প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০
যেভাবে বাংলা থেকে বাংলাদেশ

হিন্দু-মুসলিমদের ঐক্যে,
রক্ত ঝরাকে হলিখেলা মনে করে,
তাজা প্রাণের বিসর্জন বিনিময়ে,
সাদা চামড়াদের তাড়ালাম।
ঘরের শত্রু বিভীষণ, আঘাত করলো মাতৃভাষায়।
মেধাবী-মূর্খ মিলনে,
বুককে রক্তের ঝর্ণা করে,
তৈরি করলাম গরম রক্তঢালা পথ।
মাড়িয়ে যেতে যেতে হলাম ভাষাবীর।
শোষণ, নিপীড়ন সহ্য করতে না পেরে,
নেমে পড়লাম যুক্তফ্রন্টে।
ব্যালট বিপ্লব ঘটালাম।
তবুও বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখানো হলো।
মৌলিক আইন জারি করে বন্দি করলো দশটি বছর।
অন্তর জ্বালা পুড়তে লাগলাম।
হঠাৎ সাদা বাঘের আগমন হলো,
দাবি আনলো খাদ্য, বস্ত্র, চিকিৎসা।
ছয়দফার বিনিময়ে মৌলিক অধিকার প্রয়াস ঘটলো।
বিপ্লবী হওয়া শুরু করলাম।
মিথ্যা মামলা দিলো, জীবন্ত হত্যা করে থামিয়ে দিতে চাইলো,
অসহযোগ আন্দোলন করে বন্ধু সৃষ্টি করলাম।
দিশেহারা হয়ে সিংহ পদত্যাগ করলো।
ধূর্ত শিয়ালের আগমন ঘটলো।
শান্ত¡না দিতে প্রহসনের নির্বাচন দিলো,
পুনরায় ব্যালট বিপ্লব ঘটালাম।
টালবাহনা করে প্রিয় বন্ধুকে ঘুম করলো।
হিংস্র পশু হয়ে ঘুমন্তে ঝাঁপিয়ে পড়লো!
রেডিওতে সংগ্রামের বার্তা পেলাম।
‘মনে রেখো, কেউ দাবায়া রাখতে পারবা না’
বন্ধুর উক্তির কথা মনে পড়লো।
মুক্তি, সংগ্রামের কথা চেতনা বেড়ে গেলো।
স্বেচ্ছায় রক্তের প্লাবণ বয়ে দিলাম।
রক্ত সমুদ্রের বিনিময়ে,
বাংলা থেকে বাংলাদেশ হলো।