প্রকাশ : ২৮ মে ২০২২, ০০:০০
মা জননী স্বর্গখনি
মা জননী স্বর্গখনি
নেই তুলনা তাঁর,
দুনিয়াতে সেই অভাগা
মা বেঁচে নেই যার।
মায়ের গর্ভে জন্ম নিয়ে
দেখি ধরার মুখ,
মা জননীর আঁচলতলে
পাই ধরণীর সুখ।
কান্নাকাটি করলে মায়ে
কোলে টেনে নিতো,
আদরমাখা ভালোবাসায়
ঘুম পাড়িয়ে দিতো।
দুঃখণ্ডকষ্টে থাকলে হায়রে
কাঁদতো মায়ের প্রাণ!
চোখের মণি মা যে ছিলো
প্রভুর সেরা দান।
মায়ের মতো আপন কেউ
এই জগতে নেই,
এসো মায়ের সুখের জন্যে
প্রাণ বিলিয়ে দিই।
আত্মশুদ্ধির পথ খুঁজি
শূন্য হাতে কেঁদে কেঁদে এসেছি
সুন্দর সুবিশাল এই ভবে,
পেয়েছি আদর, স্নেহ, ভালোবাসা না চাওয়া সুখের নদী।
অভাব কী বুঝিনি?
তারপরও বড়োর সম্মান খুঁজিনি।
করেছি কতো ঢঙ, ধরেছি খারাপ সঙ
ঘৃণা করে আজ পরিবার সমাজ
লেগে আছে গায়ে কালিমার রঙ।
সুখের দেখা পেয়ে অমানুষ হয়ে
অবিচার করেছি কতো,
দেখিনি ভেবে জীবনের কী হবে?
অভিশাপের অনলে পুড়ছি অবিরত।
এটাই কী জীবন?
না, না, না এটা কোনো জীবন হতে পারে না।
ভুল করে ফেলেছি
মনের খাতায় যোগ-বিয়োগ করে দেখিনি কভু,
ভাবিনি ওই পরোজীবনের কথা,
যে জীবনে নিহিত রয়েছে চিরস্থায়ী সুখ, রয়েছে পরম শান্তি।
একবারও কী ভাবি? কী করছি আর কী করতে হবে?
টাকাকড়ি, ধন গরিমার অহংকার করি,
কর্ম ছেড়ে ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করি,
কী লাভ? কেনো করি এসব?
এটা কিন্তু ঠিক না, একদম ঠিক না
শূন্য হাতে এসেছি, শূন্য হাতেই চলে যাবো।
এসো হে ভাই, এসো এসো
আত্মশুদ্ধির পথ খুঁজি,
কর্মের মাধ্যমে ধর্মকে বুঝি,
আর তাতেই পরোজীবনের শান্তির ঠিকানা পাওয়া সম্ভব হবে।