শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৪

আমার প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ

অনলাইন ডেস্ক
আমার প্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ

হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্যের এক সৃজনশীল নাম। হুমায়ূন আহমেদের শৈশব কেটেছে সিলেটে। জন্ম নানাবাড়ি শেখ বাড়ি, মোহনগঞ্জ। পৈত্রিক নিবাস কুতুবপুর, কেন্দুয়া, নেত্রকোনা। পিতার নাম শহীদ ফয়জুর রহমান আহমেদ। মাতার নাম আয়েশা ফয়েজ আহমেদ। পিতার বদলীর চাকরির সূচনা থেকে ঘুরে বেড়িয়েছেন উত্তর থেকে দক্ষিণ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করার পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রসায়ন এবং নর্থ ডাকোটা স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পলিমার রসায়ন শাস্ত্র পড়ালেখা করেন। চাকরিজীবনে অধ্যাপনা করেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনী তাকে আটক করে এবং নির্যাতনের পর হত্যার জন্য গুলি চালায়। তিনি অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। হুমায়ূন আহমেদ রচিত প্রথম উপন্যাস 'নন্দিত নরকে' ১৯৭২ সালে প্রকাশিত হয়। সত্তর দশকের সময় থেকে শুরু করে মৃত্যু অবধি তিনি ছিলেন বাংলা গল্প-উপন্যাসের অপ্রতিদ্বন্দ্বী কারিগর। এই কালপর্বে তার গল্প-উপন্যাসের জনপ্রিয়তা ছিল তুলনারহিত। তার অভূতপূর্ব সৃষ্টি হিমু এবং মিসির আলি ও শুভ্র চরিত্রগুলি বাংলাদেশের যুবকশ্রেণীকে গভীরভাবে উদ্বেলিত করেছে। বিজ্ঞান কল্পকাহিনীও তার সৃষ্টিকর্মের অন্তর্গত, তার রচিত প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী 'তোমাদের জন্য ভালোবাসা'। তার টেলিভিশন নাটকসমূহ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। সংখ্যায় বেশি না হলেও তার রচিত গানগুলোও জনপ্রিয়তা লাভ করে। তার রচিত অন্যতম উপন্যাসসমূহ হলো 'মধ্যাহ্ন', 'জোছনা ও জননীর গল্প', 'মাতাল হাওয়া', 'লীলাβতী', 'কবি', 'বাদশাহ নামদার' ইত্যাদি। বাংলা সাহিত্যের উপন্যাস শাখায় অসামান্য অবদানের জন্য তিনি ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমি প্রদত্ত বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন। এছাড়া বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে তার অবদানের জন্য ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। 'নন্দিত নরকে' আবির্ভাবের পর সাহিত্যের সকল শাখায় কলম চালিয়েছেন নিরলসভাবে। অর্জন করেছেন সকল বয়স ও শ্রেণীর পাঠকদের মধ্যে নজিরবিহীন জনপ্রিয়তা আর কিংবদন্তী মর্যাদা। ভূষিত হয়েছেন ২১ শে পদকসহ অসংখ্য পুরস্কারে। তার রচনা অনূদিত হচ্ছে দেশে ও বিদেশে। সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ছেলেবেলা ছিল বেশ মজার। তিনি নিজে যত অদ্ভুত সব কান্ড করেছেন, তার সঙ্গেও মজার সব ঘটনা। হুমায়ূন আহমেদের তখন ভীষণ মন খারাপ, চোখের সামনে আইসক্রিম বাক্স তবে সে তা টাকা না থাকার কারণে খেতে পারছেন না। তখন তিনি মন খারাপের ভান করলে আইসক্রিমওয়ালার মায়া হয়ে যায় এবং সে তাকে আইসক্রিম দিয়ে দেয়। হুমায়ূন আহমেদের এক বন্ধু নাম ছিল শঙ্কর। তার (শঙ্কর) মা তাকে শর্ত দেয়, যদি সে পরীক্ষায় পাস করে তখন তাকে সেই সময়কার দুর্লভ বস্তু ফুটবল কিনে দিবে। শঙ্কর হুমায়ূন আহমেদকে জানাল এবং বলল যদি সে (হুমায়ূন আহমেদ) তার (শঙ্কর) শিক্ষক হয়ে পড়িয়ে পাস করায়, তাহলে উভয় মিলে ফুটবল খেলবে। ৩য় শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষায় হুমায়ূন আহমেদ ৪র্থ শ্রেণীতে ১ম স্থান অর্জন করে। তবে তার বন্ধু উত্তীর্ণ হতে পারেনি। দুজনেরই ফুটবল না পাওয়ার আফসোস। হুমায়ূন আহমেদের ৫২তম জন্মদিনে বগুড়া থেকে এক লোক এসেছেন শুভেচ্ছা জানাতে, ৫২টি ফুল নিয়ে। হুমায়ূন আহমেদের সাথে সেই লোকের দেখা হল। তখন ওই লোক বলল, "স্যার, আমি আপনার জন্য জীবন দিতে রাজি। স্যার, আমাকে একটা সুযোগ দিন নাটকের জন্য।" তখন হুমায়ূন আহমেদ বলল, "ঠিক আছে, আপনার কথা রাখলাম। আর যখনই আমার দুই কিডনি অচল হয়ে যাবে তখন আপনাকে দিতে হবে।" এরকম আরো অসংখ্য মজার ঘটনা ঘটেছে হুমায়ূন আহমেদের জীবনে। নাটক আর চলচ্চিত্র অঙ্গনে তার অবদান যুক্ত করেছে এক নতুন অধ্যায়। তার 'সমুদ্র বিলাস', 'শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ' আর 'নুহাশপল্লী' জাতীয় ঐতিহ্য হওয়ার যোগ্য। 