মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

এই জনমে

মিজানুর রহমান রানা

অনলাইন ডেস্ক
এই জনমে

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

তেরো.

স্বাধীনতার অনেক বছর পেরিয়ে গেছে। অধরা মেডিকেল কলেজ থেকে পাস করে ইন্টার্নী শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজেই চিকিৎসক হিসেবে যোগ দিয়েছে। ১৬ ডিসেম্বরের পর অস্ত্র জমা দিয়ে যোদ্ধারা যার যার বাড়িতে ফিরে গিয়েছিলো। ইরফান বলেছিলো, নিজকে গুছিয়ে নিয়ে অধরার কাছে ফিরে আসবে। কিন্তু আর আসেনি। আসতে পারেনি।

অধরাও আর বিয়ে করেনি। তার মনে হয়েছে, সে তো ইরফানের ভালোবাসার ফুলটি গ্রহণ করে যুদ্ধক্ষেত্রে একত্রিত হয়েছিলো। সবাই মিলে তাদেরকে বিয়েও দিয়েছিলো। কিন্তু এটা তো কল্পনা হতে পারে না। এটা তো মিথ্যে হতে পারে না। তাই সে ইরফানের পথ চেয়ে তার জীবনের বাকি কাজগুলো শেষ করে অপেক্ষায় ছিলো। নিশ্চয়ই একদিন না একদিন ইরফান ফিরে আসবে।

ইমতিয়াজ ও তুষার তাদের প্রিয়জনদেরকে নিয়ে ভালো আছে। কিন্তু ইরফানের কোনো সন্ধান নেই। একদিন এক পরিচিতজন বলেছিলেন, ইরফান মারা গেছে। ’৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির বাইরে প্রহরায় নিয়োজিত থাকা অবস্থায় ঘাতকদের গুলিতে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাথে সেও মৃত্যুবরণ করেছে।

অনন্যা পত্রিকার পাতাগুলো তন্ন তন্ন করে খোঁজে প্রতিদিন, কিন্তু ইরফানের নাম সেখানে নেই। সে আশায় বুক বাঁধে, সকাল-সন্ধ্যা কত মানুষের মুখ দেখে, কিন্তু একটি মুখ যা তার হৃদয়ের স্পন্দনে বেজে উঠে তাকে সে খুঁজে পায় না।

মাঝে মাঝে মেডিকেলের দায়িত্ব শেষ করে তুষার ও ইমতিয়াজের সাথে দেখা করে, কিন্তু তারাও ইরফানের খোঁজ খবর দিতে পারে না। এমনকি ইরফানের বাড়িতে গিয়েও তার কোনো খোঁজ খবর পায়নি কোনো দিন। তার বাবা-মাও বলতে পারে না ইরফান কোথায় আছে।

তারপর পেরিয়ে যায় আরো অনেক বছর, প্রতিটা বছর শীত শেষে গাছেরা পাতা ঝরায়, ক্যালেন্ডার থেকে একটি একটি করে দিন, মাস, বছর শেষ হয় কিন্তু অধরার অপেক্ষার প্রহর আর শেষ হয় না।

অধরার বাবা-মা সব জেনে শুনে তার ছোট বোন তিরণাকে বিয়ে দিয়ে দেয় সেই অনেক বছর আগেই। সে এখন তার স্বামী সন্তানসহ ইউকে থাকে। মাঝে মাঝে অধরার খোঁজ-খবর নেয়।

অধরা বেশিরভাগ সময়ই নিশ্চুপ থাকে। শুধুমাত্র মেডিকেল কলেজে রোগীদের সাথেই কথা বলে, গভীর মমতায় চিকিৎসা দেয়। এর বাইরে কারও সাথে তেমন একটা কথা বলে না।

চাঁদের পরিপূর্ণ অপূর্ব শোভা অধরা শেষ কবে দেখেছিলো, এখন আর তার মনে নেই। চাঁদের সৌন্দর্য এখন আর তার কাছে কিছুই মনে হয় না, হৃদয়ে দোলা দেয় না। মনে হয় চাঁদেরও কলঙ্ক আছে কিন্তু ইরফানের মনে কোনো কলঙ্ক নেই, প্রতারণা নেই। কারণ সে মুক্তিযোদ্ধা। একজন মুক্তিযোদ্ধা মৃত্যুকে সামনে নিয়ে দেশের জন্যে যুদ্ধ করেছে, তবুও শত্রুর কাছে মাথা নোয়ায়নি। তাই তারা কারও সাথে প্রতারণা করতে পারে না।

