মঙ্গলবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫  |   ৩২ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৮:১৯

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ বছর : সংকট সামলে সম্ভাবনার পথে

মাছুম বিল্লাহ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩২ বছর : সংকট সামলে সম্ভাবনার পথে

উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের দেশে এখন একটি দৃশ্যমান বাস্তবতা। আমাদের স্মরণে আছে যে, ১৯৯২-এর পূর্বে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১১টি। ১৯৯২-এ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন পাস করে, ঐ বছরই নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দেয় তৎকালীন সরকার এবং ১৯৯৩ এর ১০ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়টি উদ্বোধন করেন। সেই হিসেবে আমাদের দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পথচলার ৩২ বছর পূর্ণ হলো। দেশে দ্রুত বিকাশমান খাতগুলোর মধ্যে এটি একটি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বেশকিছু মানসম্পন্ন বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেগুলোতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। বর্তমান সময়ের চাহিদার সাথে মিল রেখে এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে আধুনিক সব ডিসিপ্লিনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তোলা হচ্ছে।

আমাদের দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা সেই অর্থে বেশি দিনের নয়। তারপরেও বেশ কয়েকটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় যেমন ব্র্যাক, নর্থ সাউথ, আইইউবি ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানের প্রায় কাছাকাছি স্থানে পৌঁছে গেছে। বর্তমান প্রচেষ্টা ধরে রাখলে আমাদের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও একদিন হার্ভার্ড কিংবা অক্সফোর্ডের মতো পর্যায়ে চলে যাবে। আর এই এগিয়ে যাওয়ার পেছনে যত কারণ কাজ করছে তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হয়েছে আমাদের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মতো ছাত্র-রাজনীতি না থাকা, আর শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। তথাকথিত ছাত্র রাজনীতির নামে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যা হচ্ছে তাতে শিক্ষার মান ক্রমশই নিম্নগামী হচ্ছে, কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যা যা হচ্ছে সেগুলোর কোনটিই ছাত্র রাজনীতির কোন ক্রাইটেরিয়াতেই পড়ে না। উচ্চ শিক্ষিতদের অবশ্যই রাজনৈতিক সচেতনতা থাকতে হবে।

তবে, সেটি কোনভাবেই আমরা যে অর্থে ছাত্ররাজনীতি প্রত্যক্ষ করছি সেটি নয়। আর শিক্ষকরা যে দলাদলি করছেন, লাল, হলুদ আর গোলাপী প্যানেলের মাধ্যমে তা শুধু ব্যক্তিগতভাবে পদ বাগানো আর নিজ দলের প্রভুত্ব রক্ষা। এগুলো কোনটিই প্রকৃত শিক্ষা, শিক্ষার মান রক্ষা বা বাড়ানোর জন্য এতটুকু অবদান রাখছে না। এসব থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অনেকটাই কলুষমুক্ত।

তবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে রয়েছে অন্য ধরনের সমস্যাবলী। মোটামুটি বড় তিন ধরনের সংকট এখানে দৃশ্যমান। ট্রাস্টি বোর্ডের দ্বন্দ্ব। শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ, সিলেবাস নির্ধারণ থেকে শুরু করে প্রায় সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তই ট্রাস্টি বোর্ড গ্রহণ করে। কিন্তু ট্রাস্টি বোর্ডের দ্বন্দ্বের কারণে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার মত ঘটনা প্রায়ই পরিলক্ষিত হচ্ছে। জ্ঞান বিতরণের উপযুক্ত পরিবেশ নেই হাতেগোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া। নিজস্ব ল্যাব, পাঠাগার ও ক্যাম্পাস নেই।

