প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
বাবার ছড়া
আমার বাবা সাদা মনের
আলোর ধ্রুবতারা
মন্দ কারো চাননি তিনি
কেবল শুভ ছাড়া।
আমার বাবা চরণদ্বীপের
প্রদীপশিখার আলো
সংসার তাঁর জাহাজ ছিলো
তার ধরেছেন হালও।
বাবার কাছে মানবতার
পাঠ নিয়েছি সেরা
জীবনশিল্পী বাবার আশিস্
আছে এ মন ঘেরা।
আমার বাবা সুরেশ নামে
কর্মে আছে জেগে
বাবার কথা পড়লে মনে
অশ্রু ঝরে বেগে।
পেলে
পৃথিবীতে যতজনে ফুটবল খেলে
কেউ নয় তাঁর মতো যাঁর নাম পেলে
শৈশবে বাবা তাঁকে দিয়েছিল পাঠ
পেলে তাতে মাতিয়েছে হৃদয়ের মাঠ।
হেডে ছিল বিদ্যুৎ পায়ে ছিল দ্যুতি
গোলে গোলে ড্রিবলিংয়ে সে ছড়াতো জ্যোতি
ব্রাজিলের বস্তিতে আধা অনাহারে
এডসন অরাঁতেস ফুটবলে বাড়ে।
স্যান্টোসে গিয়ে পেলে জয় করে মন
তিনখানা জুলেরিমে সে করে আপন
আটান্ন, বাষট্টি, সত্তরে পেলে
পৃথিবীকে জাদু দিয়ে মাতিয়েছে খেলে।
শতো রাফ ট্যাকেলকে করে চুরমার
যত বাধা ততো বেশি ছিলো দুর্বার
স্বদেশের জার্সিতে সত্তর-সাত
করেছিল গোলে মাঠ-চত্ত্বর মাত।
এই কালো মানিকের ছিলো না মুকুট
রাজা তারে করেছিলো পায়ের দু’বুট
পেলে ছিল পৃথিবীতে ফুটবল-দূত
বাইসাইকেল কিকে সে ছিল নিখুঁত।
মরে হলে চিরজীবী হে কালো মানিক
দেহহীন তুমি শুধু কাঁদালে খানিক
চিরচেনা মুখখানি মনে বাতি জ্বেলে
সকলেই নিবে নাম মুখে পেলে-পেলে।
মিনির ছড়া
মিনি ও তার চারটা ছানা
গিন্নি নানী আমি নানা
সেই ছানাদের উৎপাতে
যাবার যোগাড় ফুটপাতে
দুষ্ট খুবই ঝিন্টি-জবা
পন্ড করে আমার সভা
ফুলটুসি আর লালু দাদায়
ঝগড়া করে ও গোল বাধায়।
চার ছানাকে ডাকে নানী
ইস্টইন্ডিয়া ক্যাট কোম্পানি
ঘুমায় সোফায় ঘুমায় খাটে
আমাদের ঘুম বিকোয় হাটে
আমি ভাবি রোহিঙ্গারা
দিলোই বুঝি মাথা চাড়া
মিনি ও তার চার ছানায়
বাইরে গেলে থাকি টানায়।
পাঁচ বেড়ালের আখড়া এ ঘর
মালিক মিনি আমরা যে পর
দেশটা যে আজ মিনি