার সবই গেছে হারিয়ে।
এখন আর কাশবনে চিত হয়ে শুয়ে নিস্তেজ বেলার নীল আকাশটা দেখা হয় না।
বৃষ্টির ফোঁটা বা শিশিরবিন্দু কিছুই এখন আর আমায় কৈশোরের আটপৌরে দিনগুলোতে নিয়ে যায় না।
এখন আর কিছুতেই সেই আমাকে খুঁজে পাই না।
নয় আত্মায়, নয় সত্তায়। সর্বত্রই এখন আমি অচেনা।
আগ্রাসী এক ডাইনোচর যুগ যুগ ধরে রক্ত শুষে আমায় করেছে নিঃষ্প্রাণ-নিঃশেষ।
আমি এখন জ্যান্ত জীবাষ্ম।
কিছুতে আমি আর নেই। কোথাও আমি আর নেই। সর্বত্র আমি যেনো অতৃপ্ত বাসনার ছায়া।