শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।

প্রকাশ : ১০ জুলাই ২০২১, ০০:০০

সতের বছর আগে
অনলাইন ডেস্ক

সতের বছর আগের

এক ছোট্ট গল্প

সালটি ছিলো

২ হাজর ৩-এর একদিন।

অন্তরাকে দেখে থমকে যায়

এক যুবক

চোখাচোখি অনেক দিনের

আজ দুজন সামনাসামনি।

কথা হয়, মিষ্টি হাসি

ছুরে দিয়ে চলে যায়

কিছু সময় পর

আবার দুজনার দেখা।

ভালোবাসায় দুজনার

হাবুডুবু কি যে মশগুল

আপনের চেয়ে অনেক আপন

যেনো দু হৃদয় এক আত্মার।

ওর নাম অন্তরা

যুবক প্রেমিক শুভ

ভালোবেসে কাছাকাছি অন্তরা হয় মেঘলা

শুভ হয়ে যায় আকাশ।

ছদ্মনামের আড়ালে আরেক

ঘটনার জন্ম হয়, একদিন বিকেলে

ঘুরতে গিয়ে দুজন মেঘে ভিজে

তাই মেঘলা আকাশ হয়ে যায়।

আকাশকে কাছে পেতে

শনির উপোষে ব্রতমেঘলা

মায়ের মন্দিরে প্রসাদের বাটা হাতে

সামনে দাঁড়ানো আকাশ।

রঙিন অম্বরীতে মেঘলা সেজেছে

আকাশের সামনে যেনো দেবী

অপলক নয়নে তাকিয়ে থাকা

মেঘলা চলে নীড়ের টানে।

হাতে তার পূজোর থালা

ফুল-জল-বেলপাতা

আকাশকে দেখেই মুচকি হাসি

সামনে দাঁড়িয়ে প্রসাদের বাটা তুলে ধরা।

মেঘলার ভালোবাসা চলে

চান্দের নগরে সপ্তাহ

মিথ্যার ফুলঝুঁড়ি দিয়ে

গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা।

দিনের পরে দিন যায়

একদিন হাওয়ায় ভেসে

আল ভাইয়ের মুঠোফোনে কল

ওপাশ থেকে মেঘলার কণ্ঠস্বর।

কথা একটাই বলেছে

তুমি আমাকে নিয়ে যাও

ডাকপিয়ন এসে বলেছিলো

এই নিন আপনার...।

ডাকপিয়ন এসেছিলো

২ হাজার ৩ সালের ৬ এপ্রিল

তাতে লেখা ছিলো

নববর্ষে যেনো দুজনার দেখা হয়।

আকাশ ডাকপিয়নের বার্তা

পেয়ে সে কী আনন্দিত

পহেলা বৈশাখ দেখা হবে

প্রেয়সী মেঘলার সাথে

২ হাজার ৩ সালের

১৫ এপ্রিল সকালবেলা

আকাশ ছুটে চলে

মেঘলার কথায় মায়ের মন্দিরে।

চান্দের নগরী ছেড়ে

যেতে যেতে সময় লাগে

ঘণ্টারও বেশি

আকাশ ঘুরে মায়ের মন্দিরে।

কত শত মেঘলার মতো তরুণী ঘুরে

তবু প্রেয়সী মেঘলার দেখা নেই

দুপুর ঘনিয়ে এলো

মেঘলা এসে দাঁড়ালো সামনে।

আকাশ অবাক হলো

চোখের ভাষায় মেঘলা ডাকে

সেই ডাকে আকাশ সাড়া দিলো

রাধাকৃষ্ণের মন্দিরে ছুটে গেলো।

বেশ সময় ওরা গল্প করে

পাহারায় দাঁড়ানো মেঘলার বোন

তারপর বান্ধবীদের নিয়ে ছুটা

মিষ্টির দোকানে জমিয়ে আড্ডা।

পূর্বাকাশের সূর্য

পশ্চিমে হেলে পড়ে

মেঘলার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে

আকাশ ছুটে চান্দের নগরীতে।

তারপর আকাশ আর মেঘলা

চলে যায় দু মেরুতে

বেশ কিছুদিন যোগাযোগ নেই

কি হলো কেউ বলতে পারে না।

মেঘলার উড়োচিঠি আসে

বাতাসে ভেসে

নির্দিষ্ট একদিন

জগতপুর যেতে।

আকাশ যায় সেদিন

মেঘলা আসে বাসে চড়া

যাত্রা লালমাইপাহাড়

স্থান এক কবিরাজ বাড়ি।

সকাল থেকে বিকেল গড়ায়

আকাশ মেঘলা আর ছোট বোন

মেঘলা বার বার বলে তুমি আমার

সেই শেষ আর নেই সাক্ষাৎ।

সতের বছর পার হলেও

মেঘলা মেঘে ভেসে চলে যায়

কোনো এক অচেনার হাত ধরে

আকাশ আজও মেঘলার প্রহর গুণে।

* পাঠক ফোরাম বিভাগে লেখা পাঠানোর ঠিকানা

[email protected]

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়