প্রকাশ : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:১০
দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চেষ্টার অভিযোগ : ফরিদগঞ্জে মাদ্রাসা সুপারসহ তিনজন আটক

ফরিদগঞ্জে ২০২৫ সালের চলমান দাখিল পরীক্ষার হাদিস বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস চেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসা সুপারসহ তিনজন আটক হয়েছে। আটককৃতরা হলেন : ফরিদগঞ্জের চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও. ইকরাম হোসাইন হামিদ (৪৬), ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তারেকুল ইসলাম(৩০)।
|আরো খবর
বুধবার (২৩ এপ্রিল ২০২৫) ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া।
জানা গেছে, বুধবার ২০২৫ সালের দাখিল পরীক্ষার হাদিস বিষয়ে পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চালাকালীন মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার দুই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও তারেকুল ইসলাম(৩০) হাদিস বিষয়ের প্রশ্নের ছবি তুলে চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও. ইকরাম হোসাইন হামিদের হোয়াটসঅ্যাপে ডুকুমেন্ট আকারে পাঠায়।
প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়টি গোপন সূত্রে সংবাদ পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া মাদ্রাসার হল সুপার মাও. মফিজুর রহমান এবং অভিযুক্ত তিনজনকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এ সময়ে এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাও. ইকরাম হোসাইন হামিদের হোয়াটসঅ্যাপে ডুকুমেন্ট আকারে ওই প্রশ্ন দেখতে পান। যা ইসমাইলের মুঠোফোন থেকে তারেক পাঠায় বলে নিশ্চিত হন। পরবর্তীতে অভিযুক্তদের তিনি পুলিশের হাতে তুলে দেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা রাজিয়া জানান, প্রশ্নফাঁসের চেষ্টার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রের হল সুপারকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করার নিদের্শনা দিয়েছি। একই সাথে অভিযুক্তদের থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।