প্রকাশ : ১২ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬
কচুয়ায় অন্তঃসত্ত্বা এসএসসি পরীক্ষার্থীর গর্ভপাত : জন্ম নেয়া কন্যা শিশুর মৃত্যু

কচুয়ায় সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা এসএসসি পরীক্ষার্থীর গর্ভপাত করানো হয়েছে। গর্ভপাতে ওই পরীক্ষার্থীর কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ১১ নং গোহট (দ.) ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের করার বাড়িতে।
করার বাড়ির প্রবাসী আলী আহমেদের মেয়ে শামীমা আক্তার ছিলো ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
শামীমা আক্তার ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। সবেমাত্র একটি বিষয়ে পরীক্ষা দিয়েছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সকালে প্রসব বেদনা শুরু হলে করানো হয় গর্ভপাত। এতে
কন্যা সন্তানের জন্ম দেয় শামীমা আক্তার। কন্যা সন্তানটি অপরিপক্ক হওয়াতে চিকিৎসক শিশুটিকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার পরামর্শ দিলেও নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পর কন্যাশিশুটি মারা যায়। পরে শিশুটিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
কন্যা সন্তানটি দাফনের পর ওই বাড়িতে উভয় পরিবারের মাঝে সালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সালিসি বৈঠকে ইমন এবং শামীমা তালাক প্রাপ্ত হয় । বৈঠকে ইমনের পঁচিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সরজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য জানা যায়। তাছাড়াও এ বিষয়ে কথা বলতে মেয়ের বাড়িতে গেলে মেয়ের বাড়ির গেইটে তালা ঝুলতে দেখা যায়।
ইমন হোসেন (১৭) থাকেন নানার বাড়িতে।ইমন দুনিয়ার আলো দেখার আগে তার বাবা মা আলাদা হয়ে যায় ।তার বাবা অটোরিক্সা চালক বিল্লাল মিয়া।
ইমনের বাবা বিল্লাল মিয়া আরেকটি বিয়ে করেন। তখনই ইমনের শুরু হয় বেঁচে থাকার জীবন সংগ্রাম। এ অবস্থায় ইমনের ভরণ পোষণের দায়িত্ব পালন করছেন নানা এবং নানী। ইমন নানার বাড়িতে বড়ো হয়েছে। অভাবের সংসারে বড়ো হওয়ায় পড়াশোনা ঠিকমত করতে পারে নি।
নানার বাড়িতে থাকা অবস্থায় এক মামাতো বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
কিন্তু তাদের এই প্রেমের সম্পর্ক মানতে পারেনি মেয়ের পক্ষের লোকজন। বিভিন্ন সময়ে মেয়েকে শাসন করেও কাজ হয়নি। ইমন হোসেন এবং শামীমার সম্পর্ক আরো গভীর হয়ে উঠে।
ইমনের ভাষ্য অনুযায়ী তারা দুজনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকা অবস্থায় নয় মাস আগে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করে। কিন্তু কোর্ট ম্যারেজের কোনো তথ্যাদি দেখাতে পারে নি।
বিষয়টি জানাজানি হলে ওই এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। এই ধরনের অসামাজিক কার্যক্রমের সঠিক বিচার কামনা করেছেন এলাকার সচেতন মহল।
স্থানীয়রা জানান, এই মাছুম বাচ্চাটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বিচারের আওতায় এনে সমাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা উচিত।