বুধবার, ০৮ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুরে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গুরুতর আহত ৩ : এলাকায় আতঙ্ক
  •   শিক্ষা খাতে নজিরবিহীন রদবদল: একযোগে চার বোর্ড চেয়ারম্যানকে ওএসডি
  •   মধ্যরাতের আতঙ্ক
  •   চীনা সেনাদের ভারতের অরুণাচলে অনুপ্রবেশ: বিতর্কিত অঞ্চল নিয়ে উত্তেজনা তুঙ্গে
  •   আপনার টাকা কোথায় গেল?

প্রকাশ : ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৩:৪০

আগুনের নদী

মিজানুর রহমান রানা
আগুনের নদী

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)

পাঁচ.

হঠাৎ করে অধরার এমন কান্না দেখে তাকে জড়িয়ে ধরে প্রশ্ন করলো ইরফান।

‘কী হয়েছে, কার সাথে ফোনে কথা বলে এমনভাবে কাঁদছো? আর গ্যাং লিডার বলে কাউকে তুমি চেনো নাকি? তার কথা বলছিলে যে?’'

অধরা কাঁদছে। তারপর ইরফানকে তার বান্ধবী অনন্যার বলা প্রতিটা কথা খুলে বললো সে।

ইরফান সব শুনে প্রশ্ন করলো, ‘আমিনুল তাহলে গ্যাং লিডারের ভয় দেখিয়ে অনন্যার সর্বনাশ করতো?’

‘হ্যাঁ।’

‘তোমার বান্ধবীকে বলে দাও, ওই গ্যাং লিডার তার বাল্যবন্ধু ও ব্যবসায়িক পার্টনার ইমতিয়াজকে ক’দিন আগে এমনভাবে খুন করেছে যে, তার শরীরটা কিমা বানিয়ে বাথরুমে ফ্ল্যাশ করে দিয়েছে। যা এখন খুঁজছে ভারতীয় পুলিশ। তবে গ্যাং লিডারকে ধরার জন্যে পুলিশ মরিয়া হয়ে আছে। শীঘ্রই সেও ধরা পড়বে।’

‘তাই নাকি? তুমি এসব জানতে কীভাবে?’

‘টিভি-পত্রিকায় তো প্রতিদিনই এ ঘটনার ফলোআপ দেখি। তুমি টিভি দেখো না?’

‘না। সময় হয় না। কাজে থাকি।’

‘যাক, সমস্যা নেই। তোমার বান্ধবীকে আমি সহযোগিতা করবো। তবে তার খুনের জন্যে নয়, একজন বিপদগ্রস্ত নারী হিসেবে তাকে মানসিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্যে। তবে সে যে কাজ করেছে, এটার তো শাস্তি অবশ্যই হবে একদিন।’

‘কিন্তু এটাও তো বুঝতে হবে, মেয়েটা কতটুকু শক্ড হলে নিজেই আত্মহত্যা করতে যে ছুরি এনেছিলো কানাডা থেকে, সেই চাকু দিয়েই আমিনুলকে হত্যা করেছে।’

‘যা-ই হোক। তোমার ওই ভ্রমণ কাহিনীটা কিন্তু আমার কাছে চমৎকার লেগেছিলো। সেটা একটু বলো। মনটাকে হালকা করি।’

‘আচ্ছা। ঠিক আছে বলছি। এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে আইসল্যান্ডের প্রায় সব জায়গায় আমার একটা জিনিস বিশেষভাবে চোখে পড়লো। আর সেটা হচ্ছে দেশটির স্থানীয় বাসিন্দারা যখনই কোনো বিদেশি অতিথির সম্মুখীন হয়, সবাই চেষ্টা করেন অন্তত আইসল্যান্ডিক ভাষার একটা শব্দ হলেও তাকে শেখানোর জন্যে। আইসল্যান্ডের সরকারও প্রতি বছর তাদের ভাষা ও সংস্কৃতিকে বাইরের দেশের মানুষের কাছে তুলে ধরার জন্যে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে। তাই ভিনদেশিদের আইসল্যান্ডিক ভাষা শেখানোর জন্যে আইসল্যান্ডের সরকারের কয়েক ধরনের ল্যাঙ্গুয়েজ প্রোগ্রাম রয়েছে। এসব প্রোগ্রামের আওতায় প্রতিবছর বিশেষত গ্রীষ্মের সময় বাইরের দেশগুলো থেকে অনেকে আইসল্যান্ডে পাড়ি জমান সেখানকার ভাষা শিখতে।