এভাবে কাজে ডুবে থেকে, রোগীদের সেবায় কাটিয়ে দেয় আরো কিছু অপেক্ষার প্রহর। সময় গড়াতে থাকে। তিরণার ঘরে একে একে দুটি সন্তান জন্ম নেয়। তুষার ও ইমতিয়াজের সংসারেও ছেলেপুলে আসতে থাকে, ধীরে ধীরে বড়ো হতে থাকে, স্কুল-কলেজ-ভার্সিটির গণ্ডি শেষ হতে থাকে। সব খবরই তার কানে পৌঁছে, যায় কিন্তু এসবে তার কোনো বোধশক্তি নেই।

কী যেনো এক মায়ার টানে সে ইরফানের অপেক্ষার প্রহর গুণে।

একদিন হাসপাতালে দেখা হয়ে যায় অনন্যা চৌধুরীর সাথে। রোগী হিসেবে এসেছিলো ৩৭নং বেডে। ডিউটি ডাক্তার হিসেবে ওই বেডে গিয়ে রোগীর সেবা দিতে গিয়ে চমকে উঠে সে। এখানে নিশ্চুপ ঘুমিয়ে আছেন একজন নারী, যিনি তাঁর সাথে যুদ্ধে পাকবাহিনীর সাথে লড়েছিলেন। ঘুমন্ত অবস্থা থেকে জেগে উঠলেই তাঁকে অভিবাদন করলো অধরা।

দুটি চোখ খুলে অধরাকে চিকিৎসকের বেশে দেখে প্রথমে চিনতে পারেনি অনন্যা চৌধুরী। অধরা অভিবাদন শেষে প্রশ্ন করলেন, ‘এখন কেমন আছেন বীরাঙ্গনা অনন্যা চৌধুরী?’

অনন্যা চৌধুরীর চোখে বিস্ময়। তিনি অপলক তাকিয়ে আছেন অধরার দিকে। অধরা বুঝতে পারলো বিষয়টা। তাই অনন্যার হাত ধরে গভীর মমতায় বললো, ‘আমি ডাঃ অধরা। আপনাদের সাথে একই সাথে যুদ্ধ করেছিলাম’।

এবার উঠে বসলেন অনন্যা চৌধুরী। বিস্ময়ের ঘোর কেটে গেছে তার। সব বুঝতে পেরে অধরার ধরা হাতটি ছুঁয়ে গালের পাশে স্পর্শ করে বললেন, ‘আমার বিশ্বাস হচ্ছে না, এতোদিন পর আপনাকেই আমার বেডের পাশে ডাক্তার হিসেবে পাবো।’ টলটল করে অনন্যা চৌধুরীর গাল বেয়ে অশ্রু গড়িয়ে পড়ছে গভীর মমতায়।

অনন্যা চৌধুরী জানালেন, যুদ্ধ শেষে তাঁর বাড়িতে গিয়ে স্বামীকে পেয়েছিলেন। তবে তার একটি পা পাকবাহিনীর নির্যাতনে ভেঙ্গে গিয়েছিলো। অনেক চিকিৎসা করে ভালো হয়েছিলো। এরপর তার ঘর আলোকিত করে তিন তিনটি সন্তান আসে। কিন্তু তিনটি সন্তানই বড় হয়ে বিভিন্ন রোগে, দুর্ঘটনায় মারা যায়। এরপর স্বামীও কয়েক বছর পর মারা যায়। তিনি আজ একা, তার পাশে কেউ নেই।

সে সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কথা জানতে পেরে লোকজন পাঠিয়ে তাঁর দপ্তরে সসম্মানে ডেকে নেন। বীরঙ্গনা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন অনন্যাকে তার প্রয়োজনীয় সবকিছুই করে দিতে, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। বর্তমানে তিনি বই লেখেন, সেই বই হেঁটে হেঁটে বিক্রি করেন, যা আয় হয় তা-ই দিয়ে জীবনটা চালিয়ে যান।

অনন্যা প্রশ্ন করে, ‘আপনি মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নেননি কেনো? কেনো প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া সুযোগ-সুবিধা নেননি? তাহলেই তো ভালো থাকতে পারতেন।’