'সমুদ্র বিলাস' বাংলাদেশের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনকে পর্যটনকেন্দ্র করে তুলেছে। 'নুহাশপল্লী' প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আর পরিবেশ ভারসাম্য বজায় রাখছে। 'শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ' নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী আমতলা ইউনিয়নের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। যা আমতলা ইউনিয়নে শিক্ষা ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলছে। হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের সাহিত্যে বিগত ৩০ বছর ধরে সবচেয়ে প্রিয় লেখক। একথা অভিসংবাদিত সত্য, তিনি বাংলাদেশের কথাশিল্প, বিশেষ করে উপন্যাস ও ছোটগল্পের জনপ্রিয়তম রচয়িতা। টেলিভিশন নাটক ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি যেসব কাজ করেছেন তা তার এই পাঠকপ্রিয় কথাশিল্পী হয়ে উঠাকে সর্বাত্মক সহায়তা করেছে। সবকিছু মিলিয়ে তিনি সমকালীন বাংলা সাহিত্যের পাঠকপ্রিয় ধারার রাজপুত্র হয়ে উঠেছেন। বাংলাদেশের মানুষের চেনাজানা ভাষা থেকে তিনি তার কাহিনী গল্পের সাহিত্য ভাষার বিনির্মাণ করেছিলেন। ফলে তার সহজ সরল ভাষা এদেশের বিপুল পাঠকের কাছে সঞ্চারী ও বোধগম্য হয়ে উঠেছে। এ ক্ষেত্রে তিনি ইতিপূর্বে পশ্চিমবাংলার কথাশিল্পীদের প্রতিষ্ঠিত ভাষারীতি ও কাঠামোর যে আধিপত্য ছিল, তা ভেঙে দিতে পেরেছেন। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, সমরেশ মজুমদার, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখদের যে ভাষারীতি ছিল, তা এদেশের মানুষের আপন ভাষারীতি থেকে ছিল দূরবর্তী। হুমায়ূন আহমেদ বাংলাদেশের পাঠকদের জন্য একদম নিখাদ বাংলাদেশী ভাষায় তার সাহিত্য রচনা করে পাঠকদের হৃদয়ে সরাসরি প্রবেশ করেছেন। তারই সাফল্য অভূতপূর্ব এবং অনন্য, এতে কোনো সন্দেহ নেই। হুমায়ূন আহমেদ যেমন ছিলেন সহজ সরল ভাষার কথাশিল্পের সৃজনশীল রচয়িতা, তেমনি তিনি ছিলেন বহুপ্রজ লেখক। বিপুল তার রচনাসম্ভার। অর্থাৎ সহজতা, সরলতা ও বিপন্নতা তার বৈশিষ্ট্য। এছাড়া তিনি বেশ কিছু স্থায়ী চরিত্র নির্মাণ করেছেন যা সমকালীন বাংলাদেশের কথাসাহিত্যের মোটিভ হয়ে উঠেছে। যেমন- হিমু, শুভ্র, মিসির আলী। হিমু এবং শুভ্র উঠেছে জেনারেশন এক্স বা উদ্দেশ্যহীন, কিংকর্তব্যবিমূঢ়, বোহেমিয়ান তারুণ্যের প্রতিক; আর মিসির আলী এদেশের প্রেক্ষাপটে নির্মিত এক বিজ্ঞান গবেষকের প্রতিনিধি। হুমায়ূন আহমেদ বিজ্ঞান গবেষকের প্রতিনিধি। হুমায়ূন আহমেদ অনেক বৈজ্ঞানিক গল্প-কাহিনী লিখে কথাশিল্পের এই আঙ্গিকটিকে এদেশে জনপ্রিয় করে তুলেছেন। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় বাঙালি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তী অন্যতম শ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয় লেখক বলে গণ্য করা হয়। বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি সংলাপপ্রধান নতুন শৈলীর জনক। অন্য দিকে তিনি আধুনিক বাংলা বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর পথিকৃৎ। নাটক ও চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবেও তিনি সমাদৃত। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা তিন শতাধিক। তার বেশ কিছু গ্রন্থ স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত। মিসির আলি এবং হিমু তার সৃষ্ট অন্যতম দুটি জনপ্রিয় চরিত্র। তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো সর্বসাধারণ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। ১৯৯৪-এ তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক 'আগুনের পরশমণি' মুক্তি লাভ করে। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ আটটি পুরস্কার লাভ করে। তার নির্মিত অন্যান্য সমাদৃত চলচ্চিত্রগুলো হলো 'শ্রাবণ মেঘের দিন' (১৯৯৯), 'দুই দুয়ারী' (২০০০), 'শ্যামল ছায়া' (২০০৪), ও 'ঘেটু পুত্র কমলা' (২০১২)। 