সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০

নিশ্চল আহব

বিমল কান্তি দাশ
নিশ্চল আহব

এই ধরাধামে মোট ১৯৫টি দেশ রয়েছে। তন্মধ্যে ভেটিকান সিটি এবং ফিলিস্তিন এই দুটি দেশ জাতিসংঘের স্বীকৃত নয়। এই পৃথিবী সাতটি মহাদেশে বিভক্ত ছিলো এবং আছে। তবে খ্রিস্ট পূর্বাব্দ ১২০০ সাল থেকেই খ্রিস্ট পূর্বাব্দ ৩০০-২০০ অব্দ পর্যন্ত সকল মহাদেশেই মানুষের বসতি বিক্ষিপ্তভাবে বিরাজ করতো। ক্রমশ সর্বত্রই মানব বসতি গাণিতিক হারে বর্ধিত হতে থাকে। তবে ইউরোপ ছিলো জ্ঞান বিজ্ঞানের সূতিকাগার। প্রাচীন ইউরোপীয় ভাস্কর্য আজও যথাস্থানে সমাদৃত। সেই সময়ের ক্ষমতাবানরা জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চাকে আদৌ পছন্দ করতেন না বলেই এর বিকাশকেও আদৌ পছন্দ করতেন না। তাই সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক সক্রেটিসকে মানব নৈতিকতার উৎকৃষ্টতম বাণী 'Know thyself' কে অনৈতিকতার বাতাবরণে নিক্ষিপ্ত করে 'হেমলক' নামক বিষপানে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছিল। তবে হাসিমুখে মৃত্যুর পূর্বক্ষণে একটি অমৃতবাণী উপহার দিয়ে গেলেন যে, “I to die you to live which is better only God knows”

জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা পরোক্ষের চাইতে প্রত্যক্ষই শ্রেয়তর। যে ইউরোপে জন্মেছিলেন টলেমী-ইউক্লিড-আর্কিমিডিস-মাদামকুরী-নিউটন-আইন স্টাইন প্রমুখ স্বতঃসিদ্ধ মহামনীষীগণ, সেখানেই রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাবানদের মনান্তর-মতান্তর এবং ক্ষমতার শ্রেষ্ঠ তরের মহারণ। যাহা প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ নামে পরিচিতি ছিল। এ যুদ্ধ ২৮ জুলাই ১৯১৪-১১ নভেম্বর ১৯১৮ পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো। অস্ট্রিয়া হাঙ্গেরীর বিরুদ্ধে প্রথম যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল। এই ইউরোপের বুকেই জার্মানি পোল্যান্ড আক্রমণ করে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা করেছিল। যা ১৯৩৯-১৯৪৫ পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকান নিউক্লীয় বোমার সেই নারকীয় বীভৎসতার কথা মনে পড়লে আজও হিরোশিমা ও নাগাসাকির আকাশ-বাতাস সিক্ত হয়ে যায়। সেই দুটি বিশ্বযুদ্ধে বিধ্বস্ত ইউরোপ এবং নিউক্লীয় বোমা বিধ্বস্ত জাপানের নাগরিকগণ প্রকৃত নাগরিকত্ববোধ

অর্জন করে দেশকে বিচার হীনতামুক্ত-দ্বি-চারিতামুক্ত কোনো সরকারের সকল ছায়া সরকার মুক্ত-ত্রুটিহীন গণতান্ত্রিকতায় করে ফেলেছে। তাই তো এদেশের যুবক-যুবতীরা ইউরোপমুখী হতে পারলেই যেন বেহেস্তী মেওয়া পেয়ে যায়। আমরা বাঙালিরা এতোই আবেগপ্রবণ- প্রতিশোধ প্রবণ-অসহিষ্ণুতায় ভরপুর যে, ষড়রিপুর সবকিছুই আমাদের মধ্যে অতিমাত্রায় জাগরিত। ফলে আমরা ধার্মিক না হয়েই ধার্মিক সেজে যাই। যা অঘটন ঘটন পটীয়সী। ধাপে ধাপে সব ধরনের সংস্কারই সম্ভব। তবে প্রথমে প্রতিশোধ প্রবণতা থেকে মুক্ত থাকা এবং বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি মুক্ত থাকাটাই সর্বাধিক শ্রেয়। আর কাল দ্বারাই সব কিছু নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। এখানে আবেগ বা অসহিষ্ণুতার স্থান নেই। মানুষের মনে নীতি-নৈতিকতা এবং মনুষ্যত্ব বোধ জাগরিত হলেই রাজনীতিতেও সুস্থ চিন্তার উদ্রেক হবে। ফলে একই স্থানে হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান, আস্তিক-নাস্তিক এবং প্রগতিশীল-রক্ষণশীল, মুক্তচিন্তক-সংকীর্ণ চিন্তক প্রত্যেকেই স্বকীয়তায় বিচরণ করতে পারবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়