প্রকাশ : ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
ঘোর বৃষ্টির মাসে তার সঙ্গে এক ছাতার নিচে
হেঁটে হেঁটে ঘুরি শহরের এক গলি থেকে অন্য গলি
ঈষদচ্ছ শহর নীরবতায়,
বৃষ্টির সুর সঙ্গীত শোনে।
রিক্সার হুড উঠিয়ে পাশাপাশি বসে,
কথা-গাঁথা হয় তোমার সাথে, চঞ্চুল ব্যাকরণে;
বাবুইপাখির ঘর।
এই শহরে বৃষ্টি নেমেছে-ঘোর বৃষ্টি-
বৃষ্টি ঘিরেছে অন্ধকারে শহর;
গিলছে তাপ।
বৃষ্টি এক ছন্দময় গান-
নারী তুমিও আজ বৃষ্টির মিতাক্ষর
অনাতিশীতোষ্ণতায়ও আমি-
উষ্ণ মোমের মতো গলে পড়ি তোমাতে;
তরপুনের মতো।
বৃষ্টিময় শহরে তোমার আমার সুচুতুর
গোপন বৈঠক।
ঢল নেমেছে বৃষ্টির-
বাঁধ ভাঙে আমার-এতো ঝুম শ্রাবণে,
আমার মুঠোভরতি আগুন-
তুমি বুঁজেছো কি প্রেমে?
নৈর্ঋতের মতো বৃষ্টি আজ-
স্বাদুমাংস খাওয়ার করছে আয়োজন।
.
প্রোথিত হও শরীরে
শাপলা ফুলের মতো;
পাপড়ি মেলো তুমি
আমার সরোবরে।
শরীরে প্রোথিত হও, তীক্ষ্ণ ঠোঁটে।
ডুবে যাও যেমন ডুবুরী ডুবে
গভীর জলে।
শরীর করো জলজ
যতোটুকু বর্ষায় কদম ভিজে।
আমাতে চোখ রাখ, আবিষ্ট হও,
আমি আগুন জ্বালবো
আমার আগুনে আজ শরীর তাপাও।
.
উত্তাপ দ্বিপ্রহরে
বুকে ভরে রাখ বকুল সৌরভ
কৌটায় ভরে থাকে যেভাবে সুরতি
ঘ্রাণে-প্রাণে অঞ্জলি প্রণয়
জুড়াও সর্ব দাহ মনের।
এ চৈত্রের চরম-উত্তাপ দ্বিপ্রহরে
আমরা পথে হেঁটে হেঁটে
মোমের মতো গলে পড়া ঘামে
দুছত্র লিখি জীবনের
রোজনামচায়।
স্নান করবো রৌদ্র ঘামে
কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় বসে
জুড়াবো হৃদয়।