'শ্যামল ছায়া' ও 'ঘেটু পুত্র কমলা' চলচ্চিত্র দুটি বাংলাদেশ থেকে বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কারের জন্য দাখিল করা হয়। এছাড়া 'ঘেটু পুত্র কমলা' চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো সর্বসাধারণ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। ১৯৯৪-এ তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক 'আগুনের পরশমণি' মুক্তি লাভ করে। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ আটটি পুরস্কার লাভ করে। তার নির্মিত অন্যান্য সমাদৃত চলচ্চিত্রগুলো হলো 'শ্রাবণ মেঘের দিন' (১৯৯৯), 'দুই দুয়ারী' (২০০০), 'শ্যামল ছায়া' (২০০৪), ও 'ঘেটু পুত্র কমলা' (২০১২)। 'শ্যামল ছায়া' ও 'ঘেটু পুত্র কমলা' চলচ্চিত্র দুটি বাংলাদেশ থেকে বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কারের জন্য দাখিল করা হয়। এছাড়া 'ঘেটু পুত্র কমলা' চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো সর্বসাধারণ্যে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়। ১৯৯৪-এ তার নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্র বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধভিত্তিক 'আগুনের পরশমণি' মুক্তি লাভ করে। চলচ্চিত্রটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সহ আটটি পুরস্কার লাভ করে। তার নির্মিত অন্যান্য সমাদৃত চলচ্চিত্রগুলো হলো 'শ্রাবণ মেঘের দিন' (১৯৯৯), 'দুই দুয়ারী' (২০০০), 'শ্যামল ছায়া' (২০০৪), ও 'ঘেটু পুত্র কমলা' (২০১২)। 'শ্যামল ছায়া' ও 'ঘেটু পুত্র কমলা' চলচ্চিত্র দুটি বাংলাদেশ থেকে বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে অস্কারের জন্য দাখিল করা হয়। এছাড়া 'ঘেটু পুত্র কমলা' চলচ্চিত্র পরিচালনার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ পরিচালনা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশী কবি আল মাহমুদ তার সম্পর্কে বলেন, "ঠাকুর ও নজরুলের মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের একটি স্বর্ণযুগ শেষ হয়েছে এবং আরেকটি শুরু হয়েছে হুমায়ূন আহমেদের মধ্য দিয়ে।" বাংলাদেশী লেখক ইমদাদুল হক মিলন তাকে "বাংলা সাহিত্যের সর্বশক্তিমান সৃষ্টিকারী" বলে উল্লেখ করেন, যিনি তার সৃষ্ট চরিত্রের সকল কাজ ও চিন্তা-ভাবনা নিয়ন্ত্রণ করেন। বাঙালি লেখক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় তাকে "বাংলা সাহিত্যে একটি শতাব্দীর সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক" উল্লেখ করেন এবং তার মতে "আহমেদ শরৎচন্দ্র চট্টোপাধায়ের চেয়েও জনপ্রিয় ছিলেন।" বাঙালি লেখক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তাকে "উপমহাদেশের অন্যতম সেরা লেখক" বলে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশী লেখক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, "তিনি বাংলা সাহিত্যে একটি নতুন যুগের সূচনা করেছিলেন।" পাকিস্তানের প্রাচীনতম ও সর্বাধিক পঠিত ইংরেজি সংবাদপত্র 'ডন' তাকে "বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক কিংবদন্তি" বলে উল্লেখ করে। এক্সিম ব্যাংক-অন্যদিনের যৌথ উদ্যোগে "হুমায়ূন আহমেদ সাহিত্য পুরস্কার" প্রবর্তন করা হয়েছে। প্রতি বছর হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিনে ১২ নভেম্বর দুজন সাহিত্যিককে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। ২০১৭ সালে তার জন্মদিনে গুগল তাদের হোমপেজে হুমায়ূন আহমেদের গুগল ডুডল প্রদর্শন করে উদ্‌যাপন করে। গুগল ডুডলে দেখা যায় চায়ের টেবিলে বই হাতে বসে আছেন হুমায়ূন আহমেদ। তার তৈরি জনপ্রিয় চরিত্র হিমু হলুদ পাঞ্জাবি পরে খালি পায়ে হেঁটে যাচ্ছে। আর চারপাশে প্রকৃতির আবহ দিয়ে সাজানো হয়েছে ইংরেজি গুগল লেখাটি। হুমায়ূন আহমেদ সশরীরে আমাদের মাঝে আজও উপস্থিত নেই। তবে হুমায়ূন আহমেদ তার সৃষ্টি কর্মের মাধ্যমে আমাদের সকলের মাঝে উপস্থিত রয়েছেন। তার সৃষ্টিকর্মগুলো তাকে বাংলা সাহিত্যে অমর করে রেখেছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়