প্রকাশ : ১৮ মার্চ ২০২৩, ০০:০০
পদ্মা-মেঘনা-যমুনা-ডাকাতিয়া নদীর কোলঘেঁষে ১৭০৪ বর্গকিলোমিটারের ২৬.৩৫ লাখ মানুষের প্রিয় ইলিশের শহর চাঁদপুরের প্রথম দৈনিক মুখপাত্র চাঁদপুর কণ্ঠ। যার ভেতরে রয়েছে অভিজ্ঞ সম্পাদনামণ্ডলী, চৌকস রিপোর্টার, যাঁদের সুনিপুণ ছোঁয়ায় চাঁদপুর জেলাবাসীর কাছে প্রিয় এবং বিশ্বস্ত পত্রিকা হিসেবে ইতঃপূর্বেই আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, সম্পাদনামণ্ডলী পত্রিকাটিকে শুধু নিউজেরর উপরই দাঁড় করিয়ে না রেখে সমাজ বিনির্মাণে বিভিন্ন প্রয়াস হিসেবে শিল্প-সাহিত্য চর্চার দাড় উন্মোচনে ‘পাঠক ফোরাম’ নামক পাতার কার্যক্রম শুরু করেন, যা এখন একহাজার (১০০০)তম সংখ্যায় প্রকাশিত হওয়ার মাধ্যমে অনন্য গৌরব অর্জন করেছে। পাঠক ফোরাম নামক পাতাটি সৃষ্টি হওয়ার মাধ্যমে এ জেলার লেখক কবি ও সাহিত্যিকের প্রতিভা বিকাশের এক যুগান্তকারী প্লাটফর্ম তৈরি হয়। অনেকেই গল্প-কবিতাণ্ডছড়া ইত্যাদি সাহিত্যকর্ম প্রকাশের মাধ্যমে বেশি বেশি সাহিত্যচর্চায় মনোনিবেশ ও সাহিত্যের জ্ঞানের ভাণ্ডারকে করেছে সমৃদ্ধ। একজন সাহিত্যিক কবি বা লেখকের ধারা কখনোই সমাজ ও রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড জড়িত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না বলেই চলে, তাই তরুণদের লেখালেখিতে উদ্বুদ্ধ করে সমাজ বিনির্মাণে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক ফোরাম। লেখকরা কবিতাণ্ডগল্প-ছড়া কিংবা বাস্তব অভিজ্ঞতার বিভিন্ন বিষয় পাঠক ফোরামের মাধ্যমে প্রকাশ করে ব্যক্তি সমাজ রাষ্ট্র বিনির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।
আমি স্কুলজীবন থেকেই লেখালেখি করার চেষ্টা করি। তখন লেখা প্রকাশের বৃহৎ পরিসরে জেলা পর্যায়ে তেমন কোনো মাধ্যম ছিলো না। চাঁদপুর কণ্ঠের পাঠক ফোরাম তৈরি হলে সেখানেই কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে নিজের লেখালেখির আত্মপ্রকাশ করি। যখন নিজের লেখা কবিতা প্রকাশ হয় তখন কি যে এক অদ্ভুত ভালোলাগা সৃষ্টি হয়, যা ভবিষ্যতে আরো লেখালেখিতে আগ্রহী করে তোলে। এভাবে অসংখ্য লেখক-কবি-সাহিত্যিক সৃষ্টিতে এই পাঠক ফোরাম পাতাটির অবধান অসীম।
পাঠক ফোরামের একহাজারতম সংখ্যায় আমি চাঁদপুর কণ্ঠ ও চাঁদপুর কণ্ঠের সাপ্তাহিক পাঠক ফোরামের সমৃদ্ধি ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি, সেই সাথে পাঠক ফোরামের সম্পাদক (সাবেক ও বর্তমান), লেখক, কবি, সাহিত্যিক এবং চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সুস্থতা ও নেক হায়াত প্রার্থনা করছি।