প্রকাশ : ০৮ অক্টোবর ২০২১, ১৫:৪৮
প্রতারণার মামলায় ১ মাসের জামিন পেলেন আলমগীর কবির পাটোয়ারী
প্রতারণার মামলায় আহমাদ আলী পাটোয়ারী ওয়াকফ এস্ট্রট এর মোতাওয়াল্লী ও সচিব আলমগীর কবির পাটোয়ারী আপোষ শর্তে ১ মাসের জামিন পেয়েছেন। গত ৬ অক্টোবর বিজ্ঞ আদালত আপোষ মিমাংসার শর্তে প্রতারণার মামলায় আলমগীর কবির পাটোয়ারীর জামিন মঞ্জুর করেন।
|আরো খবর
মামলা ও পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী আজাদ রহমান মাসুদ মজুমদার গত১৬/১১/২০২০ সালে বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার অভিযোগ এনে ৪০৬/৪২০ ধারা আলমগীর কবীর পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। মামলাটি গত ২৩/১১/২০২০ তারিখে তদন্তের জন্য পিবিআই কে দায়িত্ব দেন আদালত। পিবিআই দীর্ঘদিন তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন আদালতে। পিবিআই এর তদন্ত প্রতিবেদনে আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারণার সত্যতা পান বলে উল্লেখ করা হয়।
আহমেদ আলী ওয়াকফ এস্টেট বিজনেস পার্ক মকিম উদ্দিন শপিং সেন্টার নামে বহুতল ভবন নির্মাণ করার লক্ষে দোকান ঘর বরাদ্দের টেন্ডার আহবান করেন। টেন্ডারে মাসুদ মজুমদার সর্বোচ্চ দরদাতা হিসাবে A-05, B-05 ও B-04 বরাদ্দ পায়। তার বিপরীতে বাদী ২৫% ডাউন পেমেন্ট প্রদান করেন। A-05, B-05 ও B-04 এই তিনটি দোকানের জন্য প্রতিটি ৩০০/টাকার স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বিবাদী সহি স্বাক্ষর করে বায়নাপত্র বাদীর বরাবরে হস্তান্তর করেন। বাদী আজাদ রহমান মাসুদ মজুমদার দোকান বরাদ্দ বাবত বিবাদীকে চেক ও পে -অর্ডারের মাধ্যমে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা প্রদান করেন। গত ৯/৯/২০২০ সালে আরো ১৩ লাখ টাকা গ্রহন না করে বিবাদী আলমগীর কবীর পাটোয়ারী ৩৩ লাখ ৩৬ টাকা বেশি পেয়ে অন্য ৩ ব্যক্তিকে এ ৩টি দোকান বুঝিয়ে দেন।
মামলার বাদী আজাদ রহমান মাসুদ মজুমদার চাঁদপুর কন্ঠকে বলেন, আমি বিজনেস পার্ক মকিম উদ্দিন শপিং সেন্টারে তিনটি দোকান বরাদ্দ নেই। ১ কোটি ১৪ লাখ ৬৪ হাজার টাকার মধ্যে ৬৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা প্রদান করি এবং আরো ১৩লাখ টাকা দেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আলমগীর কবির পাটোয়ারি আমার টাকা গ্রহন না করে ৩৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকা বেশি পেয়ে অন্য লোকদের দোকানগুলো বুঝিয়ে দেন। তাই আমি তার বিরুদ্ধে আদালতে বিশ্বাস ভঙ্গ ও প্রতারনার মামলা করি।