প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৫:৩৪
ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালিয়েছে সে-ই ছাগল ব্যবসায়ীরা
ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালিয়েছে বাকিলা বাজারের সেই ছাগল ব্যবসায়ীরা। প্রায় শতাধিক ব্যবসায়ী বিক্রির জন্য এ দিন বাজারে ছাগল নিয়ে হাজির হন। কঠোর লকডাউনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জমে উঠে ছাগলের হাট। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ সোমবার দুপুরে চাঁদপুর কন্ঠের অনলাইনে প্রকাশ হওয়ার পরে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার হানা দেন বাকিলা বাজারে।
|আরো খবর
ম্যাজিষ্ট্রেট আসার পরেই ছণগল ব্যবসায়ীরা সরে যায় বাজার থেকে। এ সময় মাস্ক ব্যবহার না করায় বেশ কয়েকজন পথচারী, সিএনজি স্কুটার চালক ও মোটর সাইকেল চালকে জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত। জানা যায়, সেমবার হাজীগঞ্জের বাকিলা বাজারে চলমান কঠোর লকডাউনের মধ্যেও জমে উঠে ছাগলের হাট। একই সাথে হাঁস মুরগি,কবুতরসহ পুরো বাজার জমে উঠে সোমবার সকাল থেকে। বাজারে আসা অর্ধেক লোকদের মুখে মাস্ক ছিলো না,,ছিলো না কোন স্বাস্থ্য বিধির বালাই।
সরজমিনে দেখা যায়, সোমবার বাকিলা বাজারের সাপ্তাহিক হাটের দিন। কঠোর লকডাউনের মধ্যে সোমবার দুপুরে সবধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকতে দেখা গেছে। মাছ বাজার,তরকারি বাজারের ব্যবসায়িরা অন্য স্বাভাবিক সময়ের মতো পসরা সাজিয়ে বিকিকিনি শুরু হয়েছে । বাজারের মধ্য দিয়ে চলে যাওয়া চাঁদপুর কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের বাজার অংশে সড়কের দু'পাশে নারকেল, কাঠাল,গাছের চারা,পান,সুপারি ,টেঁটা তৈরির দোকান বসেছে সারি বেঁধে।
সকাল থেকে গরুর বাজার অংশে জাঁকজমক পূর্নভাবে বসেছে ছাগলসহ হাঁস মুরগির বাজার। ছাগল বাজারে ছাগলের বিক্রি শুরু হয়েছে দেদারছে। নেই কোন মাস্ক বা স্বাস্থ্য বিধির নিয়মের তোয়াক্কা। এমন সময় ভ্রাম্যামান আদালতের ম্যাজিষ্ট্রেটের হানা বাজারে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার জানান, আমরা ছাগলের হাট বন্ধ করে দিয়েছি। বাকিলা বাজারের সাপ্তাহিক হাট বারগুলোতে করোনাকালীন সময়ে গরু ছাগলের বাজার আর বসানো যাবে না। এ ছাড়া মাছ তরকারি বাজার বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বসানোর জন্য ইজারাদার আলহাজ্ব আব্দুল খালেককে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।