প্রকাশ : ০৩ অক্টোবর ২০২২, ০০:০০
সে
একটা পুতুল পেয়েছিলাম শৈশবে,
রূপকথার গল্পের নায়িকা ছিলো সে-
কে যেন আমার এক জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলো,
সে পুতুল সব সময় আমার সাথে খেলা করতো :
হাসি আর কান্নাতে।
কয়েক বছর পর পুতুলটা-
হঠাৎ সে এক উড়ন্ত প্রজাপ্রতির রূপ নিলো,
এই বাগানে, সেই বাগানে ফুরফুর করে উড়তো :
আনন্দ আর উল্লাসে।
আর আমি ছিলাম ভালোবাসার এক তরুণ শিল্পী
হৃদয় মন্দিরে এঁকেছিলাম তার মুখশ্রীর ছবি,
সে কোন এক বসন্তে বলেছিল, হাতে রেখে হাত
তুমি হতে পারবে আমার ভালোবাসার কবি।
তারপর থেকে সোহাগী ভাঙা স্টেশনে সে-
দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমার জন্যে অপেক্ষা করতো,
তার ভ্রমরকালো চুলগুলো ঝিরিঝিরি বাতাসে উড়তো
উতলা উতলা পড়ন্ত বিকেলে।
ইদানীং অবহেলায় অগুছানো যেন সে
ঠিক বদলে গেছো পৃথিবীর জলবায়ুর মতো,
এদিকে আমার হৃদয়ে অনাবৃষ্টি দেখা দিয়েছে
তবু এখনো তার অপেক্ষায় আছি।
মায়াবী কন্যা
কে তুমি, মায়াবী সদ্য ফোটা ফুল?
তোমার উড়ন্ত পাপড়িগুলো তুলতুল;
তোমাকে তুলতে বারবার করছি ভুল
তোমাকে পেতে হয়েছি আমি ব্যাকুল।
কূল হারিয়েছি ফুল হারিয়েছি
হারিয়েছি জীবনের মূল,
তোমার দুধগোলাপের বদনখানি
ধোঁয়া সুবর্ণ অতুল।
তোমার হৃৎপিণ্ড রঙপিয়াসী
নেশা নেশা তোমার ভেজা চুল,
তোমার মুখশ্রীর এক ঝলক হাসি
ভোরের ফোটা সুগন্ধি ফুল।
তোমার দুটি আঁখি হরিণীর মতো
হালকা হাওয়াই খাও দোল,
কে তুমি রঙিলা, ফিরে তাকাও,
একবার এসো করি ভুল?