বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

আমার বিতার্কিক হয়ে ওঠা
পীযূষ কান্তি বড়ুয়া

মুক্তচিন্তা দিয়ে আমার শৈশব শুরু। মুক্ত চিন্তাই এখনও আমার জীবন চলার বাহন। ছোটবেলা হতে যে কোনো যুক্তি সহজে মেনে নেওয়ার মতো মানসিকতা আমার ছিলো না। পারি বা না পারি যুক্তির শক্তিকে বাজিয়ে আমার দেখা চাই। এ কারণেই শিক্ষকের সাথে, বন্ধুর সাথে এমনকি পরিবারের সদস্যদের সাথে আমার যুক্তি ও পাল্টা যুক্তির লড়াই চলতো প্রায়ই। শুধুমাত্র এ কারণেই ‘বাতাসের বিপক্ষে ঘনত্ব’ এই বিষয়ের ওপর টানা আধঘণ্টা বক্তব্য দিয়ে ক্ষান্ত হয়েছিলাম প্রিয় এক সহপাঠীর যুক্তির উত্তরে।

শৈশবে যে পাড়ায় থাকতাম সে পাড়ায় ছিল দেশের অন্যতম বৃহৎ শিশু সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর শাখা জুঁই খেলাঘর আসর। ঊনিশশো আশি-একাশি সালের দিকে আমি খেলাঘর-এর সাপ্তাহিক আসরে যেতে থাকি। তখন রবিবার সকালে দশটায় আসর হতো। মনির ভাই, মিজান ভাই, বাবুল ভাই, সেলিম ভাই, মানু ভাই, ফারুক ভাই, বীতাদি এঁদের পরিচালনায় আমরা বেড়ে উঠি। প্রতিটা আসরে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থাকতো। নির্ধারিত বক্তৃতা, উপস্থিত বক্তৃতা, আবৃত্তি ইত্যাদি। এই প্রতিযোগিতাগুলোতে বড় ভাইয়েরা আমাকে অংশ নিতে অনুপ্রাণিত করতেন। গান ও নৃত্যের প্রতিযোগিতাও থাকতো। আমাকে তাঁরা অধিকাংশ সময়ে অনুষ্ঠান উপস্থাপনার দায়িত্বও দিতেন। একবার শিশু কিশোর আনন্দ মেলা উপলক্ষে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের ধারা বর্ণনাও আমাকে দিতে হয়েছিল। এসব কিছুই আমার তৃতীয় শ্রেণিতে ওঠার আগে হয়েছিল। তৃতীয় শ্রেণিতে ওঠার পর ষোল ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশু একাডেমিতে খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরীর পক্ষে আমাকে বক্তৃতা দেয়ার জন্যে মনোনীত করা হয়। আমি বক্তব্যে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানালেও খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরীর পক্ষে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে গেছি। অনুষ্ঠান শেষ করে মনির ভাই যখন আমাকে নিয়ে আসছিলেন তখন তিনি আমার বক্তব্যের প্রশংসা করার পাশাপাশি সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন। ক্লাস থ্রি-তে পড়ার সময় বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের উদ্যোগে আবৃত্তি প্রতিযোগিতায় আমার প্রথম স্থান অর্জন খেলাঘরের বড় ভাইদের গর্বিত করেছিল সেদিন। এরপর শুরু হয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা। খেলাঘরের বিতর্ক প্রতিযোগিতা আমাকে সনাতনী বিতর্কে প্রশিক্ষিত করে তোলে। উপস্থিত বক্তৃতা, নির্ধারিত বক্তৃতা, আবৃত্তি ও উপস্থাপনার কারণে আমার নিজস্ব বাচনভঙ্গি তখন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। উচ্চারণের বিষয়টিও মোটামুটি রপ্ত হয়ে গেছে। তাই বিতর্কে তখন কেবল তত্ত্ব ও তথ্য নিয়ে আমার যত মাথাব্যথা ছিল। মেজদির রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বইগুলো তখন হয়ে উঠে আমার অনন্য সম্পদ। আমার প্রথম বিতর্কের বিষয় ছিলো ‘বিজ্ঞান আমাদের জন্যে আশীর্বাদ নয়, অভিশাপ।’ আমি পক্ষে কি বিপক্ষে ছিলাম তা আর মনে নেই। বিতর্ক বিষয়ে আমি প্রথম জানতে পারি আমাদের বাসার কম্পাউন্ডের সাথে লাগোয়া বাড়ির মালেক ভাইয়ের কাছ থেকে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের মেধাবী ছাত্র ছিলেন। পরে তিনি ওকালতি পাস করে আইনজীবী হয়ে যান। তিনি আমার বড় দুই ভাইকে কোনো এক প্রীতি বিতর্কে অংশ নেওয়ার জন্যে রাজি করাচ্ছিলেন হয়তো। তাদের আলোচনা হতে বিতর্ক নামের এই চমৎকার মুক্তবুদ্ধি চর্চার হাতিয়ারের কথা জানতে পারি। এ সময়ে আমি নিজে নিজে ভাব-সম্প্রসারণ করতে শিখে যাই। ফলে যে কোনো বিষয়ে আমি আমার অভিমত তৈরি করার কৌশল শিখে ফেলি। এভাবে খেলাঘরের বিতর্ক করতে করতে এক সময় ক্লাস সিক্সে উঠি। পরম শ্রদ্ধেয় বাবুল আইচ স্যার আমাদের জ্যামিতি পড়াতেন। তিনি বিজ্ঞানের শিক্ষক ছিলেন। একদিন স্কুল ডে উদযাপন উপলক্ষ্যে বড় ক্লাসের মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। বাবুল আইচ স্যার ছিলেন এটার মডারেটর। ক্লাস নাইন ছিলো পক্ষে আর ক্লাস টেন ছিলো বিপক্ষে। স্যার এই দুই ক্লাসের দল গঠন করার জন্যে একটা প্রস্তুতি বিতর্ক আহ্বান করলেন। সময়ের অভাবে স্যার আমাদের জ্যামিতি পিরিয়ডে ওই দুই দলকে আমাদের ক্লাসে ডেকে বিতর্ক শোনা শুরু করলেন। ফাও হিসেবে আমরাও বড় ভাইদের এই প্রস্তুতিমূলক বিতর্কের দর্শক হয়ে যাই। বিতর্কের বিষয় ছিল ‘আমাদের জাতীয় জীবনে টেলিভিশনের উপকারের চেয়ে অপকার অধিক’। দুই পক্ষের বিতর্ক শুনে স্যারের মন ভরলো না। এটা ছিলো স্যারের জন্যে একটা প্রেস্টিজ। সেন্ট প্ল্যাসিডস্ স্কুলের স্কুল ডে-তে অনেক বরেণ্য অতিথি আসবেন। কাজেই বিতর্ক জমজমাট হওয়া চাই। চিন্তায় পড়ে গেলেন স্যার। এমন সময় হঠাৎ স্যার আমাকে ডাক দিলেন। ক্লাসের ফার্স্ট বয় হিসেবে স্যার আমার যৌক্তিক দক্ষতা সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। তিনি আমাকে ডেকে বললেন, এই বড়ুয়া, তুই এদিকে আয়। ক্লাস নাইনের দলনেতার বক্তব্যটা তুই দে। স্যারের কথা শুনে আমার ক্লাসে হাতে তালির বোমা ফাটলো যেন। আমি দাঁড়িয়ে কোনো কাঁপাকাঁপি ছাড়া পাঁচ মিনিটের বক্তব্য দিয়ে আসলাম। যেহেতু আমার ক্লাসে হচ্ছে, তাই আমার ভয়ের কিছু ছিল না। ব্যস, স্যারের পছন্দে আমি হয়ে গেলাম ক্লাস নাইনের দলনেতা। এবার টিম দুটোর নাম পাল্টানো হলো। ক্লাস টেন-ক্লাস নাইন বাদ দিয়ে নাম দেওয়া হলো সিনিয়র টিম এবং জুনিয়র টিম। স্কুলের বিরাট হলরুমে অনুষ্ঠানের দিন ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই অবস্থা। বিতর্কে জুনিয়র টিম বিজয়ী হলো এবং আমি হয়ে গেলাম শ্রেষ্ঠ বিতার্কিক। শুরু হয়ে গেলো ছোট হয়েও বড়দের সাথে পাল্লা দেওয়া। এটা পরবর্তী সময়ে আরো বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমার জীবনে ঘটেছে। ক্লাস সেভেনের পর ক্লাস এইটে উঠলে