সোমবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৩ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   খাল দখল নিয়ে দ্বন্দ্বে যুবদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা
  •   নৌ পুলিশের হয়রানি বন্ধে জেলা বিএনপির সভাপতির কাছে জেলেদের লিখিত আবেদন
  •   হাসান আলী মাঠে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের শততম দিনে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা
  •   মাদ্রাসা খাদেমের লাশ নদী থেকে উদ্ধার
  •   পল্লবীতে দুই ছেলেকে জবাই করে হত্যার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে

প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৩০

এইচএসসিতে চাঁদপুর জেলায় প্রথম ড. মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজ

কচুয়ায় পাসের হার ৮০% ॥ আলিমে ৯৬% ॥ জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৮৬ জন

মোহাম্মদ মহিউদ্দিন
এইচএসসিতে চাঁদপুর জেলায় প্রথম ড. মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজ
এইচএসসির ফলাফলে শীর্ষে থাকা ড. মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের উল্লাস।

১৫ অক্টোবর মঙ্গলবার প্রকাশিত এইচএসসি পরীক্ষায় কচুয়ার ৯টি কলেজ থেকে সর্বমোট ২ হাজার ১শত ৮১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১ হাজার ৭শ’ ৩৮জন উত্তীর্ণ হয়েছে। তন্মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১শ’ ৮৬ জন। শতকরা পাসের হার ৮০ ভাগ। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও ধারাবাহিকতায় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে কচুয়ার হাসিমপুরে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী ড. মনসুর উদ্দীন মহিলা কলেজ। এ কলেজ থেকে এ বছর ১শ’ ৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ১০০ ভাগ পাসসহ জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭২ জন। এছাড়া কলেজটি কুমিল্লা বোর্ডে ৫ম ও চাঁদপুর জেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে। কচুয়া বঙ্গবন্ধু সরকারি ডিগ্রি কলেজের ৩৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩০৩ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২ জন, পাসের হার ৮৬.৮২%। রহিমানগর শেখ মুজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের ১৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১৪৭ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, পাসের হার ৮৩.০৫%। সাচার ডিগ্রি কলেজ থেকে ৩৪৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ২৮৩ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৭ জন, পাসের হার ৮১.০৯%। পালাখাল রোস্তম আলী ডিগ্রি কলেজ থেকে ৪১৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ২৬৫ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন, পাসের হার ৬৩.৮৬%। নুরুল আজাদ কলেজ থেকে ৭৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ৬৩ জন, পাসের হার ৮১.৮২%। আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ২৯৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪ জন, পাসের হার ৯৯.৩২%। চাঁদপুর এম. এ. খালেক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৯৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৯৪ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ০৩ জন, পাসের হার ৯৭.৯২%। নিন্দপুর এমকে আলমগীর স্কুল এন্ড কলেজের ২৪৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয় ১১৫ জন, পাসের হার ৪৬.৩৭%। অপরদিকে আলিম পরীক্ষায় ৪শ’ ২৬ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪০৯ জন কৃতকার্য হয়। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫০ জন। যার পাসের হার ৯৬%। এ বছর উপজেলার মাদ্রাসা পর্যায়ে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে শীর্ষে অবস্থান করছে নিশ্চিন্তপুর ডিএস কামিল মাদ্রাসা। এ প্রতিষ্ঠান থেকে ৪৭ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৪৬ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ জন। এছাড়া আইনগিরি আলিম মাদ্রাসা থেকে ২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৪ জন উত্তীর্ণ হয়, পাসের হার ৯২.৩১%। এ প্রতিষ্ঠান থেকে জিপিএ-৫ কেউ পায়নি। আশ্রাফপুর গনিয়া ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৪০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮ জন, পাসের হার ৯৭.৫০%। বিতারা আলিম মাদ্রাসা থেকে ২৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪ জন, পাসের হার ৮৪.৬২%। চাঁপাতলী লতিফিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ২৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৯ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, পাসের হার শতভাগ। চৌমুহনী ডিএস সিনিয়র মাদ্রাসা থেকে ৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৪০ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন, পাসের হার ৮৮.৮৯%। কাদলা এসএস ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৩৯ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন, পাসের হার ১০০%। মেঘদাইর তাহেরিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৩৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৩ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, পাসের হার শতভাগ। মনোহরপুর ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ৪১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩৮ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন, পাসের হার ৯২.৬৮%। মনপুরা ইসলামিয়া ফাযিল মাদ্রাসা থেকে ২৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন, পাসের হার ৯৫.৬৫%। পালাখাল ছালেহিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ৩১ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩১ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬ জন, পাসের হার শতভাগ। রাগদৈল ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ২২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২২ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, পাসের হার ১০০%। শ্রীরামপুর মোহাম্মদীয়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে ২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৪ জন উত্তীর্ণ হয়, জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ জন, পাসের হার শতভাগ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়