প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২১, ০০:০০
(গত সংখ্যার পর)
(২য় পর্ব)
নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর, নারিকেলগাছ পরিবেষ্টিত একটি অনিন্দ্য সুন্দর শহর ছিলো চাঁদপুর। প্রত্যেক পাড়াতে দু-তিনটা করে পুকুর ছিলো। এই পুকুর পরিবেশকে যেমন সৌন্দর্যম-িত করেছিলো তেমনি নির্মল পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাপিত জীবনের নিশ্চয়তা দিতো। প্রকৃতিপ্রদত্ত পানিই ছিলো পানির প্রধান উৎস। সাপ্লাইয়ের পানি ছিলো রাস্তায়। রাস্তার টেপে। কলসি নিয়ে লাইন দিয়ে রান্নাঘরে ব্যবহারের পানি আনতে হতো। সে এক ভীষণ বিড়ম্বনা। ফুটিয়ে পানি খাওয়ার রেওয়াজ ছিলো না তখনও। টিউবওয়েলের পানি তখন অনেক বাড়িতেই ছিলো। সেখান থেকে খাওয়ার পানি আনতে হতো।
১৯৭০-এ ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে মাতৃপীঠ সরকারি স্কুলে ক্লাস ওয়ানে ভর্তি হলাম। দুই শিফটে ক্লাস হতো। খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্কুলে যেতাম। কিন্তু কিছুদিন পরেই দেশের পরিস্থিতি খারাপ হয়ে গেলো। ’৬৯-এর গণঅভূত্থান, ১৯৭১-এ ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ, মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি...।
মিস্ত্রি দিয়ে আমাদের দরজা জানালাগুলো মজবুত করা হলো। আমরা তখন এতোই ছোট ছিলাম যে, বুঝতাম না সত্যিকার অর্থে কী হচ্ছে আর কী হতে পারে! কিন্তু এটা নিশ্চয়ই বুঝেছিলাম-ভীষণ এক শত্রু আসছে। বড়দের চোখেমুখে কী ভীষণ আতঙ্ক!
ছোটরা প্ল্যান করলাম, পাকিস্তানি মিলেটারিরা এলে কিভাবে লবণ-মরিচের গুঁড়ো ছুঁড়ে মারবো ওদের চোখে-মুখে তার মহড়া দিতাম। ২৫ মার্চের গণহত্যা শুরু হলো। যে যেদিকে পারলো ছুটতে শুরু করলো। গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে বেড়িয়েছি বাঁচার তাগিদে। নিঃশব্দে, নিশীথ রাত্রে ছুটে চলেছি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রাম। গ্রামে গ্রামে আগুন জ্বলতে দেখলাম। বৃষ্টির মত বুলেট ছুঁড়ছে, শব্দ পেতাম। শ্রাবণের অঝোর বৃষ্টি ধারায় প্রাণ বাঁচাতে রাতের অন্ধকারে শাফিয়া ফুফুর বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করি। সে অন্য পর্ব।
অনেক রক্ত, অনেক প্রাণ, অনেক মা-বোনের আত্মত্যাগের পর দেশ স্বাধীন হলো। (ইজ্জত শব্দটি ইচ্ছে করে বাদ দিলাম) আমরা আবার ফিরে এলাম নিজ গৃহে।
স্বাধীনতার আনন্দ এ এক অন্যরকম অনুভুতি। যেমন করে শিশু জন্ম নেয়ার পর মায়ের বুকের উপর আশ্রয় নেয়, ঠিক তেমনটি। হারানোর ব্যথা তো ছিলোই। কিন্তু বিসর্জন ব্যতিত কোন কিছু অর্জন, কোনদিনই সম্ভব নয়। পোড়াগন্ধ তখনো চলে যায়নি। দগদগে ক্ষতের দাগ শুকায়নি। আমরা ফিরে এলাম চাঁদপুর।