আমাকে বড় মামা ভর্তি করিয়ে দিলেন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলে। এখানে এসে মৌসুমী শিশু প্রতিযোগিতার বিতর্কে অংশগ্রহণ করি এবং তৃতীয় হই। ধীরে ধীরে আমার বিতর্ক বিষয়ক জ্ঞান ও পরিচিতির পরিধি বাড়তে থাকে। এই প্রতিযোগিতা আমাকে যেন রাতরাতি বড় করে দেয়। কারণ আমি এখানেই জানতে পারলাম, যারা বিচারকার্য করতে বসেন তারাও নিরপেক্ষ থাকেন না, দিনশেষে তারাও নিজেদের কুণ্ডকর্মে নিজেরাই গায়ে কালি লাগান।

ক্লাস এইটে বৃত্তি পরীক্ষার জন্যে আর কোনো প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা হয়ে উঠেনি। অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে প্রথম হওয়ার কারণে স্কুল কর্তৃপক্ষের প্রগাঢ় স্নেহের অধিকারী হই। ফলে বিতর্ক-বক্তৃতা প্রতিযোগিতায় আমি সব সময় স্কুলের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে যাই। ক্লাস টেনে উঠে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ প্রতিযোগিতায় উপস্থিত রচনা লেখা বিষয়ে জাতীয় পর্যায়ে প্রথম হই। ঢাকা শিল্পকলা একাডেমিতে তখনকার ফার্স্ট লেডি বেগম রওশন এরশাদ হতে পুরস্কার গ্রহণ করি। এই প্রাপ্তি আমাকে বিতর্কের ক্ষেত্রে আরো আত্মবিশ্বাস জোগায়। কলেজে ওঠার পরে আবারো শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় বিতর্কে অংশগ্রহণ করি এবং ব্যক্তিগতভাবে তৃতীয় হই। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে এসে বিভিন্ন বন্ধ-ভ্যাকেশন কাটিয়ে আমরা তৃতীয় বর্ষে বিতর্ক প্রতিযোগিতার সুযোগ পাই। সম্ভবত রোটারী ক্লাবের আয়োজনে চট্টগ্রামের উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আমরা চ্যাম্পিয়ন হই। আমি ছিলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বিতর্ক দলের দ্বিতীয় বক্তা। এরপর চমেকসু আন্তঃবর্ষ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আমরা চতুর্থ বর্ষ পঞ্চম বর্ষের দলের কাছে হেরে রানার্স আপ হলেও ফাইনালে আমি শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হই। আমি যখন পঞ্চম বর্ষে পড়ি তখন এসকেএফ-প্রথম আলো আন্তঃমেডিকেল কলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে আমাদের কলেজের দুটো দল অংশ নেয়। দল দুটোর নামকরণ করেন কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ ও চিকিৎসা অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডাঃ শুভাগত চৌধুরী। তিনি দল দুটোর নাম দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ আগুন দল এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ফাগুন দল। আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ আগুন দলের দলনেতা ছিলাম। এই প্রতিযোগিতায় আমাদের দুটো দলই ফাইনালে উঠেছিলো এবং চার রাউন্ডের প্রতিযোগিতায় আমি দুবার শ্রেষ্ঠ বক্তা হই। বাংলাদেশ টেলিভিশন জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় আমরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ বিতর্ক দল