প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২১, ০০:০০
ধুলো উড়িয়ে মৃত্তিকা জয়
হাজার ভুলও উপহাস্য,
সহস্র বারণ রুখে দিতে অক্ষম
আমার বন্ধুদের বাঁধন-যুগল।
একটা সময় পেরিয়েছি, তারপর আরেকটা সময়,
অতঃপর ধীরে ধীরে বিলুপ্তপ্রায়
আমাদের অচেনা পথের চেনা গলি।
চেনা সময়ের অচেনা বিবর্তন।
আশ্চর্য ছাড়া আর কিছুই না।
ক্ষণিকের পূর্বাভাস পেলেও আগলে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করতাম!
সোনালি সেদিনে; আমাদের সোনালি অধ্যায়গুলো।
আয় কে আছিস্ আয়! ফিরে যাই সে-ই চিরচেনা মাঠে-
ফুটবল, ক্রিকেট, হা-ডু-ডু, দাড়িয়াবান্ধা;
তোদের মনমতো খেলা হবে।
আয় আবশ্যিক শিশুকালের মতো যুগের ধারা ভুলে
অচেনা উপলব্ধি, বাধ্যক্য ভুলে শিশু হই ক্ষণকাল।
আর বাস্তবতা ভুলে হারিয়ে যাই সোনালি অধ্যায়ের ভিড়ে...।
ভুল উপলব্ধি
সেই সাঁকোটার অবস্থা,
এখন আর আগের মতো ভালো নেই,
লক্ষ্য নেই মেরামতের-
সে-ই তো কেবল ছিলো মনগৃহে
প্রবেশের একমাত্র পথ।
সময়ের সবটুকু ব্যয়ে যে যার মতো এগিয়ে।
অথচ অবেলায় সাঁকো পেরোতে গিয়ে
স্তব্ধ আমি।
ঠিক ওপাড়েই রক্তে-মাংসে গড়া মানব।
মগজের রূপ দেখার অবকাশ নেই।
আমার চলনের শুরু কেবলই হোঁচট খায়,
এবেলা সাঁকো পার হওয়া বিপদ হতে পাড়ে
পাগল হলে নাড়াতে পাড়ে এই নড়বড়ে সাঁকো।
অথচ আমার ওপাড়ে যাওয়া ভীষণ জরুরি।
মুর্খতার আরেকটি প্রমাণ রঙ দেখে স্বাদ উপলব্ধি।