শ্রমবাজার বিবেচনায় উপযুক্ত ও সমেয়াপযোগী কারিকুলাম নেই, অর্থাৎ নিড বেজড শিক্ষা অধিকাংশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় দিতে পারছেনা। তার পরের সংকটটি হলো অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার চেষ্টা করছে। বর্তমান বাস্তবতায় এখন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মধ্যবিত্ত এবং নিম্নমধ্যবিত্তের সন্তানরও পড়াশোনা করছেন। অনেক অভিভাবক চাষের জমি বিক্রি করে সন্তানদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন। সরকারির চেয়ে বেসরকারিতে পড়ার খরচ চারগুণ বেশি। নিম্নমধ্যবিত্তের সেই খরচ জোগানো খুবই কষ্টকর। এই খরচ পুরোটাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তোলা হয় বিধায় নিম্নমধ্যবিত্তের সন্তানদের দিশেহারা হয়ে পড়তে হয়। তারমধ্যে সরকার আবার ভ্যাট চালু করেছে। এ যেন মরার ওপর খাড়ার ঘাঁ। সরকার পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তুকি আর লোকসান দিয়ে যাচ্ছে আর বেসরকারি থেকে লাভ নেয়ার চেষ্টা করছে। এখানে একটি ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে প্রায় দুই হাজারের মতো বিদেশী শিক্ষার্থী পড়াশুনা করছেন। আমেরিকা কানাডা জাপানসহ বিশ্বের ২৬টি দেশের শিক্ষার্থীরা দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পড়াশোনা করছেন। তাদের মাধ্যমে একদিকে যেমন দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আসছে এবং অর্থনীতিতে কম হলেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে অন্যদিকে তারা বাংলাদেশের সুনাম, কৃষ্টি, কালচার সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এই জায়গাটিতে প্রচুর কাজ করা প্রয়োজন। বিদেশি শিক্ষার্থীরা যাতে বেশি বেশি করে আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে পারেন সেজন্য তাদের স্টুডেন্ট ভিসা, নিরাপত্তাসহ সার্বিক বিষয়ে সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন।

এগুলোর মধ্যে অনেকটাই নির্ভর করে রাষ্ট্রের ওপর। বিশ্ববিদ্যালয় ইচ্ছে করলেও সবক্ষেত্রে বিদেশি শিক্ষার্থীদের নিয়ে আসার জন্য কাজ করতে পারবেনা। আমাদের ইউজিসি ও মন্ত্রণালয় যদি এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে বাকীটা স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় করতে পারলে উচ্চ শিক্ষায় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন অনেক সহজ হবে। বিদেশি শিক্ষার্থীরা নিশ্চয়ই ধাওয়া আর পাল্টা ধাওয়া দেখা ও খাওয়ার জন্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি হতে যাবেন না।

স্ট পরিচালিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর দিয়ে ভর্তি হয়েছেন তারা কোন ধরনের ছাত্ররাজনীতি করবেন না এবং তাদের অভিভাবকদের কাছ থেকেও সেভাবে প্রতিস্বাক্ষর নেওয়া হয়। তবে, তাদের সামাজিক-সাংস্কৃতিক এবং শিক্ষা সহায়ক ও রাজনীতি ব্যতিরেকে শিক্ষা বহির্ভূত কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়ার অবারিত সুযোগ রয়েছে। বিভিন্ন কমিটি উপকমিটি কর্তৃপক্ষের পূর্বানুমতি নিয়ে তৈরি করে, ফলে তারা নেতৃত্ব বিকাশের সুযোগ পাচ্ছে। প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই শ্রেণি প্রতিনিধি বা মনিটর রয়েছে, যারা প্রতি সেমিস্টারের ফলাফলের ভিত্তিতে উপাচার্য কর্তৃক মনোনীত হন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করেন।

এগুলো ছাড়াও শিক্ষার্থীদের নানামুখী প্রতিভার বিকাশ ও নেতৃত্বের গুণাবলী অর্জনের জন্য সহশিক্ষা ও অতিরিক্ত শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন বিভাগ ও বিষয়ভিত্তিক স্টুডেন্ট ক্লাব নিয়মিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব ক্লাবের ব্যবস্থাপনায় নিয়মতান্ত্রিকভাবে শিক্ষার্থীদের দিয়ে নিয়মিতভাবে আয়োজিত নানা অনুষ্ঠান, সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক চর্চা, মন ও শরীর গঠনের মতো আবশ্যিক কাজগুলো করা হয়ে থাকে। অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথেও যৌথভাবে প্রোগ্রাম হয়, প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। অনেক প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু বিদেশি শিক্ষকও আছেন, কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি এবং রেজিস্ট্রাররা বিদেশিÑআর তাই আন্তর্জাতিক মানের লেখাপড়ার রেশ এগুলোতে বিদ্যমান।