‘তাই নাকি?’ অনেকটা আগ্রহের সুরে জানতে চাইলে ইরফান।

‘হ্যাঁ। আমি রেইকইয়াভিকে যে হোস্টেলে উঠেছিলাম, সে হোস্টেলে বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল, যারা শুধু আইসল্যান্ডের ভাষা শেখার জন্যে সে দেশে এসেছিলেন। তবে আমার কাছে যে জিনিসটি বেশি আশ্চর্য লেগেছে, সেটি হলো আমাদের দেশের মানুষ যেসব দেশকে পছন্দের তালিকায় সবার ওপরে রাখেন, সেই আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, কানাডা, ফ্রান্সের মানুষেরা আইসল্যান্ডে বেশি আসেন। এদের মধ্যে কেউ আসেন পর্যটক হয়ে, কেউ আবার আসেন ভাষা শিখতে। এদের অনেকে আইসল্যান্ডের সৌন্দর্যে এবং সেখানকার সমাজব্যবস্থার চিত্র দেখে এতো বিমোহিত হয়ে পড়েন যে, তারা আইসল্যান্ড ছেড়ে অন্য কোনো দেশে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।’

ইরফান আরও জানতে উৎসাহী হলো। তারপর অধরাকে প্রশ্ন করলো, ‘কেনো?’

‘এর কিছু কারণও রয়েছে। আইসল্যান্ড প্রথমত বিশ্বের সবচেয়ে সুখী এবং কম অপরাধপ্রবণ দেশ হিসেবে পরিচিত। এমনকি সামাজিক নিরাপত্তা সূচকেও দেশটি সবার ওপরে। বলা হয়ে থাকে আইসল্যান্ড এতোটাই নিরাপদ যে, সে দেশের পুলিশও কোনো ধরনের অস্ত্র বহনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে না। আইসল্যান্ডের জনসাধারণও অনেক বন্ধুবৎসল। আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ যে জিনিস, সেটি হচ্ছে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে মানুষের যাবতীয় মৌলিক চাহিদা নিশ্চিতের ক্ষেত্রে এ দেশটি সবার কাছে রোল মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়।

অধরার কথাগুলো খুবই মনোযোগ দিয়ে শুনছিলো ইরফান। কিন্তু তার মনের মাঝে চলছে আরেক চিন্তা ভাবনা। সে যে মিশন নিয়ে এ দেশে এসেছে, তার কিছু সূত্র পাওয়া যাচ্ছে। তার মনে হচ্ছে আল্লাহতায়ালা তার সহযোগিতার জন্যে এই মেয়েটির সন্ধান দিয়েছেন। আর এই মেয়েটি এ দেশের প্রতিটি রাস্তাঘাট, আইন-কানুন সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা রাখে। বিশেষ করে এখানে সে কেঁচো খুঁড়তে সাপের দেখা পেয়েছে। তবে মেয়েটির গল্পগুলো শুনতে হবে। তাকে বিশ্বাস লাগাতে হবে যে, ইরফান আসলেই একজন সাধারণ টুরিস্ট। সে যদি ইরফানের আসল পরিচয় জানতে পারে, তাহলে অকপটে হয়তো সব কথা বলে দিতে নাও পারে। সেজন্যেই সে তার পরিচয় গোপন করছে। আর সাধারণ একজন প্রেমিকের মতোই মেয়েটির সাথে কথাবার্তা চালিয়ে যাচ্ছে।

অধরা আবার বলতে শুরু করলো, ‘এক আইসল্যান্ডিক ভদ্রলোকের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, তাদের দেশের সরকারের পলিসি হচ্ছে আর যা-ই হোক না কেনো, অন্তত অর্থাভাবে আইসল্যান্ডের কোনো মানুষ যেন নিজের কাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন বাস্তবায়ন কিংবা প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত না হয়। এ জন্যে দেশটির সরকার পিছিয়ে পড়া অধিবাসীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করার জন্যে রাষ্ট্রীয়ভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। যেমন ধরুন, গাড়ি বা বাড়ি কেনার জন্যে বিভিন্ন ধরনের অর্থ সাহায্য দিয়ে থাকে সরকার। দেশটিতে মাসিক বেকার ভাতা ৩ হাজার ইউরোর ওপর। এমনকি মজুরির হিসেবেও আইসল্যান্ড বিশ্বের প্রথম পাঁচটি দেশের মধ্যে একটি।’