অনন্যা কিছুক্ষণ অধরার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারপর বলে, ‘আমি তো এসবের জন্য যুদ্ধ করিনি। তাহলে আমি এসব নিয়ে কেনো নিজকে ছোট করবো? আমি যুদ্ধ করেছি, আমারই প্রয়োজনে। পাক-বাহিনী আমার সাথে যা করেছে, তার জন্যে আমাকে যুদ্ধে যেতে হয়েছে। আমি আমার জন্যে করেছি, আমি দেশের জন্যে করেছি। তাহলে আমি কেনো এর প্রতিদান নিবো? আর যদি প্রতিদান নেই, তাহলে তো আমার মন আমাকে বার বার বলবে, তুমি রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভোগ করার জন্যে যুদ্ধ করেছিলো, তোমার মনে আসলেই কোনো দেশপ্রেম ছিলো না। তুমি সুবিধা পাওয়ার জন্যে, অর্থের মোহে যুদ্ধে গিয়েছিলো। আমি আমার মনকে কী দিয়ে বুঝ দেবো? নিজের কাছে নিজে ছোট হয়ে যাবো না? একটা মানুষ তখনই মরে যায়, যখন সে নিজের কাছে ছোট হয়ে যায়, যখন সে তার মনের সঠিক উত্তর দিতে না পারে। যারা দেশপ্রেমিক তারা কখনই ভাতার জন্যে যুদ্ধ করে না। এটাই তাদের আত্মসম্মান।’

অধরা অনন্যার যুক্তিময় কথায় অবাক হয়ে যায়। স্বাধীনতার পর কত রাজাকার মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট পেয়েছে, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কত অমুক্তিযোদ্ধা ছলছাতুরি করে মাসের পর মাস মাসোহারা, নিজের ছেলে-মেয়েকে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকুরি দিচ্ছে, অন্যান্য ভাতা নিচ্ছে। আর রণাঙ্গনের বীরঙ্গনা এই নারী আজ কী বলে? নিজের সম্ভ্রম হারিয়ে সরাসরি যুদ্ধে গিয়ে জীবনবাজি রেখে শত্রুদের ঘায়েল করেছে, সে কি-না বলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ভোগ করলে নিজের মনের কাছে ছোট হয়ে যাবে!

এরাই আজ রাস্তায় রাস্তায় বই বিক্রি করে খেয়ে না খেয়ে জীবনপ্রবাহে ধুঁকে ধুঁকে মরছে, আর কিছু কিছু সুবিধাবাদী টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট কিনে মুক্তিযোদ্ধা ভাতা নিচ্ছে মাসের পর মাস, বছরের পর বছর!

ভাবছে অধরা, হায় সোনার মানুষ অনন্যা। তোমরা অন্তরের দিকে কত বড়ো সৎ হলে এমনিভাবে অর্থের লোভ সামাল দিয়ে জীবনকে তুচ্ছ করে সমাজে দীনহীনের মতো চলতে পারো। তোমরাই আমাদেরকে জানিয়ে দিলে সোনার মানুষ কাকে বলে?

অধরা এসব ভাবছিলো অনন্যার দিকে তাকিয়ে এক পলকে। অনন্যা প্রশ্ন করলো, ‘ইরফান কোথায়?’

প্রশ্ন করেই দেখলো অধরার দুচোখে অশ্রুবিন্দু মুক্তোদানার মতো গড়িয়ে পড়ছে।

তিনি উঠে বসলেন, তারপর অধরাকে বেডে বসিয়ে তার চোখের অশ্রুবিন্দুগুলো মুছে দিলেন। বললেন, ‘বুঝতে পারছি ইরফান পালিয়ে গেছে!’

বাধা দিলো অধরা। তারপর বললো, ‘ইরফানরা পালাতে পারে না, ওরা যোদ্ধা। হয়তো জীবনের যুদ্ধে এখনও জয়ী হতে পারেনি, তাই সে আসেনি আমার কাছে। যেদিন সে জীবনযুদ্ধে বিজয়ী হবে, অবশ্যই আসবে। অবশ্যই আসবে।’ অনন্যা শেষের কথাটা এমন জোর দিয়ে বললো, যেনো মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যে কোনো সময় ইরফান তার কাছে অবশ্যই আসবে সে এটা শতভাগ নিশ্চিত।

