প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
ক্রীড়ার হার আছে। হার আছে সঙ্গীত-নৃত্যের মঞ্চেও। জীবন হারাতে চায় ব্যক্তিকে নানা প্রলোভনে। ক্রীড়ায় ফিক্সিং আছে, বলবর্ধক ঔষধ ব্যবহার করে দক্ষতা বৃদ্ধির ব্যাপার আছে। সঙ্গীতে ও নৃত্যের মঞ্চ সব সময় অনুকূলে থাকে না। অনুকূল থাকে না বয়স, গলা কিংবা দৈহিক কাঠামো। জীবন সহজে ব্যক্তির জন্যে জয় নিয়ে বসে থাকে না। কিন্তু বিতর্কের যে পথ, সে পথ আলোর, সে পথ সত্যের। সে পথ যুক্তির ও জ্ঞানের। এ পথে হার নেই। যে আসে বিতর্কে সে হারে না। জীবনকে দেখার তার সূক্ষ্ম চোখ তৈরি হয়। প্রলোভন জয়ের শক্ত মানসিক সামর্থ্য তার তৈরি হয়। যে যুক্তির খোঁজে পথে নামে সে মুক্তির দিশা পায়, সে আলোর সন্ধানী হয়।
বিতর্ক জ্ঞান দেয়, যুক্তি দেয়। বিতর্ক পরমতসহিষ্ণুতা দেয়। বিতর্ক নিজের মত প্রকাশের শক্তি দেয়। বিতর্ক শিষ্টাচার দেয়। বিতর্ক-মুক্ত মন দেয়, প্রগতি দেয়, শক্ত ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি দেয়। বিতর্ক অধ্যবসায় দেয়। বিতর্ক মেধায় শান দেয়। মুখে কথার খৈ ফোটায়, বিতর্ক বুদ্ধি প্রসারিত করে, বিতর্ক ব্যক্তিকে প্রজ্ঞা দেয়। কাজেই যে বিতর্কে আসে তার মুক্তি অনিবার্য। আঁধারের নিগড় হতে সে ছিনিয়ে আনে আলোর প্লাবন। কাজেই যে বিতর্কে আসে সে হারে না। তার জিৎ হয় জীবনের কাছে।
বিতর্ক একটি সৃজনশীল শিল্প। বিতর্ক চর্চায় আজ দ্বিমত নয়, সহমত প্রয়োজন। এই শিল্পকে গণমাধ্যমে ফলাও প্রচার করে পৌঁছে দেয়া হোক সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায়। নিয়মিত বিতর্ক চর্চায় আজ আমরা দলমত নির্বিশেষে ফিরিয়ে আনি দিগ্ভ্রান্ত তরুণকে, চালাতে শুরু করি ঋদ্ধ নির্মাণের পথে। হে যুবক। হে তরুণ ফিরে আসো বিতর্কের বারান্দায়, ফিরো আসো যুক্তির বিনোদনে। ফিরে আসো বিতর্কে, ফিরে আসো। যে আসে বিতর্কে সে হারে না, সে হারে না জীবনের কাছে।
-ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, (উপদেষ্টা, সিকেডিএফ, চাঁদপুর)।