ইরফান অধরার কথা এ পর্যন্ত শুনেই মনে হলো এদেশটি আসলেই সার্থক। এই দেশের রাজনীতিবিদ, পরিকল্পনাবিদ, অর্থনীতিবিদ আসলেই সুচিন্তার অধিকারী। এরা সত্যিই জনগণের জন্যে নিজেদের সুখ উৎসর্গ করে। আর আমাদের দেশের কিছু কিছু রাজনীতিবিদ স্বর্ণ চোরাচালান, ইয়াবার ব্যবসা, রাজনৈতিক কোন্দলের ফায়দা হাসিলে ব্যস্ত থাকে। আবার তাদের পরিণতিও এক সময় এমন হয় যে, তাদের লাশটিও খুঁজে পাওয়া যায় না। প্রতিপক্ষের হাতে নির্মম খুন হয়ে যায়। আর এরই একটি কেসের পলাতক গ্যাং লিডারকে খুঁজে বের করার মিশনে এসেছে যে। যাকে খুঁজে যে কোনো মূল্যে এই দেশ থেকে নিয়ে যেতে হবে।

আবারও কথা বলতে শুরু করলো অধরা, ‘আমি নিজে অন্তত তিনজনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সুযোগ পেয়েছি, যাদের একজনের নাম ক্রিস প্যারিস, যিনি আমেরিকা থেকে আইসল্যান্ডে এসেছিলেন পর্যটক হয়ে। অন্যজন অ্যাগনেস চারপেন্তিয়ার, যিনি মূলত ফ্রান্সের অধিবাসী এবং অন্যজন নিক, তিনি স্কটিশ। এঁদের সবাই বর্তমানে আইসল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন, কিন্তু আইসল্যান্ডে আসার পূর্বে তাদের এ ধরনের পরিকল্পনা ছিলো না।’

‘কেনো?’ উৎসুক হয়ে জানতে চাইলো ইরফান।

‘আইসল্যান্ডে বাইরের দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের মধ্যে পোলিশরা সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি এবং দেশটিতে বসবাসরত ৩ লাখ মানুষের মধ্যে ৩০ হাজার মানুষই পোলিশ বংশোদ্ভূত। এ ছাড়া ইংল্যান্ড ও আমেরিকা এমনকি কানাডা থেকেও বর্তমানে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্যে আইসল্যান্ডে পাড়ি জমাচ্ছেন লোকজন। তুর্কি বংশোদ্ভূত অনেক অভিবাসী দেশটির বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। আর দক্ষিণ এশীয়দের মধ্যে পাকিস্তানিরা আইসল্যান্ডে সংখ্যায় সবচেয়ে বেশি। রেইকইয়াভিকে আমি যে হোস্টেলে উঠেছিলাম, তার থেকে সামান্য দূরে ইসলামিক কালচারাল সেন্টারেরও দেখা পেয়েছিলাম।’

‘তাই নাকি?’ অবাক হলো ইরফান।

অধরা এবার মুখ চেপে হাসলো। তার হাসিতে লাল আভা ছড়িয়ে পড়ছে। ইরফানের মনে হলো, এই মেয়েটিকে কতদিন ধরেই সে চেনে। কিন্তু তার যে মিশন, এই মিশনে ভালোবাসা একেবারেই বেমানান। প্রেম ভালোবাসা যায় না তার দায়িত্বের ক্ষেত্রে। আসলেই দায়িত্ব বড়ো কঠিন বিষয়। এটা শেষ না করা পর্যন্ত শ্বাস ফেলারও সুযোগ নেই।

আবার বলতে শুরু করলো অধরা, ‘কফ্লাভিকে অবস্থিত বিমানবন্দরটি আইসল্যান্ডের একমাত্র বিমানবন্দর। ব্যবস্থাপনার দিক থেকে এটি বিশ্বের সেরা বিমানবন্দরগুলোর সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মতো। এয়ারপোর্ট থেকে আইসল্যান্ডের রাজধানী রেইকইয়াভিকের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটারের মতো। বিভিন্ন ট্যুর অপারেটিং কোম্পানি এয়ারপোর্ট থেকে রেইকইয়াভিকে যাতায়াতের জন্যে পরিবহন পরিষেবার ব্যবস্থা করে থাকে। তবে তুলনামূলক কম খরচে রেইকইয়াভিক পৌঁছাতে হলে ৫৫ নম্বর বাসের বিকল্প নেই। প্রতি ঘণ্টায় একটি করে বাস কেফ্লাভিকের এয়ারপোর্ট থেকে রাজধানী রেইকইয়াভিকের উদ্দেশে যাতায়াত করে।’

