প্রকাশ : ২২ মার্চ ২০২৪, ১৬:০৫
চাঁদপুরের কাঁচা শাক-সবজির দাম কমেছে
কমছে পেঁয়াজ, শসা, বেগুন, টমেটো এবং লেবুর দাম
পহেলা রমজান থেকে রোজার কয়েকটা দিন চাহিদা বিবেচনায় বিক্রেতারা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেছেন সবজির দাম।
রোজা ঘিরে লেবু, বেগুন, শসা, মাছ মাংসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড চলেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজ, লেবু, শসা সহ সবজির দাম। গত চার—পাঁচ দিন শসা, খিরা, টমেটো, পেঁয়াজ, লেবু চড়া দামে বিক্রয় হলেও দুই দিন ধরে কয়েকটি কাঁচাপণ্যের দাম প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। কমেছে ডাটা,টমেটো, বেগুন, লাউ, কুমড়া, মিষ্টি আলু, কাঁচামরিচ এবং ধনিয়াপাতার দামও। তবে সিজন হওয়া সত্ত্বেও অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে আলুর ।
শুক্রবার চাঁদপুর জেলা শহরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রয় হচ্ছে ৫৫ টাকা, দেশি রসুন ৯০—৯৫ টাকা, চায়না রসুন ১৮০—১৮৫ টাকা কেজি দরে। খুচরা বিক্রেতারা পেঁয়াজ বিক্রয় করছেন প্রতিকেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।
প্রকার ভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা ও হাইব্রিড মোটা বেগুন ৬০ টাকা কেজি দরে। তবে রমজানের প্রথম চার—পাঁচ দিন বেগুনের খুচরা মূল্য ছিল ৬০ থেকে ৭০ টাকা।
এছাড়া লেবুর হালি এখন বিক্রয় হচ্ছে ৪০ টাকা। প্রতি পিছ ১০ টাকা। এর আগে লেবুর হালি ছিল ৬০ থেকে ৮০ টাকা। প্রতি কেজি কাঁচামরিচ খুচরা বিক্রয় হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। শসা খুচরা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, টমেটো ১০ থেকে ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি।আবার ২০ টাকা কেজিতেও মিলছে টমেটো।
এছাড়াও ধনিয়াপাতা প্রতি কেজি১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যান্য সবজির দামও স্থিতিশীল আছে বলে জানান কণেতা বিক্রেতারা।
খুচরা বিক্রেতাদের কেউ কেউ চড়া দামে পণ্য বিক্রয় করছেন এমন অভিযোগ ভোক্তাদের। একইসাথে বাজার মনিটরিং নিয়মিত করার দাবিও জানান সংশ্লিষ্টরা।
পুরাণবাজার মাছবাজারের সবজি বিক্রেতা মনির বলেন, রোজার শুরুতে তরিতরকারির দাম যা ছিলো এখন সেই দাম নেই।সবজির দাম কমে গেছে।আমরা কমে কিনতে পাচ্ছি, এজন্য কমে বিক্রয় করছি।
পুরাণবাজার মসজিদপট্টি এলাকার মেসার্স মোল্লা ট্রেডার্সের ভাগিনা বলেন, পেঁযাজের বেপারীরা শেষ।তাদের ৮০-৯০ টাকার পেঁয়াজ এখন ৪৫—৫০ টাকা কেজি ঘরের দাম।এবং চায়না রসুন ১৮৫ টাকা, দেশী রসুন ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রয় করছি। দামটা অনেকটাই কমেছে।