অংশগ্রহণ করি পঞ্চম বর্ষের ছাত্র হুমায়ূন কবির ভাইয়ের নেতৃত্বে। তিনি দলনেতা, আমি দ্বিতীয় বক্তা এবং পঞ্চম বর্ষের ছাত্র যুবরাজ ভাই ছিলেন প্রথম বক্তা। তবে দ্বিতীয় বক্তা হিসেবে একটা বিতর্কে আমার সহপাঠী যাহেদও অংশগ্রহণ করেছিলো। বিতার্কিক বাছাইয়ের বারোয়ারি বিতর্কে হুমায়ূন ভাই প্রথম এবং আমি দ্বিতীয় হয়ে দলে অন্তর্ভুক্ত হই। এই বাছাই পর্বে সবাই পক্ষে বলেছেন, কেবল আমিই বিপক্ষে বলেছিলাম। বারোয়ারি বিতর্কের বিষয় ছিলো ‘জনসংখ্যার মানোন্নয়নে পরিবার পরিকল্পনা’। টিভি ডিবেটের জন্যে আমাদের দলের ম্যানেজার ছিলেন ইন্টার্ন ডাঃ নূপুর কান্তি দাশ। হুমায়ূন ভাই, নূপুরদা এবং যাহেদ ছিলো চট্টগ্রাম ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের সাবেক ছাত্র, যুবরাজ ভাই ছিলেন ঢাকা কলেজের এবং আমি চট্টগ্রাম কলেজের সাবেক ছাত্র। টেলিভিশন বিতর্কে আমরা কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত উন্নীত হই। হুমায়ূন ভাইয়ের রক্ষণশীল কৌশলের কারণে এবং আগের রাতে অমর্ত্য সেনের অর্থনীতিতে নোবেল প্রাপ্তির কারণে বিতর্কে আমাদের স্ক্রিপ্ট মূল্যহীন হয়ে যায়। সারারাত ট্রেনজার্নি করে ঢাকা আসায় আমরা এই সংবাদ সম্পর্কে অবহিত হতে পারিনি। অথচ আমাদের বিতর্কের বিষয় ছিল অমর্ত্য সেনের তত্ত্বের সাথে সম্পর্কিত। ফলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলের দলটা হাল নাগাদ স্ক্রিপ্টে আমাদের হারিয়ে দেয়। বিতর্ক করে চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ, তৃতীয় স্থান ও শ্রেষ্ঠ বক্তা এসবই অর্জন করেছি। কখনো খালি হাতে ফিরতে হয়নি। মেডিকেল কলেজ হতে বের হওয়ার পরে চাঁদপুর বিজয় মেলায় একবার সাংবাদিক বিএম হান্নানের আয়োজনে পেশাজীবীদের বারোয়ারি বিতর্কে অংশগ্রহণ করি।

নিজের বিতার্কিক জীবন হতে বুঝেছি, বিতর্কে বিষয় বা প্রস্তাবনা কোনো ব্যাপার নয়। বিচারক প্যানেলের কেউ উক্ত বিষয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কি না তা অবশ্যই বিবেচ্য বিষয়। বিতর্কে আমার প্রিয় পজিশন ছিল দ্বিতীয় বক্তা। এতে আক্রমণ যেমন করা যায় তেমনি বেশি চাপও নিতে হয় না। বিতর্কে যে প্রয়োজনীয় তত্ত্ব ও তথ্য লাগে তা যে কেউ চাইলে একবারে জোগাড় করতে পারে না। তার জন্যে দীর্ঘমেয়াদী প্রস্তুতি লাগে। অর্থাৎ কেউ চাইলে একদিনে বিতার্কিক হয়ে উঠতে পারে না। বিতার্কিক হয়ে উঠতে গেলে ছোটবেলা হতেই নিজেকে তৈরি করে নিতে হবে। মুখের জড়তা যেমন কাটাতে হয় তেমনি চিন্তার জড়তাও কাটাতে হয়। একজন বিতার্কিক মানে যুগপৎ বাচিক ও যুক্তি শিল্পী। সুতরাং একজন বিতার্কিকের শুদ্ধ উচ্চারণে কথা বলা যেমন জরুরি তেমনি অকাট্য যুক্তিতে নিজর মত প্রকাশ করাটাও জরুরি। বিতার্কিক বানানো যায় না, বিতার্কিক হয়ে উঠতে হয়।

পীযূষ কান্তি বড়ুয়া : সব্যসাচী লেখক; বিশিষ্ট চিকিৎসক; অধ্যক্ষ, চাঁদপুর বিতর্ক একাডেমী; আহ্বায়ক, দ্বাদশ পাঞ্জেরী-চাঁদপুর কণ্ঠ বিতর্ক প্রতিযোগিতা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়