অনন্যা অধরার কথায় অবাকই হলেন। তারপর ভাবলেন, ‘মানুষের প্রতি মানুষের এতো বিশ্বাস কীভাবে জন্মায়? স্বাধীনতার এতো বছর পেরিয়ে গেছে, এরপরও এই নারী এখনও বিশ্বাস করে তার ইরফানকে সে খুঁজে পাবেই। ইরফান অবশ্যই তার কাছে ফিরে আসবে? এতো বিশ্বাস একজন নারী কোথায় পায়? নিশ্চয়ই এটাই গভীর ভালোবাসা। গভীর ভালোবাসার কাছে মানুষের হয়তো মৃত্যু আছে কিন্তু ভালোবাসা ও বিশ্বাসের মৃত্যু নেই।

জীবনের শেষ প্রান্তে এসে অনন্যা অধরার কাছে মানুষের প্রতি মানুষের প্রবল বিশ্বাস দেখতে পেলো। একটা মানুষ কতটা সৎ হলে তার ভালোবাসার মানুষকে এতো বছর ধরে বিশ্বাসের মোড়কে হৃদয়ে ধরে রাখতে পারে। এটা সবার পক্ষে সম্ভব হতে পারে না। শুধু ..’।

আর ভাবতে পারেন না। অধরা কথা বলে উঠলো। বললো, ‘আরে, আপনি তো আমার পেসেন্ট। এতোক্ষণ ধরে আমার জানাই হলো না আপনার কী সমস্যা।’

ঠিক এমন সময়ই নার্স মেয়েটা হতদন্ত হয়ে কাছে এসে জানালো, ‘আপা, আজ গ্রেনেড হামলা হয়েছিলো বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার উপর। এরই মধ্যে আইভি রহমানসহ ২৪ জন মারা গেছে, শেখ হাসিনাসহ প্রায় ৩০০ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে টিভিতে দেখেছি। আমাদের এখানেও কয়েকজন এসেছে। আপনাকে পাশের ৪৪ নাম্বার রোগীটাকে দেখতে যেতে হবে।’

এমন সময় অনন্যাও উঠে বসলেন, অধরাকে বললেন, ‘আমাকে সাথে নিয়ে চলো।’

অনন্যা অধরার সাথে চলতে শুরু করলেন। ৪৪নং বেডের রোগীটার অবস্থা খুব খারাপ। গ্রেনেড হামলায় আহত রোগীরটার শরীরে এবং মুখে ইতোমধ্যে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। যন্ত্রণায় ভীষণ কাতরাচ্ছে দেখে তাকে ঘুমের ইনজকেশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে।

অনন্যা কাছে এসে রোগীর ফাইলটি হাতে নিলেন। ফাইলের উপরেই রোগীর নাম লেখা আছে- ইরফান!

উত্তেজনায় অধরার দুটি চোখ যেনো বিস্ফোরিত। এমন সময় আরো কাছে এগিয়ে এলেন অনন্যা চৌধুরী। তিনিও রোগীর ফাইলটিতে নজর দিলেন। তারপর রোগীর নামটি দেখে চমকে উঠলেন।

এমন সময় ভীড় ঠেলে সেখানে প্রবেশ করলো তুষার ও ইমতিয়াজ। তাঁরা এসেই অধরাকে বলতে লাগলো, ‘টিভিতে দেখেছি ইরফান নামের একজন গ্রেনেড হামলায় আহত হয়েছে। আমরা কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে এখানে এসেছি। ইরফানের কোনো খোঁজ-খবর আছে?’

তাদের কোনো কথা কানে ঢোকেনি অধরার। সে নিশ্চল ইরফানের দিকে তাকিয়ে আছে। এমন সময় অনন্যা কথা বলে উঠলো, ‘ইমতিয়াজ-তুষার ভাই, ওই যে এই বেডে ইরফান ঘুমিয়ে আছে। সে কখন জেগে উঠবে তা আমার জানা নেই।’

এমন সময় সেখানে প্রবেশ করলো ইশানবালা ও রূপালি। তারা জানতে চাইলো, ইরফানকে পেয়েছে কিনা? অধরা তাদেরকে দেখে চমকে উঠলো। তারপর তাদের দিকে তাকিয়ে বললো, ‘সারাজীবন অপেক্ষায় থেকে আজ তাঁকে জীবন্মৃত অবস্থায় পেয়েছি। জানি না, সে আর আমাদের মাঝে ফিরবে কিনা?’ কথাগুলো বলে হৃদয় থেকে গভীর একটা শ্বাস নিলো। তারপর ইরফানের চিকিৎসার কাজে আত্মনিয়োগ করলো। (চলবে)

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়