মনে পড়ছে, মুন্সেফপাড়ায় বর্তমানে যে জায়গাতে সেবা সিটি সেন্টার তৈরি হয়েছে। সেখানে ছিলো জগদীশ রায়ের বাড়ি। আমার ক্লাস বন্ধু রঞ্জনার মাসীর বাড়ি। সে বাড়িটিতে বিশাল পাকা ভবন ছিলো, মন্দির ছিলো বিশাল বড়। পাকিস্তানিরা কি পরিমাণে ক্ষয়ক্ষতি করেছে, পুড়িয়েছে তা দেখাতে নিয়ে গেছিলো বন্ধু রঞ্জনা। আমার জানা মতে জগদীশ রায়ের দাদু-মধুসূদন রায়। তিনি ছিলেন বিশাল বড় মাপের একজন মানুষ। একজন সমাজসেবক। পুরাণবাজার মধুসূদন হাইস্কুল, মধুরোড় স্টেশন এসবই তাঁর তৈরি । চাঁদপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। তাঁর পাশেই ছিলো সত্যেন ভৌমিকের বাড়ি। তিনি ছিলেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের সংস্কৃতির বিষয়ের অধ্যাপক । মুখার্জি ঘাটলায় যেতে হাতের ডান দিকের শেষ যে বিশাল বাড়িটি সেটিতে ছিলেন ছাত্তার ডাক্তার। এমবিবিএস। সেটি তাঁর বাড়ি ছিলো। তার সুন্দর দুটি মেয়ে ছিলো। তিনি ছিলেন বিপতœীক। মেয়েগুলো মাতৃপীঠের ছাত্রী ছিলো। আমার বেশ সিনিয়র। বড় আপাদের সাথে আমার খুব সখ্যতা ছিলো। আমি সেই বাসাতেও গিয়েছি সেই সময়ে। মূল বাড়ির সামনেই উঠোনে একটি বড় আম গাছ ছিলো। অনেক সুন্দর ছিলো সে পরিবেশ। সময়ে অনেক কিছুর পরিবর্তন হয়েছে।
আমরা অটোপ্রমোশন নিয়ে আবার স্কুলে এলাম। কি সুন্দর পরিবেশ! বাংলা, ইংরেজি, অঙ্ক, বিজ্ঞান ইত্যাদিসহ সেলাই, খেলাধুলা, গ্রন্থাগার দিদিমণি/স্যারেরা পাঠদান করাতেন।
আজ যে কারিগরি শিক্ষার কথা বলা হচ্ছে সেটি বঙ্গবন্ধু শিক্ষাদর্শন। জীবনমুখী শিক্ষা। দেখে এলাম নয়া চীন পড়লেই জানা যায় তাঁর দেশকে নিয়ে কত ভাবনা ভেবেছেন। কত স্বপ্ন এঁকেছিলেন তিনি। সপ্তাহে একদিন খেলাধুলার ক্লাস মাঠে, ইনডোর গেম ক্লাসে, সেলাই ক্লাসে হাতে কলমে সেলাই শিখানো, গবেষণা, সৃজনমুখী পড়াশোনার জন্য গ্রন্থাগার ক্লাস, সব-সবকিছু ভালো চলছিলো। বিশেষ করে ডিসিপ্লিন। স্কুল ড্রেস, ক্লাস শুরু হওয়ার আগে এসেম্বলিতে পিটি, শপথবাণী পাঠ করা, জাতীয় সংগীত গাওয়া-চমৎকার ব্যবস্থাপনার মধ্যে দিয়ে স্কুল চলছিলো। সব দিদিমণি শাড়ি পরেই আসতেন। স্বাধীন বাংলাদেশের স্বাধীন বাঙালি মেয়ে। সব দিদিমণি স্যারকে শ্রদ্ধা করা এটি ছিলো শিক্ষকদের প্রধান মর্যাদা।
চাঁদপুর একদিকে যেমন সবুজ, অন্যদিকে অথৈই জলরাশি। পাঁচতলা একটিই ছিলো। সেটি মহিলা কলেজ। মহিলা কলেজে অডিটোরিয়াম ছিলো, সেখানে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করতে যেতাম। ছাদে একবার উঠেছিলাম, সেই ছোট বেলায়। সে দৃশ্য আজও চোখে লেগে আছে। তখন তো বেশির ভাগ টিনের ঘরবাড়ি ছিলো। সেগুলো বড় বড় নারিকেল গাছের সবুজ পাতার মাঝে অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া মুশকিল ছিলো। চারিদিক সবুজ আর সবুজ।
আদালতপাড়ার এখন যে পাকা দালানের পুলিশ সেকশন আছে, সেটি তখনও ছিলো, টিনের চালা পাকা ঘর। দু পাশেই বড় মাঠ ছিলো। পিছনের দিকে পুলিশ কোয়ার্টার আগেও ছিলো, টিনের চালা। বেশ খোলামেলা। পিছনের মাঠে মাঝখানে একটি বিশাল আকারের বটগাছ ছিলো। শীতে ব্যাডমিন্টন খেলা হতো। পাশেই বড় পুকুর। খোলামেলা। সেই পিছনের মাঠেই বড় স্কিনে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন কর্মকা- নিয়ে ডকুমেন্টারি দেখানো হতো। সম্ভবত প্রথম দিকে বোবা টকি দেখানো হতো। পরে যেটি শব্দযুক্ত করা হয়। কারণ আমার যতটা মনে হয় আমরা সেই স্কিনে সিনেমা দেখেছি। ‘অশ্রু দিয়ে লেখা’ ছবিটি। এই আদালতপাড়ার মাঠেই বেগম সুফিয়া কামাল, দাদা ভাই এরা এসেছিলো। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়েছিলো, গান-বাজনা, নাচ, অভিনয় সবকিছুই হতো তখন। আদালতপাড়ার ছেলেমেয়েরা অংশগ্রহণ করতো সেসব অনুষ্ঠানে। মনে আছে ছোডদা অর্থাৎ প্রবীর দা সেই বয়সে নিজের লিখা নিজেই সুর করা একটি গান গেয়েছিলো। চাঁদপুর কলেজ মাঠেও সুফিয়া কামাল, দাদা ভাই এরা এসেছিলো।
যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল, সে স্বপ্নগুলো বাস্তবে রুপ দেয়ার জন্য মানুষকে, সমাজকে তৈরি করার শুরুটা, শুরু হয়েছিলো সেই তখন থেকেই।
স্কুলে টিফিন (আজ যা মিড ডে মিল নামে পরিচিত) দিতো। সেই টিফিনে প্রথম দিকে অন্য কিছুর সাথে মাঝে মাঝে গুঁড়ো দুধ দিতো। আমরা বলতাম বিলেতি দুধ । বাইরের থেকে এসব গুঁড়ো দুধ আসতো। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশে স্বভাবতই আমরা অপুষ্টিতে ভুগছিলাম। ও মা গো সেই দুধ মুখের টারার মধ্যে এমন ভাবে আটকিয়ে যেত, যা মনে হলে আজও হাসি পায়। বেশ কশরত করে খেতে হতো। কিন্তু খুবই সুস্বাদু ছিলো।
ছবি তোলার স্টুডিও ছিলো দুটো। মাতৃপীঠ স্কুলের সাথেই ‘পল্লবী স্টুডিও’ আর জোড় পুকুরপাড় এ ‘মায়া স্টুডিও’।
বড় স্টেশনারী দোকান ছিলো লাভলী স্টোর, রতন স্টোর, নবী স্টোর যা এখন নেই। অবশ্য নবী স্টোর ছিলো বিশাল কাপড়ের দোকান। চাঁদপুর কনফেকশনারি, ঢাকা কনফেকশনারি ছিলো। ড্রেসকো ছিলো।
স্বাধীনতার পর সাংস্কৃতিক অঙ্গন শক্তিশালী হয়। সংগীত নিকেতন, ললিতকলা, উদীচী, কচিকাঁচা, গার্লস্ গাইড ইত্যাদি, পরে খেলাঘর চালু হয়। মনে পড়ে কচিকাঁচায় সম্পূর্ণ বাঙালিপনায় চেতনায় চালু হলো। একটি গানের কথা মনে আছে,
‘মায়ের জাতের মুক্তি দে রে, যাত্রা পথে বিজয় রথে চক্র তোদের ঠেলবে কে রে! মায়ের জাতের মুক্তি দে রে। মায়ের জাতের মুক্ত প্রভাব, গড়বে তোদের বীরের স্বভাব। মায়ের জাতের মুক্তি দে রে---’
এর সাথে আমরা পিটি বলি বা শারীরিক কসরত করতাম বা গানের তালে নাচতাম। অবশ্য নাচ না বলে শারীরিক কসরত বলাই শ্রেয়। আর এই কচিকাঁচার জন্য আমরা আদালত পাড়া থেকে স্টেডিয়ামে যেতাম। হেঁটে যেতাম। তখন রিকশা খুব কম ছিলো। রিকশায় চলার প্রচলনটাও কম ছিলো। হাঁটার পথে কখনো সখনো টুংটাং রিকশার শব্দ পেতাম। সেদিন এই স্টেডিয়াম ছিলো শুধু সবুজ মাঠ। অন্য পাশে কবরস্থান। আমার মনে আছে, এক ঈদে বাসা থেকে ষোলঘর ওয়াপদা কলোনিতে বন্ধু তাসলিমাদের বাসায় পায়ে হেঁটে গিয়েছিলাম। সে-ই রান্নার স্বাদ এখনও মুখে লেগে আছে। তখন ছেলেরা যেমন পায়ে হেঁটে যেতো, মেয়েরাও যেতো। আসলে নিরাপত্তা নিয়ে অভিভাবকদের ভাবনা কম ছিলো। সামাজিক অবস্থাটা তেমনি ছিলো।
সংগীত প্রতিষ্ঠানগুলোর গান নাচগুলোও ছিলো নারী জাগরণের, চেতনার, দেশপ্রেমের, অসম্প্রদায়িক । যেমন :
১। মাগো, ভাবনা কেন?
আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে
তবু শত্রু এলে অস্ত্র হাতে ধরতে জানি
তোমার ভয় নেই, মা, আমরা প্রতিবাদ করতে জানি
আমরা হারবো না, হারবো না
তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বো না
আমরা হারবো না, হারবো না
তোমার মাটির একটি কণাও ছাড়বো না
২। জাগো নারী জাগো বহ্নি-শিখা।
জাগো স্বাহা সীমন্তে রক্ত-টিকা।
দিকে দিকে মেলি’ তব লেলিহান রসনা,
নেচে চল উন্মাদিনী দিগ্বসনা,
জাগো হতভাগিনী ধর্ষিতা নাগিনী,
বিশ্ব-দাহন তেজে জাগো দাহিকা।
ধূ ধূ জ্ব’লে ওঠ ধূমায়িত অগ্নি,
জাগো মাতা, কন্যা, বধূ, জায়া, ভগ্নী!
পতিতোদ্ধারিণী স্বর্গ-স্খলিতা
জাহ্নবী সম বেগে জাগো পদ-দলিতা,
মেঘে আনো বালা বজ্রের জ্বালা
চির-বিজয়িনী জাগো জয়ন্তিকা। ।
৩। কারার ঐ লৌহকপাট,
ভেঙ্গে ফেল, কর রে লোপাট,
রক্ত-জমাট
শিকল পূজার পাষাণ-বেদী।
ওরে ও তরুণ ঈশান!
বাজা তোর প্রলয় বিষাণ!
ধ্বংস নিশান
উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি।
এছাড়াও দেশাত্মবোধক অনেক গান, নাচ, যেগুলো লিখতে গেলে অনেক বড় লিখা হয়ে যাবে। গানগুলো অনেকটাই তুলে দিলাম। কারণ কথাগুলো না জানলে বুঝতে পারবো না আসলেই বাংলাদেশ অর্থটা কি? জাতির পিতার স্বপ্নটা কেমন ছিলো? এসব অজানা রয়ে যাবে। নারী জাতির প্রতি তাঁর যে শ্রদ্ধা, যা তাঁর লিখিত বইগুলো পড়লেই বুঝতে পারি, অথচ সামাজিকভাবে নারীরা এতটাই শৃঙ্খলিত ছিলো-সেই তাড়না থেকে তিনি দেশকে ঢেলে সাজাতে চেয়েছিলেন। অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার যে অদম্য স্বপ্ন সে স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য তিনি বিভিন্নভাবে কাজ শুরু করছিলেন। চাঁদপুর এ ছায়াবাণী, চিত্রলেখা, কোহিনূর সিনেমা হল ছিলো। সেগুলোতে অনেক ভালো সিনেমা দেখেছি।
জাতীয় দিবসগুলোতে আমাদের সে কি আনন্দ। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা, আমরা বাঙালি। বাঙালির ভূখণ্ড বাংলাদেশ। এখানে হিন্দু নয়, মুসলিম নয়, বৌদ্ধ নয়, নয় খ্রিস্টান-এখনে বাঙালিরা থাকবে।
আমরা জাতীয় দিবসগুলোতে শুধু অফিস-আদালত নয়, বাড়িতে বাড়িতে পতাকা উড়তাম। ঈদ/পূজোর আনন্দের মতো ছিলো সে আনন্দ। জাতীয় দিবসগুলোতে আনন্দ নিয়ে ঘুম থেকে উঠে, কে কার আগে ছাদে গিয়ে প্রিয় বাংলাদেশের পতাকা টানাবে? এই নিয়ে খুনসুটি শুরু হতো। কোন্দিকে পতাকাটি টানালে সবার নজরে পড়বে সেদিকে পতাকা টানানোর ব্যবস্থা হতো। আর ২১ ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরি সত্যিই মনে রাখার মতো।
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট সব থমকে গেলো। সব স্বপ্ন মুছে গেলো। আকাশ বাতাস সেদিন সত্যিই থমকে গিয়েছিলো, পাখিরা স্তব্ধ হয়ে গেলো। সত্যি বলতে আমাদের আনন্দ হারিয়ে গেলো। বাবার মুখের দিকে তাকানো যেতো না। যুদ্ধের সময় যেমনটি দেখেছি তারচেয়েও বেশি বিষাদময়। যুদ্ধের সময় আশা ছিলো আমরা স্বাধীন হবো। আর আশা নেই। ছুটে চলার শক্তি নেই। এইতো ছোটবেলার গ্রাম।
তৃপ্তি সাহা : লাইব্রেরি উন্নয়ন কর্মকর্তা,
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
[পরের পর্ব আগামী সংখ্যায় প্রকাশিত হবে]