প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
একটি আয়োজন যখন সুন্দর ও উপভোগ্য হয় এবং সম্প্রীতির বন্ধন থাকে, সে আয়োজন বাস্তবায়নে যে বা যারা পৃষ্ঠপোষকতায় অক্লান্ত পরিশ্রম করেন প্রশংসার দাবিদার এবং কৃতজ্ঞতার ঝুড়ি তাদের কাঁধে তুলে দেয়াটাও দায়িত্ববোধের একটি অংশ বলে আমি মনে করি।
২১ জুলাই শুক্রবার সকালে চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়ামে লেখকদের আয়োজনে একটি প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে শুধুমাত্র চাঁদপুরের স্থানীয় কবি ও লেখকরা অংশ নেন। অংশগ্রহণকারী লেখকদের মধ্যে সমন্বয় করে গল্পকার একাদশ বনাম কবি একাদশ দুটি দল গঠন করে এ প্রীতি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে ছোট বড় ভেদাভেদ বা সাম্প্রদায়িকতার দশমিক পরিমাণ ছোঁয়াও ছিলো না। পুরো ম্যাচটি ছিলো উপভোগ্য এবং দৃষ্টিনন্দিত, কারন যে মানুষগুলো এতদিন নরম হাতে কলম ধরে তাদের মনেরভাব ফুটিয়েছেন নানাভাবে সেই মানুষগুলোই ব্যাট হাতে নৈপূণ্যতা ছড়িয়েছিলেন চাঁদপুর স্টেডিয়ামের মাঠজুড়ে। যেটি চাঁদপুরের ইতিহাসে লেখকরা সর্বপ্রথম কোনো প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে অংশ নিয়েছে বলে আমার ধারণা। তা-ও জেলা স্টেডিয়ামের মতো একটি বড় প্লাটফর্মে। যা লেখকদের জন্যে দিনটি একদিকে যেমন আনন্দের ছিলো তেমনই স্মরণীয়ও বটে।
খেলার নিয়মের বেড়াজালে একটি দলকে জিততে হয় আরেকটি দলকে হারতে হয় এখানেও তাই হয়েছে। গল্পকার একাদশের ১৬ ওভারে বেঁধে দেয়া ১৫০ রানের টার্গেটের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নামা কবি একাদশ মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ১০ ওভার চালাকালীন ক্রিজে থাকা শাদনাম শরীফ ও দেওয়ান মাসুদুর রহমানের হাত ধরে ম্যাচ হাতে নিয়ে নেন কবি একাদশ। একটি অনবদ্য মুহূর্তে তৈরি হয় মাঠজুড়ে আকাশী এবং কমলা রঙ একাকার হয়ে সবাই সাবাইকে জড়িয়ে ধরে, কেউ হাতে হাত রেখে অভিবাদন জানিয়ে মাঠ ছেড়েন একটি পূর্ণতা নিয়ে। যা সত্যিকার অর্থেই একটি উপভোগ্য এবং ব্যতিক্রম আয়োজন ছিলো লেখকদের জন্য এবং যারা এ চমৎকার আয়োজন বাস্তবায়নে নিরলসভাবে সময় দিয়ে চাঁদপুরের লেখকদের একত্রিত করে একটি আনন্দময় দিন উপহার দিয়েছেন তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞতায় ঋণী থাকলো গল্পকার একাদশ ও কবি একাদশ।
গল্পকার একাদশে যে সকল লেখক অংশ নিয়েছেন তারা হলেন : ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, কাদের পলাশ, আশিক বিন রহিম, এএম সাদ্দাম হোসেন, এইচএম জাকির (অধিনায়ক), মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, সঞ্জয় দেওয়ান, আরিফ রাসেল, মনিরুজ্জামান বাবলু ও রাকিবুল হাসান। কবি একাদশে যে সকল লেখক অংশ নিয়েছেন তারা হলেন : ম. নূরে আলম পাটওয়ারী, মাইনুল ইসলাম মানিক (অধিনায়ক), আরিফুল ইসলাম শান্ত, দেওয়ান মাসুদ রহমান, সুমন কুমার দত্ত, মুখলেছুর রহমান ভূঁইয়া, নিঝুম খান, পলাশ দে, সাদ আল-আমিন ও শাদমান শরীফ।
সুমন কুমার দত্ত : প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক, সাহিত্যকণ্ঠ, শাহতলী, চাঁদপুর।