‘ওহ।’ নিশ্বাস ছাড়লো ইরফান। তারপর একটা সিগারেট ধরালো। সিগারেটে টান দিয়ে ধোঁয়া ছেড়ে অধরাকে বললো, ‘আসলে এই দেশে না এলে এতো সুন্দর পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পারতাম না। তোমার কাছ থেকে অনেক অভিজ্ঞতা হলো।’

অধরা ইরফানের কথায় নিজের কথা বন্ধ করে কিছুক্ষণ তার দিকে চেয়ে রইলো। অধরা ভাবছে, যুবকের চেহারা সহজ সরল। তার মনের ভেতরে অধরার জন্যে খানিকটা ভালোবাসার আবহ তৈরি হয়ে গেছে। এই ভালোবাসা হয়তো সে তার হৃদয়ে বয়ে নিয়ে এসেছে সুদীর্ঘকাল থেকে। কিন্তু কাউকে ভালোবাসার মতো পায়নি। অধরার নিটোল কাহিনীতে সে মজে গেছে।

আবারও কথা বলতে শুরু করলো অধরা, ‘অনলাইনে কিংবা এয়ারপোর্টের ভেতরের কোনো গ্রোসারির দোকান থেকে অথবা সরাসরি বাস ড্রাইভারের কাছ থেকেও টিকিট কেনা যায় বাসের। ৫৫ নম্বর বাসে চড়ে কেফ্লাভিক ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট থেকে রেইকইয়াভিকের সিটি সেন্টারে পৌঁছাতে ১ হাজার ৮৪০ আইসল্যান্ডিক ক্রোনার প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশের মুদ্রায় এক টাকা প্রায় দেড় আইসল্যান্ডিক ক্রোনারের সমতুল্য।’

‘ওহ, দারুণ তথ্য দিলে অধরা।’ ইরফান যোগ করলো।

‘হ্যাঁ, তাই। এয়ারপোর্ট থেকে বাইরে নেমে আচমকা হতবিহ্বল হয়ে পড়ি। বুদাপেস্টে যখন তাপমাত্রা শূন্যের নিচে এবং ইতোমধ্যে যখন সেন্ট্রাল ইউরোপের অনেক দেশে তুষারপাত শুরু হয়ে গেছে, সেখানে আইসল্যান্ডে তখনো কোথাও তুষারপাতের খবর আসেনি। মোবাইলের অ্যাপ থেকে জানতে পারি, আশপাশের পরিবেশের তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রীতিমতো ভড়কে যাওয়ার মতো অবস্থা। তবে বাতাসের তীব্রতা ছিলো রীতিমতো হাড়কাঁপানো। এতো শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ জীবনে আর কখনো দেখিনি। আমার মতো ৬৫ কেজি ওজনের একজন মানুষকে উপড়ে ফেলার মতো শক্তিশালী এ বাতাস। দুপুর ১২টার সময়ও চারদিকে অন্ধকার। যদিও সে অন্ধকারের বুক চিরে একটু একটু করে সূর্যের আলো প্রস্ফুটিত হচ্ছে। তবে দীর্ঘ সময়ের জন্যে নয়।’

অবাক হয়ে প্রশ্ন করলো ইরফান, কেনো।’

‘স্থানীয় এক অধিবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি আমরা আইসল্যান্ডকে বাইরের পৃথিবী থেকে যতটা শীতল দেশ হয়েছে বিবেচনা করা হয়, বাস্তবে আইসল্যান্ডের আবহাওয়া ততোটা শীতল নয়। তবে গতিশীল বায়ুপ্রবাহের কারণে কোনো কোনো সময় বাইরের তাপমাত্রা শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও আইসল্যান্ডে অনুভূতিতে সেটা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মাইনাস ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস মনে হতে পারে। আইসল্যান্ড নামটি প্রকৃতপক্ষে একটি মিথ।

অধরার কথা শেষ না হলেই হঠাৎ করেই গুলিটা এসে ইরফানের হাতে লাগে। কিছু বুঝে উঠার আগেই অধরা দেখলো ইরফানের হাত থেকে রক্ত বের হয়ে তার পুরো শরীর ভিজে গেছে। হতবিহ্বল হয়ে আঁতকে উঠলো অধরা। তারপর পেছন দিকে তাকিয়ে দেখলো, একজন লোক স্নাইপার হাতে পালিয়ে যাচ্ছে। (চলবে)

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়