প্রকাশ : ১২ মার্চ ২০২২, ০০:০০
ভালোবাসারা পুড়ে না, মরে না
ভালোবাসারা আকাশে উড়ে
ভালোবাসারা চিরন্তন, শাশ্বত আর প্রবাহমান
এক পৃথিবীর সব আবদ্ধ ভালোবাসার কাছে।
যা কখনো বোমারু বিমান মিগ-২৯ কিংবা আকাশে উড়া গাংচিল,
কখনো দ্রোহ, কখনো নিদারুণ দুঃখের প্রতিচ্ছবি
কখনোবা গোত্তা খাওয়া রঙিন ঘুড়ি, রংধনুর গোধূলি
কখনোবা নিশুতি আঁধার রাতে পথচলার সারথি।
ভালোবাসারা দেদীপ্যমান শপথের মতো,
অনিঃশেষ তেজের মতো;
প্রস্তরখ-ে শাবলের আঘাতে আঁকা প্রাচীন ছবির মতো।
ভালোবাসারা বুকের বাপাশে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন
ভালোবাসারা আত্মার আত্মিক সম্মিলন,
স্বপ্নে দেখা পৃথিবীর মানচিত্র;
শোষণহীন রাজ্যের রাজা-প্রজার একদেশ!
ভালোবাসারা পৃথিবীর সংক্রামক রোগের মতো
প্রবাহিত হয় জন্ম থেকে জন্মান্তরে, শহর থেকে নগরে
এ ভালোবাসারা অনিঃশেষ,
এ যে অনিঃশেষ ভালোবাসা।
আমি কবিতা লিখি না
আমি কবিতা লিখি না
কবিতা বলে কিছু নেই,
যারা নিজেদের কবি বলে তারা মিথ্যেবাদী,
কবি সেতো শুধু অলংকারিক ভাষা,
যে ভাষা প্রতিকায়িত করে আমাদের সত্তাকে!
কবিতা বলে কিছু নেই
যা আছে তা আমার আবেগ,
আমার সমাজ, রাষ্ট্র, আমার অতীত, বর্তমান, ভবিতব্য ইতিহাস।
আমার চারপাশ উঠে আসে লেখায়, ছন্দে, আনন্দে
মমতায়;
উঠে আসে কালো-ধলো, আসল-নকল
উঠে আসে প্রেম, বিষাদ কিংবা দ্রোহ;
উঠে আসে শাসক, শোষক, হানাদার, নিরীহ জনতা,
কিংবা পা চাটা কুকুর।
উঠে আসে নষ্টের বাজারে যারা প্রেম
বিক্রি করে, যারা হয় খরিদ্দার কিংবা নাটকের কুশীলব;
উঠে আসে নক্ষত্র, মৃত্যু আর শোক।
কলমে দৃশ্য ফোটে, মুখে খই ফোটার মতো করে
শিল্পীর আঁকা ছবির মতো,
জাদুঘরের রক্ষিত পৌরাণিক সৃষ্টির মতো;
মাঠে ফলানো কৃষ্টির মতো।
আমি লিখি আনন্দে, দুঃখে কিংবা দ্রোহে,
মানুষ নাম দেয় কবিতা, নাম দেয় কাব্য;
আদৌতে কবিতা বলে কিছু নেই, কাব্য বলে কিছু নেই
যা আছে তা আমার প্রেম, দ্রোহ আর আমার সত্তা
যে সত্তা এই পৃথিবীর সকল মানুষের।