প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৫৯
তিন লাখ টাকার পান এ বছর বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৬০ হাজারে
দিশেহারা হাইমচর-ফরিদগঞ্জের চাষিরা

চাঁদপুরের পানের খ্যাতি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও। যদিও এবার ন্যায্য দাম পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ হাইমচর ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার পান চাষীদের। তাদের দাবি, খরচের সিকিভাগও উঠছে না। বাগান ঘুরলেই দেখা যায় সারি সারি পান গাছ। আর সেই গাছে ঝুলছে ছোটবড় পান পাতা। এমন চিত্র চোখে মেলে হাইমচরের আলগী, মহজমপুর, কমলাপুর ও গন্ডামারা, ফরিদগঞ্জের লাড়ুয়া, বিরামপুর, গোবিন্দপুর ও হাওয়াকান্দিসহ অনেক গ্রামে। যেখানে চাষ হয় সুস্বাদু এই পান।
|আরো খবর
কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে পানের ভরা মৌসুমে ব্যস্ত কৃষকেরা। কেউ গাছ পরিচর্যায় কেউবা পরিপক্ক পান বাজারজাত করতে। গতবছর প্রতি বিড়ার দাম ছিলো দেড়শ’ থেকে দুশ’ টাকা পর্যন্ত। যা দেখে এবার আবাদ বাড়িয়েছে চাষিরা। বাজারেও চাহিদা রয়েছে। তবে দাম পড়তির কারণে উঠছে না তাদের উৎপাদন ব্যয়ও।
হাইমচরের মহজমপুরের পান চাষি আব্দুর রহিম। তিনি বলেন, গতবছর যে পান তিন লাখ টাকা বিক্রি করেছি, এবার সেই পান বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬০ হাজার টাকা। এতে তার উৎপাদন খরচও উঠছে না। কৃষক আব্দুর রহিমের মতো অন্য পান চাষিদের একই অবস্থা।
পানের উৎপাদন বাড়াতে চাষিদের সহায়তা দেয়া হচ্ছে, দাম নির্ধারণে কিছুই করার নেই তাদের। এমনটা বললেন চাঁদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. আবু তাহের।
তিনি বলেন, পান চাষ করছেন এমন কৃষকদের নানা ধরনের পরামর্শ দেয়া হয় কীভাবে পান উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। তাছাড়া সঠিকভাবে যেনো সার, বালাইনাশক প্রয়োগ করতে হয় তার জন্যেও প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। তবে এ বছর কৃষক লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি পান উৎপাদন করেছে। তাই সেই অনুপাতে দাম পাচ্ছেন না৷
কৃষি বিভাগের তথ্য, হাইমচর ও ফরিদগঞ্জে মোট ৫শ’ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়। গতবছরও এই দু উপজেলায় উৎপাদিত পানের বিক্রয় মূল্য ছিলো ৫০ কোটি টাকা। সূত্র : সময় সংবাদ।








