প্রকাশ : ০৯ আগস্ট ২০২৫, ২১:৩৪
বাবুরহাটে এক শিক্ষকের জমি আত্মসাতের চেষ্টা ॥ শিক্ষক লাঞ্ছিত

চাঁদপুর জেলা পরিষদের পূর্ব পাশে ক্রয়কৃত সম্পত্তি জোরপূর্বক আত্মসাতের চেষ্টা এবং ভোগদখলকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সম্পত্তি ভোগদখলকারী স্বনামধন্য শিক্ষক শেখ নজরুল ইসলামকে স্থানীয় প্রতিপক্ষ মনির শেখ ও লিটন শেখ গং লাঞ্ছিত করেন।
|আরো খবর
চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন ৪৮নং শিলন্দিয়া মৌজার ১৮২০নং খারিজ খতিয়ানভুক্ত ১৬নং দাগের মোট ৩৫ শতাংশ তফসিলভুক্ত জমির সামনের প্রকৃত মালিক ও ভোগদখলকারী বাবুরহাট উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শেখ নজরুল ইসলাম ও ভাতিজা বউ ইভা করিম। প্রতিপক্ষ মনির শেখ, বিল্লাল শেখ, লিটন শেখ ও সুমন শেখ দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অজুহাতে জমিটির সামনের অংশ দখল ও ভাড়াটিয়াদের হয়রানির চেষ্টা করছে। ভাড়াটিয়ারা বিষয়টি শিক্ষক নজরুলকে জানালে তিনি চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ২৩ এপ্রিল সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডি নং ১৫৩৪। জিডির প্রেক্ষিতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬০ ধারায় উভয় পক্ষকে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম গাজী উপস্থিত হওয়ার জন্যে নোটিস প্রদান করেন। সেই নোটিসে উভয় পক্ষকে ২৫ মে সকাল ১০টায় থানায় উপস্থিত হয়ে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে সহযোগিতা করার নির্দেশ দেন। সেই আলোকে উভয় পক্ষ চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বসেন। এ বৈঠকে উভয়পক্ষকে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত শান্ত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
এদিকে ৯ আগস্ট শনিবার দুপুরে সম্পত্তি ভোগদখলকারী শিক্ষক শেখ নজরুল ইসলামকে প্রতিপক্ষ মনির শেখ ও লিটন শেখ গং লাঞ্ছিত করেন। শেখ নজরুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন সময়ে ভাড়াটিয়াদের ওপর হুমকি-ধমকি দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা চলছে। আমি বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে তুললেও তারা কোনো সমাধান দেয়নি। প্রতিপক্ষ মনির শেখ ও লিটন শেখরা আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার ভয় দেখাচ্ছে ও আজকে লাঞ্ছিত করেছে। বর্তমানে আমি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক আবুল কালাম গাজী বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে উভয় পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে এসেছি।