এই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়গুলো দেশের অনেক মুদ্রা বাঁচিয়ে দিচ্ছে কারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কলুষিত রাজনীতি, দীর্ঘ একাডেমিক, আর আধুনিক বিশ্বের সাথে সেভাবে তাল না মিলিয়ে চলার কারণে, অনেক শিক্ষার্থী নিজ খরচে বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করতে যেত, সেটিতে রাশ টানা হয়েছে। আন্তর্জাতিক ভাষা রপ্ত করা ও আইসিটি শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বাধ্যতামূলক কিছু কোর্স শিক্ষার্থীদের সম্পন্ন করতে হয়, এটি একটি ভাল দিক কারণ আমাদের শিক্ষার্থীরা ইংরেজি ভাষায় বেশ দুর্বলতা নিয়ে উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সেটির উন্নয়ন ঘটানোর জন্য বিশেষ করে সবার জন্য তেমন কোন প্রোগ্রাম নেই যেটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাধ্যতমূলকভাবে করিয়ে থাকে।

বিগত সরকার জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে উচ্চশিক্ষার মানের ব্যাপক অবনতি ঘটিয়েছে। তারা শিক্ষার মানের প্রতি গুরুত্ব না দিয়ে একের পর এক পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। আমরা জানি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ কেবল জ্ঞান বিতরণ নয়, নতুন নতুন জ্ঞান সৃষ্টিও। আর সেটি করতে হয় নিরন্তর গবেষণার মাধ্যমে। এ কারণেই পৃথিবীর খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার কাজকে অগ্রাধিকার দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় তো কেবল শ্রেণিকক্ষের পাঠদান নয়। গবেষণার মাধ্যমে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ছাড়া একটি প্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয় হতে পারেনা, অথচ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ বিষয়ে চরম উদাসীন। বলা যায় এ জাতীয় কোন চিন্তা-ভাবনাও নব্য প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানগুলোর নেই। আমরা যখনই বলি যে, শিক্ষার মান নিম্নগামী তখন অনেকে ভাবেন যে, পড়াশুনা ভাল হচ্ছে না।

তাই অনেক সময় শোনা যায় যে, কিছু ভাল শিক্ষক এনে ক্লাস নিলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বেড়ে যাবে, বিষয়টি কিন্তু শুধু তা নয়। উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর র‌্যাঙ্কিং একটি আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী টাইমস হায়ার এডুকেশন এর গত বছরের র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান ছিল ৬০১ থেকে ৮০০-এর মধ্যে। এবার ৮০১ থেকে এক হাজার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আছে। এগুলো হলোÑব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। তার মানে হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্বল্প সময়ের মধ্যেই উচ্চ শিক্ষাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

ইউজিসির তথ্য অনুযায়ী দেশে বর্তমানে মোট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৭০, এর মধ্যে পাবলিক ৫৫ আর বেসরকারি ১১৬টি। এগুলোর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিগত সরকারের পনের বছরে। দেড় দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ৮৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। এর মধ্যে ২৬টি পাবলিক আর ৬১টি বেসরকারি পর্যায়ে। পূর্ববর্তী সরকারের শেষ সময়ে নতুন করে আরও দশটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। এত বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে দেশে বেড়েছে উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা যা ছয় বছরের ব্যবধানে বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সঠিক কোন পরিসংখ্যান না থাকলেও আমরা দেখেছি যে, মধ্যম সারির প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করেও শিক্ষার্থীরা বেকার থাকছে না। তাদের পড়াশুনা আধুনিকতার সাথে অনেকটাই সামঞ্জস্যপূর্ণ।

রাষ্ট্রপরিচালিত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে তথাকথিত ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষক রাজনীতিসহ বহু সীমাবদ্ধতা বিরাজমান। কাজেই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে কার্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। আর সেজন্য প্রয়োজন পৃথক ইউজিসি, ছোট ছোট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একত্রিত করে বড় আকারে করা এবং যত্রতত্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের অনুমতি না দেয়া এবং সর্বোপরি শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের সাথে একটি চেইন বজায় রাখা। এখানে একটি ঘাটতি রয়ে গেছে। কারণ হঠাৎ করে উচ্চশিক্ষাকে অত্যন্ত মানসম্পন্ন করা যায়না, যদিনা পূর্ববর্তী স্তরগুলোর সাথে সংযোগ না ঘটে। এদিকে পাবলিক ও প্রাইভেট দু’টো জায়গাতেই ঘাটতি রয়ে গেছে। শিক্ষার বৃহত্তর স্বার্থে এখানে আমাদের কাজ করতে হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়