প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:৫০
হাজীগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার বিরোধে বসতঘরে হামলায় আহত-১
হাজীগঞ্জে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বসতঘরে ভাংচুর, নগদ টাকা লুট ও মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার সকালে পৌর এলাকার আলীগঞ্জ মজুমদার বাড়ির দুলাল মজুমদারের ঘরে এই ঘটনা ঘটে। এতে করে দুলালা মজুমদারের ছেলে সবুজ মারাত্বক আহত হয়েছে। পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ও ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মজুমদার (৪৮) ও তার ছেলে রাপী মজুমদারের (২০) বিরুদ্ধে উক্ত অভিযোগ আনেন দুলাল মজুমদার। দুলাল মজুমদার আর আজাদ মজুমদার সম্পর্কে চাচাতো-জেঠাতো ভাই।
|আরো খবর
আহত সবুজের বোন ফারজানা মজুমদার জানান, কিছু দিন আগের উভয় পরিবারের একটি বিষয়েরর সূত্র ধরে এ দিন সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে ১০টার দিকে পূর্ব বিরোধে তার চাচা কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মজুমদার ও চাচাতো ভাই রাপী মজমুদার তাদের বসতঘরে হামলা চালায়।
হামলাকালীন সময়ে তারা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বসতঘরে থাকা আসবাবপত্র ও একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর, স্টীলের আলমিরাতে থাকা নগদ টাকা লুট এবং সবুজকে মারধর করে। এ সময় তারা গালমন্দসহ হুমকি-ধমকি দেয়। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান ফারজানা মজুমদার জানান।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের গৃহকর্তা দুলাল মজুমদার জানান, তারা বাবা ছেলে মিলে আমার ছেলে সবুজকে মারধর করার তাকে চিকিৎসার জন্য চাঁদপুরে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আমি আইনি সহযোগিতা চাইবো।
আহত সবুজের মা মর্জিনা বেগম কান্নাজড়িত কন্ঠে জানান, কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মজুমদার ও তার ছেলে রাপী হামলা করে সবকিছু ভাংচুর করে স্টীলের আলমিরাতে থাকা নগদ ২০ লাখ টাকা নিয়ে যায় এবং সবুজকে খুব দিয়ে মারধর করে।
ভাংচুর, মারধর ও টাকা লুটের বিষয়টি অস্বীকার করেন হাজীগঞ্জ পৌরসভার প্যানেল মেয়র-২ ও কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মজুমদার বলেন, দুলাল মজুমদারের পরিবারের সাথে সম্প্রতি সময় একটি বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জের ধরে দুলাল মজুমদারের পরিবার আমাদের নামে মিথ্যা অজুহাতে অভিযোগ তুলছে। অভিযোগকারী যে সময়ের কথা বলছে সেই সময় আমি পৌরসভার মাসিক সভায় উপস্থিত ছিলাম। ঐ সভায় পৌর মেয়রসহ সকল কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পৌরসভার মাসিক সভায় প্যানেল মেয়র-২ ও কাউন্সিলর আজাদ হোসেন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন বলে জানান পৌর প্যানেল মেয়র-১ ও ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ জাহিদুল আযহার আলম বেপারী।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান, এ বিষয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত কেউই লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।